পাসপোর্ট সপ্তাহ : ভোগান্তি থাকলেও সেবা পাচ্ছেন গ্রহীতারা
পাসপোর্ট করার ক্ষেত্রে ভোগান্তি নিয়ে গ্রহীতাদের অভিযোগের অন্ত নেই। তবে পাসপোর্ট অফিসের কর্মকর্তারা বলছেন, জনগণ যদি ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে সঠিক তথ্যটি দিয়ে ধৈর্য্যের পরিচয় দেয়, তাহলে কোন ভোগান্তি থাকার কথা নয়। সেবার গতিও বাড়বে।
পাসপোর্ট ও বহির্গমন বিভাগের সহকারী পলিচালক মোঃ ইসমাইল হোসেন তার নিজ দপ্তরে বলেন, সেবা দিতে আমরা আন্তরিক। তবে কাঙ্ক্ষিত সেবা পেতে গ্রহীতাদেরও কিছু বিষয়ে সতর্কতা প্রয়োজন। তারা যদি নির্ধারিত ফর্মে সঠিক তথ্য দেয়, সত্য কথা বলে এবং সৌজন্যতা দেখায় তবে সেবার মান আরও বাড়বে।
গ্রহীতাদের ভুল তথ্য এবং ধৈর্য্যের অভাবের কারণে অনেক সময় প্রক্রিয়াগত জটিলতায় সেবা পাওয়ার ক্ষেত্রে বিলম্ব হওয়ার কথা উল্লেখ করে এ কর্মকর্তা বলেন, অনেক মানুষ সেবার জন্য আসে। আমরা তো একজনকে রেখে অন্যজনকে সেবা দিতে পারবো না। এ জন্য গ্রহীতাদের লাইনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করার ধৈর্য্য থাকতে হবে।
গত শনিবার থেকে শুরু হওয়া ‘পাসপোর্ট সপ্তাহ-২০১৭’র বৃহস্পতিবারই ছিল শেষ কর্মদিবস। ‘পাসপোর্ট নাগরিক অধিকার, নিঃস্বার্থ সেবাই অঙ্গীকার’ স্লোগানে এবারের পাসপোর্ট সেবা সপ্তাহ উদ্বোধন করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল।
বৃহস্পতিবার সকাল থেকেই সেবা গ্রহীতাদের লম্বা লাইন চোখে পড়ে। গ্রাহক সেবা বৃদ্ধি করতে অফিস সহকারীদের সমন্বয়ে খোলা হয়েছে হেল্প সেন্টার। অফিস সহকারীরা সেখান থেকে গ্রাহকদের প্রয়োজনীয় তথ্য সহায়তা এবং করণীয় সম্পর্কে বিভিন্ন দিক নির্দেশনা দেন।
পাসপোর্ট সপ্তাহের উদ্দেশ্যে তুলে ধরে ইসমাইল হোসেন বলেন, এই সেবা সপ্তাহ পালন করা হচ্ছে মূলত আমরা যারা সেবাদাতা তাদের মাঝে ইতিবাচক মনোভাব গড়ে তোলার জন্য। এই এক সপ্তাহের কর্মপ্রেরণা যেন সারা বছর বজায় থাকে সে ব্যাপারে উৎসাহ যোগাতে। অফিসের কর্মকর্তা কর্মচারীরা এ জন্য দিন রাত পরিশ্রম করছে।
এদিকে সেবা সপ্তাহ চলার পরেও ভোগান্তির অভিযোগ করেন লাইনে দাঁড়ানো কয়েকজন। সে ব্যাপারে জানতে চাইলে এ কর্মকর্তা বলেন, সেবা সপ্তাহ চলায় সাধারণ সময়ের চেয়ে প্রতিদিন প্রায় হাজার খানেক লোক বেশি আসছে। ফলে স্বভাবতই চাপ কিছুটা বেড়েছে। এ জন্য হয়তো সময় কিছুটা বেশি লাগতে পারে। তবে সেবার জন্য আমাদের কাছে পৌঁছতে চেয়েছেন কিন্তু কাঙ্ক্ষিত সেবা পাননি, এমন একটি অভিযোগও আপনি পাবেন না।
মন্তব্য চালু নেই