পাখির কিচিরমিচির চোখ নেয়ে যায় বকের রাজ্যে

লম্বা পা ফেলে দলবেঁধে খাবারের সন্ধান, উড়ে বেড়ানো কিংবা পড়ন্ত বিকেলে নীল আকাশে বক পাখি দের ঝাঁক বাঁধা পাখির এই মিছিল প্রকৃতির মাঝেই ছড়িয়ে দেয় ভিন্ন এক সৌন্দর্য।

সচারচার হাওড় বাওড়, খাল বিল আর জলাশয়ে এ পাখির দেখা মিললেও দিন দিন হারিয়ে যাচ্ছে বক। পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষায় দ্রুত পাখির প্রতি সহানুভূতিশীল আর পাখি সংরক্ষণে আরো কার্যকর ব্যবস্থা নেয়া প্রয়োজন।

সারি সারি বক। আকাশে ঝাঁকে ঝাঁকে ডানা মেলে উড়ছে আর বিচিত্র ঢংযে নেমে আসছে জলাশয়ের পাশের চরের মতো এক চিলতে জমিতে।
এভাবেই সাভারের আশুলিয়ায় নিজেদের অভয়ারণ গড়ে তুলেছে বক প্রজাতির অসংখ্যক পাখি। সকাল শেষে গোধূলী লগ্ন পর্যন্ত বকের সাদা শুভ্র পালকের ঝাঁপটায় বদলে গেছে সেখানে প্রকৃতির রঙ। সবুজের মাঝে সাদার আল্পনা একেঁ দলবেধে হৈচৈ, ডাকাডাকি আর উড়াউড়ির মধ্যেই দিন কাটে এসব পাখির। এ দৃশ্যে মুগ্ধ প্রকৃতিপ্রেমীদের অনেকে। প্রকৃতির আর পাখির নিবিড় বন্ধন দেখতে অনেকেই ছুটে যান সেখানে।

সাভারের আশুলিয়ার গণ বিশ্ববিদ্যালয় যাবার পথেই ডান দিকে এনায়েতপুর গ্রাম অতিক্রমের সময় পাখির কিচিরমিচির চোখ নেয়ে যায় বকের রাজ্যে। স্থানীয় বাসিন্দাদের নিবিড় ভালোবাসায় সেখানে বাসা বেধেছে ঝাঁকে ঝাঁকে বক। আর চোরা শিকারীদের হাত থেকে নিরাপদ হওয়ায় দূর দূরান্ত থেকেও বক প্রজাতির অনেকে ঠাঁই নিয়েছে এখানে। সারিবদ্ধভাবেই চলছে খাবার সংগ্রহ। নিজেদের অভয়ারণ্য গড়ে চলছে প্রজনন আর বংশবিস্তার।

আর এতসব প্রতিকূলতার মাঝেই আশুলিয়ায় গণ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাছে বক প্রজাতির পাখি নিজেদের অভয়ারণ্য গড়ে তোলায় বিষয়টিকে ইতিবাচক হিসেবে্ই দেখছেন অনেকে। আর এ সৌন্দর্যের টানেই অবসরে সেখানে ছুটে যান প্রকৃতি প্রমীদের অনেকেই।

গণ বিশ্ববিদ্যালয় ঘেঁষে আশুলিয়ার বাশবাড়ি আর এনায়েতপুর গ্রামের মাঝামাঝি জলাশয়ে দেখা মিলবে এই পাখির। জলাভূমির ভারসাম্য রক্ষায় নিবেদিত এই পাখির এখানে অভয়ারণ্য গড়ার পেছনে ভরসা – পাখির প্রতি গ্রামবাসীর মমতা আর ভালোবাসা।

এ বিসয়ে আইন বিভাগের ৭ম সেমিস্টারের শিক্ষার্থী এম.এ আওয়াল বলেন, প্রকৃতিতে এই পাখির অবদান গুরুত্বপূর্ণ। এবং এই পাখি প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষায় কাজ করছে।

গ্রামবাসী এবং আমরা সকলেই যদি এ পাখি সংরক্ষণে এগিয়ে আসি তাহলে এটি পাখি প্রেমিকদের জন্য একটা স্পটে পরিণত হবে।



মন্তব্য চালু নেই