পাবনা পলিটেকনিকে ত্রিমুখী সংঘর্ষে আহত ১৫, আটক ৫ : তদন্ত কমিটি গঠন
পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে সাধারণ শিক্ষার্থী-ছাত্রলীগ ও বহিরাগত সন্ত্রাসীদের ত্রিমুখী সংঘর্ষে ছাত্রলীগ নেতাসহ অন্তত ১৫ জন আহত হয়েছে। এসময় ভাঙচুর করা হয় ৮টি মটরসাইকেল। শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে ৫ জনকে আটক করেছে পুলিশ। আর ঘটনাটি তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ।
পুলিশ ও সাধারণ শিক্ষার্থীরা জানায়, বহিরাগত কিছু সন্ত্রাসী মাঝে মধ্যেই পলিটেকনিক ক্যাম্পাসে ঢুকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে চাঁদাবাজী করে। এছাড়া অস্ত্রের ভয় দেখিয়ে মোবাইল, টাকা পয়সা ছিনিয়ে নেয়। তাদের বাধা দিতে গেলে শিক্ষার্থীদের মারধরও করে বহিরাগতরা। বিষয়টির প্রতিকার চেয়ে শুক্রবার সন্ধ্যায় বিক্ষোভ মিছিল করে প্রশাসন ও স্থানীয় সাংসদের কাছে ক্যাম্পাসে বহিরাগতদের অনুপ্রবেশ বন্ধের জন্য দাবি জানায় শিক্ষার্থীরা। এ নিয়ে শনিবার সন্ধ্যায় পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটে অধ্যক্ষের সাথে বসে বিষয়টির সমঝোতা বা সমাধানের উদ্দেশ্যে বৈঠক করছিলেন জেলা ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ। এ সময় বহিরাগত দূর্বৃত্তরা ক্যাম্পাসে ঢুকে সাধারণ শিক্ষার্থীদের উপর হামলা চালালে শিক্ষার্থীরাও তাদের প্রতিরোধ করতে গেলে সংঘর্ষ বাধে। এসময় ছাত্রলীগ নেতাকর্মী উভয়কে নিবৃত্ত করে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে গিয়ে অন্ধকারে হামলার শিকার হলে তারাও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়লে পরিস্থিতি ত্রিমুখী সংঘর্ষে রুপ নেয়। সংঘর্ষে কমপেক্ষ ১৫ জন আহত হয়। এছাড়া ভাঙচুর করা হয় ৮টি মটরসাইকেল। আহতদের পাবনা জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
আহতরা হলেন- জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক আশরাফ হোসেন, সরকারী শহীদ বুলবুল কলেজ শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি শিবলী সাদিক, আলিয়া মাদরাসা ছাত্রলীগের সাধারন সম্পাদক এলিন। এছাড়া রবিউল, আবির, সাব্বির, রাজিব, মামুন, জুম্মন, মজিদ, প্রিন্স, রনি, সোহেল, কালাম ও রাসেল। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ছাত্রলীগ কর্মী রবিউল ও আবিরকে পাবনা থেকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়েছে।
পাবনা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আহসানুল হক জানান, খবর পেয়ে পুলিশ, র্যাব ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনে। তাৎক্ষনিকভাবে ঘটনাস্থল থেকে জড়িত অভিযোগে ৫ জনকে আটক করা হয়েছে। তবে তাদের নাম পরিচয় এই মুুহুর্তে দেওয়া যাচ্ছে না।
এ বিষয়ে পাবনা পলিটেকনিক ইন্সটিটিউটের অধ্যক্ষ আব্দুল হালিম জানান, কিভাবে সংঘর্ষের সুত্রপাত তা জানি না। তবে ঘটনা তদন্তে ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটিকে আগামী সাতদিনের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে।
এ বিষয়ে জেলা ছাত্রলীগের সাধারণ রফিকুল ইসলাম রুমন জানান, বিষয়টির সমাধানের জন্য স্থানীয় সংসদ সদস্য গোলাম ফারুক প্রিন্সের কাছে আবেদন জানিয়েছিলেন সাধারণ শিক্ষার্থীরা। এজন্য আমরা সমাধানের উদ্দেশ্যে অধ্যক্ষের সাথে বসে বৈঠক করার সময় বহিরাগত সন্ত্রাসীরা আমাদের অতর্কিত হামলা চালায়। বহিরাগতরা জামায়াত-শিবিরের লোক বলেও দাবি করেন তিনি।
মন্তব্য চালু নেই