কলারোয়ায় গৃহবধূসহ প্রতিবন্ধী যুবতীকে চাকুরি প্রলোভনে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি

পাচারকারী মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার পায়তারা অভিযোগ

কলারোয়ায় এক গৃহবধূসহ প্রতিবন্ধী কন্যাকে চাকুরি দেওয়ার প্রলোভন দেখিয়ে ভারতের পতিতালয়ে বিক্রি দেয়া হয়েছে। এঘটনায় ওই দালালের বিরুদ্ধে কলারোয়া থানায় এজাহার দেওয়া হয়েছে।

এদিকে নারী পাচারকারী উপজেলার গনপ্রতিপুর গ্রামের মুনছুর আলী দফাদারের পুত্র হারুন দফাদার (৩০) গোপনে মালয়েশিয়ায় যাওয়ার জন্য পায়তারা করছে। গতকাল শুক্রবার কলারোয়ায় সাংবাদিকদের কাছে দেওয়া অভিযোগে জানা গেছে, উপজেলার বোয়ালীয়া গ্রামের মৃত শফিকুল ইসলামের স্ত্রী মোছাঃ সফুরা বেগম (৪২) ও তার প্রতিবন্ধী কন্যা লিপি খাতুন(২২)কে ভাল চাকুরির প্রলোভন দেখিযে প্রতারক ও নারী পাচারকারী সাতক্ষীরা জেলার কলারোয়া উপজেলার গণপ্রতিপুর গ্রামের মুনছুর আলী দফাদারের পুত্র মোঃ হারুন দফাদার (৩০), একই গ্রামের আশরাফ আলী সরদারের স্ত্রী মনজুয়ারা বেগম (৪২) ও পাঁচপোতা গ্রামের মৃত মইজুদ্দিন সরদারের পুত্র আশরাফ আলী সরদার (৪৮) বিগত ৭মাস পূর্বে ভারতে নিয়ে যায়।

সেখানে চাকুরি দেওয়ার নাম করে মা ও মেয়েকে ভারতের ভান্ডার নামক স্থানে অজ্ঞাত নামা পতিতালয়ে(বারে) মোটা টাকার বিনিময় বিক্রি করে দেয়। পরে উপজেলার বোয়ালীয়া গ্রামের আবুল হোসেনের স্ত্রী শিরিনা খাতুন (৩০) এর সহতায় উক্ত পতিতালয় থেকে সফুরা বেগম পালিয়ে যায়। সেখান থেকে পরবর্তীতে কলারোয়ার লাঙ্গলঝাড়া গ্রামের বানু সরদারের পুত্র রেজাউল করিমের সাথে গত ২৩ নভেম্বর-১৪ তারিখ সকাল সাড়ে ৮টায় বাংলাদেশে সফুরা বেগম চলে আসে। কিন্তু তার প্রতিবন্ধী কন্যা লিপি খাতুন এখনও পর্যন্ত বোম্বে শহরের ওই অজ্ঞাত নামা পতিতালয়ে আটক আছে। এঘটনায় সফুরা খাতুন বাদী হয়ে ওই ৩জন নারী পাচারকারীকে আসামী করে কলারোয়া থানায় একটি এজাহার দায়ের করেন। বর্তমানে আসামীরা নিরহ গৃহবধূকে হত্যার হুমকি দিচ্ছে।

এছাড়া ওই আসামীদের মধ্যে হারুন দফাদার মালয়েশিয়ায় পালিয়ে যাওয়ার জন্য পায়তারা করছে। এই মুহুতেই নারী পাচারকারী হারুন দফাদারকে আটক করে আইনের আওতায় আনার দাবী করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারবর্গ। এছাড়া নিরহ প্রতিবন্ধী লিপি খাতুনকে উদ্ধারের জন্য মানবাধিকার সংস্থা ও স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারবর্গ।

 

কলালোয়ায় থানা পুলিশকে লক্ষ করে গুলিবর্ষণ ও ককটেল নিক্ষেপ
পৌর ছাত্রদলের সভাপতি মজিদ গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় আটক, জামায়াত নেতা নিহত, অস্ত্র উদ্ধার।। ৩ পুলিশ ক্লোজড
কলারোয়ায় থানা পুলিশকে লক্ষ এলোপাতাড়ী ভাবে গুলিবর্ষণসহ ককটেল বিস্ফোরণ ঘটিয়ে হামলা করার সময় কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদকে পুলিশ গুলিবৃদ্ধ অবস্থায় আটকসহ ঘটনা স্থাল থেকে একটি দেশীয় তৈরীর শাটার গান উদ্ধার করেছে। ঘটনাটি ঘটেছে,শুক্রবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে উপজেলার কাজিরহাটের ঠাকুর বাড়ী এলাকায়।

গতকাল শুক্রবার সকালে কলারোয়া থানার অফিসার ইনচার্জ শেখ আবু সালেহ মাসুদ করিম জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে জানতে পারেন যে, কলারোয়া উপজেলার ঠাকুর বাড়ী এলাকায় ১০/১৫জন সন্ত্রাসী নাশকতা মূলক কর্মকান্ড করার জন্য অস্ত্র গুলি নিয়ে প্রস্তুত নিচ্ছে। এমন সংবাদের ভিত্তিতে থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)শেখ শফিকুর রহমানের নেতৃত্বে থানার এসআই হিমেল হোসেন, এএসআই ইকবাল মাহমুদ ও এএসআই মামুনুর রহমান সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ওই স্থানে যাওয়া মাত্রই সন্ত্রাসীরা থানা পুলিশকে লক্ষ করে এলোপাতাড়ী ভাবে গুলি বর্ষণসহ ককটেল নিক্ষেপ করে। এসময় পুলিশ আতœ রক্ষার্থে পর পর ৮রাউন্ড পাল্টা গুলি ছোড়ে।

পুলিশ ও সন্ত্রাসীদের পাল্টা পাল্টি গুলি বর্ষনের সময় কলারোয়া পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদ গুলিবৃদ্ধ হয়। এসময় থানা পুলিশ ঘটনা স্থাল থেকে একটি দেশীয় তৈরী সচল শাটার গান, ২টি বন্দুকের গুলির খোসা, ৮টি লোহার জালের কাটি, ৫টি লাল কসটেপের টুকরা ও কয়েকটি পাথরের টুকরা উদ্ধার করে। আহত আব্দুল মজিদকে পুলিশ উদ্ধার করে সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালে ভর্তি করেছে। এঘটনায় কলারোয়া থানায় পেনাল কোড এর ১৪৩/ ১৮৬/ ১৫৩/ ৩৩২/ ৩৫৩/ ৩৪তৎসহ ১৯০৮ সালের বিস্ফোরক উপাদান আইনে ৩/৪ এবং অস্ত্র আইনের ১৯ (ক) ও (চ) ধারায় একটি মামলা নং- ০১/১৫ দায়ের হয়েছে।

এদিকে কলারোয়া থানার পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত)শেখ শফিকুর রহমান জানান, আটকৃত আব্দুল মজিদ ২০০২সালে কলারোয়ায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার গাড়িবহরে হামলা মামলার এজাহারভুক্ত আসামী। যার মামলা নং-১৪,তারিখ-১৫ অক্টোবর-১৪। এই মামলাটির বাদী বীর মুক্তিযোদ্ধা ও যুদ্ধাকালিন কমান্ডার মোসলেম উদ্দিন। অন্যদিকে একটি সুত্র জানায়, যশোর পুলিশ হেফাজত থেকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গাড়িবহরের মামলা দুই আসামি গত বৃহস্পতিবার বিকাল ৫টার দিকে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের নতুনহাট পাবলিক কলেজ এলাকা থেকে পুলিশ ভ্যান থেকে লাফিয়ে পালিয়ে যায়। এঘটনায় দায়িত্ব অবহেলার অভিযোগে এজন সহকারী উপ পরিদর্শকসহ তিন পুলিশ সদস্যকে ক্লোজড করা হয়েছে। যশোর পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, দায়িত্ব অবহেলার জন্য তিন পুলিশকে সদস্যকে পুলিশ লাইনে ক্লোজড করা হয়েছে।

২৪ ঘটনার মধ্যে আসামিদের হাজির না করতে পারলে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানান। গত ৪ ফেব্র“য়ারী রাত ৯টার দিকে শার্শা থানা পুলিশ জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলামকে আটক করে। পরবর্তীতে বৃহস্পতিবার শার্শা থানার এএসআই সোমেন ও কনস্টেবল মাহমুদুর রহমান রবীন্দ্রনাথ মিলে একটি থ্রি-হুইলারে করে দুই আসামীকে যশোর আদালতে নিয়ে যাচ্ছিল। পথিমধ্যে যশোর-বেনাপোল মহাসড়কের সদর উপজেলার নতুনহাট এলাকায় পৌছালে দুই আসামী পুলিশের হাত থেকে লাফিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। পালিয়ে যাওয়া আসামীর মধ্যে রয়েছে সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কাশিমপুর গ্রামের মৃত নূর আলী সানার পুত্র জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলাম (৩০) ও কলারোয়া উপজেলার তুলসীডাঙ্গা গ্রামের আব্দুস সাত্তারের পুত্র পৌর ছাত্রদলের সভাপতি আব্দুল মজিদ (৩২)।

অন্য একটি সুত্রে জানা গেছে জামায়াত নেতা শহিদুল ইসলাম পুলিশের গুলিতে নিহত হয়েছে বলে যশোর জেলা জামায়াতের প্রচার সম্পাদক অধ্যাপক শাহাবুদ্দিনসহ জামায়াত নেতারা দাবী করেন।



মন্তব্য চালু নেই