পাবলিক টয়লেটের দাবিতে বদনা নিয়ে অবস্থান
পর্যাপ্ত পাবলিক টয়লেট স্থাপন, টয়লেটের ইজারা বাতিল, বিনামূল্যে সার্ভিস ও স্বাস্থ্যকর পরিবেশ এবং শহরের মার্কেটগুলোতে টয়লেট ব্যবহার উম্মুক্ত করে দেয়ার দাবিতে বদনা নিয়ে এক অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়েছে।
মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করেপারেশনের নগর ভবনের সামনে পরিবেশবাদী সংগঠন মাস্তুল ফাউন্ডেশন, আঁচল ট্রাস্ট, নিরাপদ ফাউন্ডেশন, পরিবর্তন চাই, অরুণোদয়ের তরুণ দল, সিএফডি, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনসহ বিভিন্ন গ্রুপের কর্মীদের উদ্যোগে এ অবস্থান কর্মসূচি পালিত হয়।
অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তারা বলেন, ‘দেড় কোটি রাজধানীবাসীর জন্য সিটি করপোরেশনের পক্ষ থেকে ৬৯টি পাবলিক টয়লেট দেয়া হয়েছে। সে হিসেবে দুই লক্ষাধিক মানুষের জন্য একটি টয়লেট এটা কল্পনাও করা যায় না। এর মধ্যেও আবার ৫টি মোটামুটি ব্যবহার উপযোগী। ২টি ভেঙে ফেলা হয়েছে। ১০টি সম্পূর্ণরূপে বন্ধ। ১০টিতে কোনো সেবা নেই। তাছাড়া ৭৫ ভাগ শৌচাগারে মেয়েদের জন্য আলাদা কোনো ব্যবস্থা নেই। ৫০ ভাগ টয়লেটে নিয়মিত পানি থাকে না। ৭০ ভাগে প্রয়োজনীয় আলো-বাতাসের ব্যবস্থা নেই।’
বক্তারা বলেন, ‘যে সিটি করপোরেশন মানুষের ট্যাক্সের টাকায় সেবা দেয়ার কথা বলেন অথচ নগরবাসীর চলার পথে অতি প্রয়োজনীয় পাবলিক টয়লেট নিশ্চিত করতে পারেনি। এ অথর্ব সিটি করপোরেশনের প্রয়োজন নেই।’
বক্তারা আরো বলেন, ‘যে শহরে টাকার জন্য পাবলিক টয়লেটের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা সম্ভব হয় না, সে শহরের সিটি করপোরেশনে মাসে মাসে হাজার হাজার টাকা এসির বিল, বিলাসবহুল গাড়ির তেল, সৌন্দর্যবন্ধনের জন্য ঝলমলে আলোকসজ্জার নামে কোটি কোটি টাকা ব্যয় হতে পারে না।’
পাবলিক টয়লেট ইজারা দেয়া চলবে না উল্লেখ করে বক্তারা বলেন, ‘টয়লেটগুলো ইজারা দেয়ার পর থেকেই জনসেবার বিষয়টি হারিয়ে যায়। সেবার নামে এসব টয়লেট গোডাউন হিসেবে ভাড়া, অবৈধ বিদ্যুৎ সংযোগ, পানি বিক্রি, গাড়ি ধোয়া, মাদক ব্যবসা এমন রাতে অনৈতিক কাজের স্থান হিসেবেও ব্যবহার করা হয়।’
বদনা নিয়ে অবস্থান কর্মসূচিতে তরুণ শিল্পীরা সিটি করপোরেশনের কর্মকর্তাদের দেশপ্রেমের উদ্ধুদ্ধ হয়ে জনগণের জন্য কাজ করা আহ্বান জানিয়ে দেশাত্মবোধক গান পরিবেশন করেন।
নিরাপদ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান ইবনুল সাঈদ রানার সভাপতিত্বে সভায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন- ডাব্লিউবিবি ট্রাস্টের মিডিয়া অ্যাডভোকেসি অফিসার সৈয়দ সাইফুল আলম, পিসের মহাসচিব ইফমা হোসেন, প্রত্যাশা মাদক বিরোধী সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক হেলাল আহমেদ, আঁচল ট্রাস্টের সেক্রেটারি সৈয়দ সাইফুল আলম, মাস্তুল ফাউন্ডেশনের কাজী নিশাত, অরুণোদয়ের নির্বাহী পরিচালক শহিদুল ইসলাম বাবু প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই