পাক জঙ্গি ঠেকাতে বাংলাদেশ সীমান্তে ভারতের সতর্ক অবস্থান
বাংলাদেশ সীমান্তেও কড়া অবস্থান নিয়েছে ভারতীয় বাহিনী। পাক জঙ্গিরা যাতে এ সীমান্ত দিয়ে বাংলাদেশে প্রবেশ করতে না পারে সেদিকে কঠোর নজরদারি করা হচ্ছে। ইতিমধ্যে বিয়য়টি নিয়ে সেনাবাহিনীর আশঙ্কার কথাও বিএসএফকে জানানো হয়েছে। বলা হয়েছে, উত্তরবঙ্গেও সম্পূর্ণ সীমান্ত ধরে কড়া নজরদারি চালাতে। আর এজন্য বিএসএফের জওয়ানদের সব ছুটি আপাতত বাতিল করা হয়েছে।
সম্প্রতি কাশ্মীর ইস্যুতে পাক-ভারত সম্পর্কের মধ্যে নতুন করে উত্তেজনা চলছে। এরই রেশ ধরে বাংলাদেশ সীমান্তে কড়া নজরদারি করছে ভারতীয় বাহিনী।
পাক-ভারত টানাপোড়েনের মধ্যেও ভারত-বাংলাদেশ সীমান্ত দিয়ে চোরা চালান থামেনি। বরং সে হার অনেকটা বেড়েছে। অনুসন্ধানের জানা গেছে, পশ্চিমঙ্গ সীমান্ত এলাকা থেকে এখনো গরু চোরা চালান চলছেই। পা-ভারত উত্তেজনার কোন বিরূপ ছায়া সেখানে পড়তে দেখা যায়নি। তবে বেশ কিছুদিন ধরেই বিএসএফের পক্ষ থেকে পশ্চিমবঙ্গ সরকারকে সীমান্ত এলাকা থেকে গরু হাটগুলিকে সরিয়ে নেবার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে। তবে এর কার্যকারি কোন পদক্ষেপ এখন পর্যন্ত লক্ষ্য করা যায়নি।
শুধু তাই নয়, সম্প্রতি বাংলাদেশ থেকে ভারতে রসুন পাচারের মত ঘটনাও অনেক বেড়েছে। বিএসএফ’র একটি সূত্র বলছে, সীমান্তে ভারত থেকে বাংলাদেশে মূলত চোরাচালান হলেও এবার বাংলাদেশ থেকেও চোরাচালান বেড়ে চলেছে। বাংলাদেশ থেকে ভারতে রসুন আসার ঘটনা বেড়েছে। সম্প্রতি উত্তর ২৪ পরগণার গাইঘাটায় পুলিশ বাংলাদেশ থেকে পাচার হয়ে আসা প্রায় ২ হাজার কেজি রসুন আটক করেছে। জেলা পুলিশ সুত্রে বলা হযেছেম বাংলাদেশের রসুনের কোয়া অনেক বড় এবং দামেও সস্তা। আর এরই সুযোগ নিয়ে বাংলাদেশ থেকে রসুন পাচার বেড়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, এ মাসের ১৮ তারিখে ভারত শাসিত কাশ্মিরের উরিতে এক সেনা শিবিরে সন্ত্রাসী হামলায় ১৮ জন সৈন্য মারা যাবার পর থেকেই দুই প্রতিবেশির মধ্যে চরম উত্তেজনা চলছে।
বৃহস্পতিবার মধ্যরাতে নতুন মোড় নিয়েছে ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা। ভারতের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত জম্মু-কাশ্মীরের নিয়ন্ত্রণ রেখায় সন্ত্রাসীদের ‘লঞ্চ প্যাডে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ চালিয়েছে ভারতীয় সেনাবাহিনী। সুনির্দিষ্ট গোয়েন্দা তথ্যের ভিত্তিতে সেনারা ওই অভিযান চালিয়েছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর ডিরেক্টর জেনারেল অব মিলিটারি অপারেশনস (ডিজিএমও) লেফটেন্যান্ট জেনারেল রণবীর সিং বলেছেন, এ হামলায় উল্লেখযোগ্য ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে।
ওদিকে ভারতের ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইকে’র দাবিকে প্রত্যাখ্যান করেছে পাকিস্তান। পাকিস্তানের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, সীমান্তে গোলাগুলি হয়েছে। এতে দুই পাকিস্তানি সেনা নিহত হয়েছে। এ ঘটনার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ শুক্রবার মন্ত্রিপরিষদের বৈঠক আহ্বান করেছেন।
পাকিস্তান সেনাবাহিনীর দেয়া এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, আসলে সীমান্তের দু’পাড়ের মধ্যে গুলিবিনিময় হয়েছে। ইচ্ছাকৃতভাবে একে ভারত ‘সার্জিক্যাল স্ট্রাইক’ বলে চালিয়ে দিচ্ছে। পাকিস্তান পরিষ্কার করে জানাচ্ছে যে, যদি পাকিস্তানের মাটিতে সার্জিক্যাল স্ট্রাইক হয় তাহলে কড়াভাবে একই রকম জবাব দেয়া হবে।
মন্তব্য চালু নেই