পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে গুলশান হামলার মূলহোতা!
গুলশানের হলি আর্টিজান বেকারি রেস্তোঁরায় প্রাণঘাতি হামলার মূলহোতা পশ্চিমবঙ্গে লুকিয়ে রয়েছে বলে খবর প্রকাশ করেছে ভারতীয় সংবাদ মাধ্যম ইকোনোমিকস টাইমস ও টাইমস অব ইন্ডিয়া। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার পররাষ্ট্র বিষয়ক শীর্ষ উপদেষ্টা গওহর রিজভীর বরাত দিয়ে এ তথ্য প্রকাশ করা হয়।
বৃহস্পতিবার ভারতের সাথে নিখোঁজ যুবকদের তথ্য আদান-প্রদানে বাংলাদেশ সরকারের ইচ্ছার কথা জানিয়েছেন রিজভী। পাশাপাশি তিনি আন্ত:সীমানা সন্ত্রাস দমনে দেশের অভিপ্রায়ের প্রতি জোর দিয়েছেন।
রিজভীর বরাত দিয়ে ঢাকা ট্রিবিউনে প্রকাশিত ওই প্রতিবেদনে দাবি করা হয়, ১লা জুলাই গুলশান হত্যাকা-ের মূল পরিকল্পনাকারী হামলার সাত মাস আগেই পশ্চিমবঙ্গে পাড়ি দিয়েছেন।
এদিকে, পশ্চিমবঙ্গের তদন্তকারীরা শীর্ষ জেএমবি অপারেটিভ মো: সুলাইমানের গতিবিধ পর্যবেক্ষণ করে আসছে। ১০ দিন আগে বর্ধমান থেকে আইএস অপারেটিভ আবু আল মুসা আল বেঙ্গলি ওরফে মুসাকে আটক করে সিআইডি। তাকে জিজ্ঞাসাবাদে সুলাইমানের নাম গুরুত্বের সঙ্গে উঠে আসে। সুলাইমান বিগত দুই বছর যাবত মুসাকে দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।
আঞ্চলিক সহযোগিতার ওপর আয়োজিত এক সম্মেলনে রিজভী বলেন, বাংলাদেশ থেকে নিখোঁজ হওয়া যুবকদের তথ্য প্রস্তুত করছে। তাদের ধরতে ভারতের কাছে এ তথ্য প্রদান করা হবে বলে জানান তিনি।
ঢাকা হামলার তিন সন্ত্রাসী অভিজাত পরিবারের সন্তান। হামলার আগে চার থেকে ছয়মাস নিখোঁজ ছিল তারা। অন্যান্য তদন্ত থেকে জানা যায়, ঢাকা থেকে শতাধিক যুবক নিখোঁজ হয়েছে। এদের বেশিরভাগের বয়স কুড়ি বছরের মধ্যে।
এ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হলি আর্টিজান হমলার মূল হোতা ভারতে পাড়ি দিয়েছে। পশ্চিমবঙ্গের কোথাও সে লুকিয়ে রয়েছে। তদন্তকারীরা ঘটনার তদন্ত করে দাবি করেছে তারা মূল হোতাকে শনাক্ত করতে পেরেছেন। হামলার পরিকল্পনা চূড়ান্ত করার পর সাত মাস আগেই সে দেশ থেকে পালিয়েছে বলে জানানো হয়।
মূলহোতার নিখোঁজের সময়কালকে ঘিরে ভারতীয় গোয়েন্দারা বলছেন, মুসা সুলাইমানের সঙ্গে সীমান্ত জেলা মালদায় সাক্ষাৎ করেছেন। এর আগে তারা ২০১৪ থেকে ২০১৫ সালের মধ্যে ছয়বার সাক্ষাৎ করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই