পাঁচবিবিতে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে ব্যাস্ত গাছারিরা
তোহা আলম প্রিন্স, পাঁচবিবি (জয়পুরহাট) প্রতিনিধিঃ জয়পুরহাটের পাঁচবিবিতে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে ব্যাস্ত গাছারিরা। কার্তিক মাসে শীত অনুভব হতে না হতেই পাঁচবিবি উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে খেজুরের রস সংগ্রহ করতে ব্যাস্ত সময় পার করছে গাছারিরা।
নতুন ধানের আগমন ঘটতে না ঘটতেই ঘরে ঘরে নানান রকমের পাটি সাপটার পিঠার ধুম, পাকান পিঠা, নতুন ধানের আটার সাথে খেজুরের গুড় ও কলা একত্রে মিশেয়ে সিন্নি তৈরী করার জন্য গ্রাম গঞ্জে খেজুরের গুড় নিয়ে ব্যাস্ত গাছারিরা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রাম ঘুরে দেখা গেছে প্রতিবছরের ন্যায় এবারও দেশের বিভিন্ন স্থানের মত পাঁচবিবি উপজেলার ৮ টি ইউনিয়ন ও একটি পৌরসভাতে রস সংগ্রহের জন্য গাছারীরা খেজুর গাছের মালিকের সাথে চুক্তি করে রস সংগ্রহ করার জন্য গাছ প্রস্তুত করতে ব্যাস্থ হয়ে পড়েছে।
গ্রামের মানুষ খেজুর গাছ তেমন রোপন না করলেও জমির আইলে ও পতিত জমির বিভিন্ন জায়গায় এক সময় প্রচুর খেজুর গাছ দেখা যেত। কালের পরির্বতনে এখন তেমন একটা খেজুর গাছ দেখা যায় না। খেজুর গাছের কাঠ দিয়ে কোন আসবাব পত্র তৈরী হয় না। শুধু জালানী হিসেবে ব্যবহার হয়। যার কারণে খেজুর গাছ রোপনে কেহ তেমন আগ্রহ দেখায়না। বছরে একবার খেজুর গাছ রস দেয়। সেই রসের গুড়ের স্বাদ আর গন্ধে মন ভরে যায়। গুড়ের চাহিদার তুলনায় উৎপাদন অনেক কম।
পৌরসভার পশ্চিম বালিঘাটা গ্রামের গাছারী আব্বাস উদ্দিন জানান গত কয়েক বছর আগে যে পরিমাণ খেজুর গাছ ছিল বর্তমানে তা আর নেই, দিনে দিনে কমে যাচ্ছে। কার্তিক মাসে গাছ প্রস্তুত করতে আমরা এখন ব্যাস্ত। খেজুরের রস সংগ্রহ করে তা থেকে গুড় তৈরী করে আগের মত এখন আর লাভ হয়না। কিন্তু কি করব বাব দাদার পেশাকে ধরে রেখেছি।
এখন থেকে মাঘ মাস পর্যন্ত খেজুরের রস সংগ্রহ করব। সেই রস টিনের পাত্রে জাল দিয়ে পাতলা নালি গুড়, পাটালি ও দানাদার গুড় তৈরী করে বাজারজাত করব। এলাকায় খেজুর গাছ কম থাকায় মানুষের চাহিদা মত গুড় দিতে পারিনা। গ্রামের মানুষ আর কিছুদিনপর সকালবেলা ঘুম থেকে উঠে চাঁদর মুড়ি দিয়ে কাঁপপে আর খেজুরের রস-মুড়ি একসঙ্গে নিয়ে খেতে বসবে।
মন্তব্য চালু নেই