কক্সবাজারের উখিয়ার কিছু খবর

পানির অভাবে উখিয়ায় ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসলহানির আশংকা

কক্সবাজারের উখিয়া উপজেলা বিভিন্ন খাল-বিল, জলাশয়-পুকুর-জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। সর্বত্র বিরাজ করছে পানির জন্য হাহাকার। বাসাবাড়ির টিউবওয়েলে পানি না থাকার কারণে খাবার পানির তীব্র সংকট দেখা দিয়েছে। এমতাবস্থায় কাঙ্খিত বৃষ্টি না হলে ৮ হাজার হেক্টর বোরো জমির ফসল হানির আশংকা করছে কৃষকেরা। কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, সময়মতো বৃষ্টি হলে লক্ষ্যমাত্রা উৎপাদন সম্ভব হবে।
সোমবার রাজাপালং ইউনিয়নের সিকদারবিল এলাকাঘুরে দেখা যায়, পানির অভাবে বোরো জমি ফেটে চৌচির হয়ে গেছে। বোরো চাষাবাদে গরু-ছাগল লেলিয়ে দেওয়া হয়েছে। স্থানীয় কৃষক ডা. শাহ আলম, প্রবাসী শামশুল আলম জানান, বোরো চাষাবাদে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য সেচ পাম্প স্থাপন করেও কোন কাজ হচ্ছে না। পানি সংকটের কারণে বোরো চাষাবাদ ছেড়ে দিয়ে গরু-ছাগল দিয়ে খাওয়ানো হচ্ছে। এভাবে হরিণমারা, দরগাহপালং, দোছরী, ডেইলপাড়া, গয়ালমারা, করইবনিয়া, রতœাপালং, পাতাবাড়ি, থিমছড়ি, আমতলী, ভালুকিয়া, তুলাতলী, গোয়ালিয়াপালং প্রভৃতি এলাকায় প্রচন্ড খরায় ধান ক্ষেত্র জ্বলে পুড়ে লাল বর্ণ হয়ে যেতে দেখা গেছে।
উপজেলা কৃষি অফিসের তথ্য মতে চলতি মৌসুমে এ উপজেলায় ১ হাজার ৮ শত ৬৭ টি বিদ্যুৎ চালিত অগভীর সেচ যন্ত্র স্থাপন করা হয়েছিল বোরো চাষাবাদে পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার জন্য। কিন্তু পানির স্তর অস্বাভাবিক ভাবে নিচে নেমে যাওয়ার ফলে ওই সেচ যন্ত্রগুলো অকেজো হয়ে পড়েছে। পাশাপাশি বাসাবাড়ির ব্যবহার্য্য নলকূপগুলোতে পানি সংকটের সৃষ্টি য়েছে বলে জানিয়েছেন জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী ইকবাল হোসেন। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা বলছেন, কিছু কিছু গভীর নলকূপে পানি থাকলেও মারাত্মক লোডশেডিংয়ের কারণে তারাও নিয়মিত চাষাবাদে চাহিদামত পানি দিতে পারছেনা। পল¬ী বিদ্যুতের ডিজিএম নুর হোসেন লোডশেডিংয়ের সত্যতা স্বীকার করে বলেন, চাহিদামত বিদ্যুৎ সরবরাহ না থাকার কারণে রাতের বেলায় লোডশেডিং করতে হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা শংকর কুমার মজুমদার জানান, অনাবৃষ্টির ফলে এ অবস্থার সৃষ্টি হলেও সময়মতো বৃষ্টি হলে বোরো চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্রা অর্জিত হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। বোরো চাষাবাদ সংরক্ষণ ও তদারকির জন্য মাঠ পর্যায়ের কর্মকর্তারা তৎপর রয়েছে বলেও তিনি জানিয়েছেন।

আতংকে ছাত্র-ছাত্রী-শিক্ষক, উখিয়ায় বিদ্যালয় পাহাড়ে ভয়াবহ ফাঁটল
SAMSUNG CAMERA PICTURESকক্সবাজারের উখিয়ার করই বনিয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় পাহাড়ে ভয়াবহ ফাঁটল দেখা দেওয়ার ঘটনায় এলাকায় আতংক বিরাজ করছে। হঠাৎ করে দীর্ঘ এ ফাঁটলের ফলে পাহাড় ধ্বসের আশংকায় ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা জনিত কারণে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক প্রশাসনের বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করে পাহাড়ে ফাঁটলের বিষয়টি অবহিত করেছে বলে জানা গেছে।
গতকাল সোমবার দুপুর ১২টার দিকে ওই বিদ্যালয় ঘুরে পাহাড়ে অনাকাংঙ্খিত এ ফাটঁলের ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক মাস্টার মোঃ জানে আলম জানান, গত ১ সপ্তাহ আগে ফাঁটলের একটি আকৃতি দেখা যায়। গত রবিবার থেকে ফাটঁলটি ক্রমশ দীর্ঘায়িত হতে দেখা গেছে। তিনি জানান, পাহাড়ের মধ্যভাগে ফাটঁলের সৃষ্টি হওয়ায় ছাত্রছাত্রীদের মধ্যে আতংক বিরাজ করছে। বিদ্যালয় পরিচালনা কমিটির সভাপতি ইকবাল মনির চৌধুরী জানান,এ এলাকায় কোনদিন ফাঁটল দেখা যায়নি। বিদ্যালয় পাহাড়ে ফাঁটল দেখা দেওয়ায় অভিভাবকদের মধ্যে ছাত্রছাত্রীদের নিরাপত্তা নিয়ে আতংক বিরাজ করছে। তিনি বিষয়টি জরুরী ভিত্তিতে খতিয়ে দেখে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সংশি¬ষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মোজাফ্ফর আহমদ জানান, তিনি ফাঁটলের ব্যাপারে জানেন না।

উখিয়ায় ৭৮৫০ পিচ ইয়াবা উদ্ধার
কক্সবাজারের উখিয়ার সীমান্তের ঘুমধুম ৩১ নাম্বার পিলারস্থ জিরো পয়েন্ট এলাকা থেকে ৭ হাজার ৮শ’ ৫০ পিচ ইয়াবা ট্যাবলেট উদ্ধার করেছে ঘুমধুম বিজিবি সদস্যরা। গোপন সূত্রে সংবাদের ভিত্তিতে বিজিবি সদস্যরা রবিবার রাতে ওই এলাকায় হানা দিলে পাচারকারী চক্র ইয়াবা ফেলে পালিয়ে যায় বলে ঘুমধুম বিজিবি’র সুবেদার মোজাম্মেল হক জানিয়েছেন। ধারণা করা হচ্ছে ইয়াবা পাচারকারী সিন্ডিকেটের সদস্যরা সীমান্ত খাল পার হয়ে ৩১ নাম্বার পিলার এলাকায় বসে ইয়াবা প্যাকেটিং করছিল। বিজিবি সদস্যদের উপস্থিতি টের পেয়ে চোরাচালানীরা পালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।



মন্তব্য চালু নেই