পাঁচ বছরের শিশু’র ধর্ষক কালা সাইফুলের ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে দিনাজপুর
শাহ্ আলম শাহী, স্টাফ রিপোর্টার, দিনাজপুর থেকেঃ পাঁচ বছরের শিশু পূজার ধর্ষক নরপিশাচ সাইফুল ইসলাম ওরফে কালা সাইফুলের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি ও ফাঁসির দাবিতে ফুঁসে উঠেছে দিনাজপুর।
বিক্ষোভ,মানববন্ধন ও সমাবেশ অব্যাহত রয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার ও বুধবারে মানববন্ধন হয়েছে পার্বতীপুরের জমিরহাট হাইস্কুল ও রঘুনাথপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে।
আসামী সাইফুলকে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত আজ বৃহস্পতিবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
এদিকে দিনাজপুরের পার্বতীপুরে ধর্ষিত পাঁচ বছরের শিশুটির চিকিৎসার জন্য আট সদস্যের বোর্ড গঠন করেছে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।গাইনি বিভাগের প্রধান ফেরদৌসি ইসলামের নেতৃত্বে এই বোর্ড করা হয়েছে বলে হাসপাতালের উপ-পরিচালক খাজা আব্দুল গফুর জানিয়েছেন।
বোর্ডের সদস্যরা হলেন- আশরাফ উল হক কাজল, আমানুর রসুল, জিল্লুর রহমান, সাদিয়া আনোয়ার, মো. আবুল কালাম, আব্দুল্লাহ আল মামুন, মো. মোজাম্মেল হোসেন। সমন্বয়ক হিসেবে রয়েছেন বিলকিস বেগম।
এ ব্যাপারে দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ, পার্বতীপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ মাহমুদুল আলম ও মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা সাব ইন্সপেক্টর স্বপন কুমার চৌধুরী ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। দিনাজপুর জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর) মোঃ মাহফুজ্জামান আশরাফ বলেন, লোমহর্ষক এ ঘটনায় ধর্ষকের সর্বোচ্চ শান্তির জন্য সঠিক তদন্ত এ অকাট্য প্রমানসহ স্বাক্ষ্যের প্রয়োজন রয়েছে। ওসি মাহমুদুল আলম স্বাক্ষীদের নির্ভয়ে সঠিক স্বাক্ষ্যদানের আহবান জানান। তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই স্বপন কুমার চৌধুরী বলেন, সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করা হচ্ছে। অভিযুক্ত ব্যক্তির সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার জন্য সবার সহযোগিতার দরকার বলে তিনি উল্লেখ করেন।
উল্লেখ,গত ১৮ অক্টোবর পার্বতীপুর উপজেলার সিঙ্গীমারী জমিরহাট গ্রামের ওই শিশু বাড়ির সামনে থেকে নিখোঁজ হয়। সন্ধান না পেয়ে ওইদিন রাতে তার বাবা পার্বতীপুর মডেল থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি করেন।পরদিন ভোরে বাড়ির পাশে একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মেয়েটিকে রক্তাক্ত অবস্থায় উদ্ধার করে পার্বতীপুর ল্যাম্প হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে পাঠানো হয় রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে। সেখানেও অবস্থার উন্নতি না হওয়ায় তাকে ঢাকায় পাঠানো হয়।
গত ২০ অক্টোবর রাতে শিশুটির বাবা একই গ্রামের জহির উদ্দিনের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪২) ও আফজাল হোসেন কবিরাজকে (৪৮) আসামি করে পার্বতীপুর মডেল থানায় ধর্ষণ মামলা করেছেন।
মামলার প্রধান আসামি সাইফুলকে পুলিশ গ্রেপ্তার করেছে। অপর আসামি পলাতক রয়েছে। আসামী সাইফুলকে ৭ দিনের রিমান্ডের জন্য আদালতে আবেদন করলে আদালত আজ বৃহস্পতিবার ৫ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই