পাওনা টাকা চাওয়ায় হত্যার পর কুয়ায় লাশ
পাওনা টাকা চাওয়াকে কেন্দ্র করে নওগাঁর মান্দায় আবদুল মালেক (৩২) নামে এক যুবককে হত্যা করে কুয়ায় লাশ ফেলেছে দুর্বৃত্তরা। এ ঘটনায় জড়িত সন্দেহে দুজনকে আটক করেছে পুলিশ।
গত ১১ এপ্রিল উপজেলার কশব ইউনিয়নের কুড়িয়াপাড়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। ঘটনার তিন দিন পর শুক্রবার দুপুরে মৃতদেহ উদ্ধার করে রাজশাহীর ফায়ার সার্ভিস।
নিহত আবদুল মালেক কুড়িয়াপাড়া গ্রামের মৃত রহমান আলী প্রামানিকের ছেলে।
আটককৃতরা হলেন- একই গ্রামের মোসলেম আলী সরদারের ছেলে আমিরুল ইসলাম সরদার (৩২) এবং মেহের আলী আকন্দের ছেলে পিন্টু আকন্দ (২৬)।
স্থানীয় ও থানা পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, হত্যাকাণ্ডের শিকার আবদুল মালেক প্রতিবেশী আমিরুল ইসলাম সরদারের কাছে ঋণ বাবদ কিছু টাকা পাওনা ছিলেন। পাওনা টাকা নিয়ে প্রায়শই তাদের মধ্যে দ্বন্দ্ব লেগে থাকতো।
গত ১১ এপ্রিল রাতে আবদুল মালেক আবারো পাওনা টাকা চাইতে গেলে বাকবিতণ্ডার একপর্যায়ে আমিরুল তাকে বেধড়ক মারধর করেন। এতে মাথায় আঘাত পেয়ে ঘটনাস্থলেই আবদুল মালেকের মৃত্যু হয়।
এসময় কৌশলে আমিরুল বাড়ির পাশে একটি কুয়ার মধ্যে বস্তায় ভরে আবদুল মালেকের লাশ ফেলে দিয়ে গুম করার চেষ্টা করেন।
আবদুল মালেকের স্ত্রী ও তার পরিবারের সদস্যরা তাকে বিভিন্ন স্থানে খোঁজ করে না পেয়ে বিষয়টি থানা পুলিশকে জানায়। পুলিশ প্রতিবেশী আমিরুলকে পর জিজ্ঞাসাবদে মূল ঘটনা বেরিয়ে আসে।
মান্দা থানার ওসি আনিছুর রহমান বলেন, পাওনা টাকার জের ধরে হত্যাকাণ্ডের ঘটনাটি ঘটে। জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার কথা স্বীকারও করেছেন আমিরুল।
তিনি জানান, মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নওগাঁ সদর হাসপাতাল মর্গে পাঠানো হয়েছে। ওই যুবকের স্ত্রী ডলি বিবি বাদী হয়ে থানায় একটি মামলা করেছেন। আটক দুজনকে জিজ্ঞাসাবাদ শেষে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হবে।
মন্তব্য চালু নেই