লালমনিরহাটের কিছু খবর :

পাটগ্রাম সীমান্তে বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত

লালমনিরহাটের পাটগ্রাম উপজেলার খেংটি (ডাংগাপাড়া) সীমান্তে ভারতীয় বিএসএফের গুলিতে দুই বাংলাদেশি আহত হয়েছে। বুধবার রাত সাড়ে ৪টায় এ ঘটনা ঘটে।

আহতরা হলেন উপজেলার বুড়িমারী ইউনিয়নের মুংলিবাড়ী এলাকার মৃত সুবুর উদ্দিনের ছেলে রবিউল ইসলাম (২৫) ও একই এলাকার বছির উদ্দিনের ছেলে বকুল হোসেন(২৮)। রবিউলের বাম পায়ে ও বকুলের বাম হাতে গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।

বিজিবি, আহতদের পরিবার ও এলাকাবাসী জানায়, জেলার পাটগ্রাম উপজেলার ১নং শ্রীরামপুর ইউনিয়নের খেংটি(ডাংগাপাড়া) সীমান্তের ৮৪২ নম্বর মেইন পিলারের ৬ ও ৭ নম্বর পিলারের মাঝামাঝি ধরলা নদীর চর দিয়ে ভারতের কোচবিহার জেলার চ্যাংরাবান্ধা সীমান্ত থেকে গুরু নিয়ে ফেরার পথে বুধবার (২১) রাত সাড়ে ৪টায় কোচবিহার-৬১ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের চ্যাংরাবান্ধা বিএসএফ ক্যাম্পের একটি টহলদল গরু পারাপারকারীদের লক্ষ্য করে দুই রাউন্ড গুলি চালায়। এতে বাংলাদেশি রবিউল ইসলাম ও বকুল হোসেন দিক থেকে গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হন। বকুল হোসেন পালিয়ে এসে রংপুরে গোপনে চিকিৎসা নিচ্ছেন। পরে রবিউলকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে পাটগ্রাম হাসপাতালে ভর্তি করেন। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, রবিউলের পা ও বকুলের হাত কেটে ফেলতে হবে। কারণ রবিউলের পায়ের হার ও বকুলের হাতের ভার গুলিবিদ্ধ হয়ে ছিড়ে গেছে।

পাটগ্রাম হাসপাতলের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডাঃ প্রণব কুমার দাস জানান, ‘রবিউলের বাম পায়ের হাটুর নিচে গুলি লেগে হার ছিড়ে গেছে। এতে আপাতত রক্তপাত বন্ধ করা হয়েছে। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য রংপুরে পাঠানো হবে।’

এদিকে বকুলেরও একই অবস্থা বলে তার পারিবারিক সূত্র নিশ্চিত করেছে।

লালমনিরহাট-৩১ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লে. কর্ণেল আহমদ বজলুর রহমান হায়াতী ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, আহত দুই ব্যক্তি চিকিৎসাধীন রয়েছে। বিএসএফকে প্রতিবাদপত্র পাঠানো হবে। এছাড়া পতাকা বৈঠকেরও আহবান জানানো হয়েছে।

 

 

আদিতমারীতে কালভার্টের নিচ থেকে অজ্ঞাত যুবতীর লাশ উদ্ধার
লালমনিরহাটের আদিতমারীতে কালভার্টের নিচ থেকে অজ্ঞাত এক যুবতীর (২০) লাশ উদ্ধার করেছে পুলিশ।
বুধবার বেলা আড়াইটার দিকে আদিতমারী উপজেলার দুর্গাপুর ইউনিয়নের উত্তর গোবদা গ্রামের খালকাটা রাস্তায় আমতলা ব্রীজের কাছে একটি কালভার্টের নিচ থেকে পুলিশ লাশ উদ্ধার করে।

পুলিশ ও স্থানীয়রা জানান, দুপুরে স্থানীয় কৃষকরা কাজ করতে গিয়ে লাশটি কালভার্টের নিচে পড়ে থাকতে দেখে পুলিশ খবর দেয়। পুলিশ কালভার্টের নিচ থেকে লাশটি উদ্ধার করে।

লাল রঙ এর সেলোয়ার কামিজ পরিহীতা এ মেয়েটির গায়ের রং ফর্সা। শুধুমাত্র মুখমন্ডলে নখ দিয়ে ছিলা ফোলা জখম ব্যাতিত শরীরের আর কোথাও কোন আঘাতের চিহ্ন নেই। তবে স্থানীয়দের ধারনা মেয়েটিকে ধর্ষনের পর শ্বাসরোধে হত্যা করে দূর্বৃত্তরা কালভার্টের নিচে ফেলে পালিয়েছে।

ঘটনাস্থলে লাশ দেখতে আসা হাজার হাজার লোক কেউ মেয়েটির নাম পরিচয় শনাক্ত করতে পারে নি বলে জানিয়েছে সংশ্লিষ্ট থানা পুলিশ।
পুলিশ লাশের সুরতহাল রিপোর্ট তৈরী করে লাশ লালমনিরহাট সদর হাসপাতাল মর্গে প্রেরন করবে বলে জানা গেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত আদিতমারী থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আব্দুস সোবাহান ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, এ ঘটনায় প্রথম অবস্থায় থানায় একটি অপমৃত্যু মামলা হবে। এরপর মর্গের রিপোর্ট এলে কিংবা লাশের পরিচয় মিলে গেলে মামলা নেয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই