পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আইন চূড়ান্ত

পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র আইন ২০১৫-এর খসড়ার চূড়ান্ত অনুমোদন করেছে সরকার। এই আইনের আওতায় পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপন ও পরিচালনার জন্য ভেটিংসাপেক্ষে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি অব বাংলাদেশ’ গঠনের প্রস্তাবও চূড়ান্ত অনুমোদন করা হয়েছে।

আজ সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিসভার বৈঠকে এ অনুমোদন দেওয়া হয়। বৈঠকে সভাপতিত্ব করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ৷ সভা শেষে মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভুইঞা সাংবাদিকদের ব্রিফ করেন ৷

আন্তর্জাতিক নিয়ম অনুযায়ী এ ধরনের উচ্চপ্রযুক্তি সম্পন্ন এবং নিরাপত্তা সংবলিত বিদ্যুৎ কেন্দ্র স্থাপনে কোম্পানি গঠন করতে হয়। পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্র আইনের খসড়ায়ও এ ধরনের কোম্পানি করার কথা বলা হয়েছে।

মন্ত্রিপরিষদ সচিব জানান, পাবনায় এক হাজার মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎ কেন্দ্রের মালিকানা থাকবে বাংলাদেশ আণবিক শক্তি কমিশনের হাতে। আর কেন্দ্রটি পরিচালনার দায়িত্ব পাবে ‘নিউক্লিয়ার পাওয়ার কোম্পানি অব বাংলাদেশ’। ৫ হাজার ৮৭ কোটি ৮১ লাখ টাকার এই কেন্দ্র চালু হবে ২০২১ সালে। প্রথম পর্যায়ের কাজ শেষ হবে ২০১৭ সালের জুনে।

এ বিষয়টিকে আইনি ভিত্তি দিতেই বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় নতুন এই আইন করার প্রস্তাব নিয়ে আসে বলে জানান সচিব।

সচিব আরও জানান, এই অর্থের মধ্যে রাশিয়া প্রকল্প সহায়তা হিসেবে দেবে ৪ হাজার কোটি টাকা আর বাকি ১ হাজার ৮৭ কোটি টাকা দেবে বাংলাদেশ সরকার। প্রকল্পের যিনি শেষ পরিচালক থাকবেন তিনি হবেন নতুন কোম্পানির প্রথম ব্যবস্থাপনা পরিচালক।

এ ছাড়া আজকের বৈঠকে বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে নৌ-রুট বিষয়ে একটি চুক্তি স্বাক্ষরের খসড়া অনুমোদন হয়েছে। ভারতীয় প্রধানমন্ত্রীর বাংলাদেশ সফরের সময় এ চুক্তি চূড়ান্ত হওয়ার কথা। তবে ভারতের প্রধানমন্ত্রী কবে আসবেন, তা ঠিক হয়নি।

সচিব জানান, দুই দেশের পণ্যবাহী জাহাজগুলোর গন্তব্যে পৌঁছাতে এখন সময় লাগে ১৫ দিন। আর এই চুক্তি হলে তখন সময় লাগবে ৫ থেকে ৬ দিন।



মন্তব্য চালু নেই