পাগড়ি বাঁধার নিয়ম

পাগড়িকে নিয়মিত পোশাকের অংশ বানানো যে উত্তম কাজ এবং সুন্নাত। কারণ আমাদের প্রিয় নবী হযরত মুহাম্মদ (সা.) নিজে পাগড়ি পরিধান করেছেন। তাই পাগড়িকে মুসলমানদের বৈশিষ্ট্যমণ্ডিত পোশাক বলা যায়। এতে কোনো সন্দেহ নেই। তবে পাগড়ি শুধু নামাজের সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত নয়। বরং আপনি সব সময়ই পাগড়ি পরিধান করতে পারেন।

পাগড়ি বাঁধার বিভিন্ন পদ্ধতি আছে। সেগুলো হলো-
ক. পূর্ণ পাগড়ি মাথার ওপর বাঁধা এবং এর কোনো লেজ বা ঝুল না রাখা।

অথবা

খ. পূর্ণ পাগড়ি মাথার ওপর বাঁধা এবং লেজ বা ঝুল পেছনে ঝুলিয়ে রাখা।

নবী করিম (সা.) থেকে উভয় পন্থার পাগড়ি বাঁধার কথা প্রমাণিত। তবে তিনি সাধারণতঃ দু’কাঁধের মাঝামাঝি স্থানে পেছন দিকে পাগড়ির লেজ ঝুলিয়ে রাখতেন।

ইমাম নববি (রহ.) বলেন, রাসূলুল্লাহর (সা.) পাগড়ি দুই ধরণের ছিল। ছোট পাগড়ি ছিল আনুমানিক তিন গজ কাপড়ের, আর বড় পাগড়ি ছিল সাত গজ কাপড়ের। -আপকি মাসায়েল আওর উনকা হল

পাগড়ি টুপির ওপর এবং টুপি ছাড়া উভয়ভাবে ব্যবহার করা যায়। তবে ভিন্ন ধর্মাবলম্বিদের সঙ্গে সাদৃশ্য হতে পারে বিধায় পাগড়ি টুপির ওপর বাঁধা উত্তম।



মন্তব্য চালু নেই