পাক-ভারত মহারণে ১০ তথ্য

আগামী ১৫ ফেব্রুয়ারী ভারত-পাকিস্তান মহারণ। বিশ্বকাপের এই রুদ্ধশ্বাস ম্যাচ দেখার জন্য উন্মুখ হয়ে আছে কোটি কোটি দর্শক। বিশ্বকাপে পাঁচ বারের সাক্ষাতে একবারও জয়ের স্বাদ পায়নি পাকিস্তান৷ এবার পরিসংখ্যানটা বদলাতে মরিয়া মিসবাহ অ্যান্ড কোং৷ দেখে নেয়া যাক, বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচের ১০ গুরুত্বপূর্ণ তথ্য।

১. বিশ্বকাপে এই প্রথমবার শচীন টেন্ডুলকার ছাড়া হচ্ছে পাক-ভারত লড়াই৷ পাঁচবারের (১৯৯২, ৯৬, ৯৯, ২০০৩ ও ২০১১) সাক্ষাতে প্রতিবারই খেলেছেন শচীন৷ এর মধ্যে তিনবারই ‘ম্যান অফ দ্য ম্যাচ’ হয়েছেন মাস্টার ব্লাস্টার। কিন্তু ২০১৩-এর নভেম্বরে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় জানানোয় রবিবার অ্যাডিলেডের লড়াইয়ে নেই শচীন।
২. ভারত এই দলে মাত্র তিন ক্রিকেটারের (অধিনায়ক মহেন্দ্র সিং ধোনি, বিরাট কোহলি ও সুরেশ রায়না) বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে৷ ২০১১ বিশ্বকাপ সেমিফাইনালে খেলেছিলেন এই তিনজন।
৩. পাক দলে রয়েছেন পাঁচ ক্রিকেটার৷ যাঁরা এর আগে বিশ্বকাপে ভারতের বিরুদ্ধে খেলেছেন৷ এরা হলেন অধিনায়ক মিসবাহ, আফ্রিদি, ইউনিস, উমর আকমল ও ওয়াহাব রিয়াজ৷
৪. বিশ্বকাপে সবচেয়ে বেশিবার ভারত-পাক ম্যাচ খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে আফ্রিদির। ১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০১১ বিশ্বকাপে খেলেছেন বুম বুম আফ্রিদি৷
৫.বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিরুদ্ধে কোনও ভারতীয় ব্যাটসম্যানের সেঞ্চুরি নেই। সর্বোচ্চ শচীনের ৯৮৷ ২০০৩-এ সেঞ্চুরিয়নে করেছিলেন শচীন।
৬. বিশ্বকাপে পাক-ভারত ম্যাচে একমাত্র সেঞ্চুরিয়ান পাকিস্তানের সাঈদ আনোয়ার (১০১)। ২০০৩-এ সেঞ্চুরিয়নে করেছিলেন এই পাক ওপেনার।
৭. বিশ্বকাপে পাকিস্তান একবারও ভারতকে অল-আউট করতে পারেনি। ভারত তিনবার (১৯৯২, ১৯৯৯ ও ২০১১) অল-আউট করেছে।
৮. রবিবার পাক-ভারত মহারণের টিকিট মাত্র ২০ মিনিটে বিক্রি হয় যায়। যা সব রেকর্ড ভেঙে দিয়েছে।
৯. বিশ্বকাপে পাক-ভারত ম্যাচে সবচেয়ে বেশি রান শচীনের। পাঁচ ম্যাচে তিনটি হাফ-সেঞ্চুরিসহ ৩১৩ রান রয়েছে এই মাস্টারের।
১০. বিশ্বকাপে পাক-ভারত ম্যাচে সবচেয়ে বেশি উইকেট ভারতের ভেঙ্কটেশ প্রসাদের। দু’টি ইনিংসে আটটি উইকেট নিয়েছেন প্রসাদ।



মন্তব্য চালু নেই