পর্যটক মৌসুমকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে আসছে মাদকের চালান

পর্যটক মৌসুমকে সামনে রেখে মিয়ানমার থেকে টেকনাফের বিভিন্ন পয়েন্ট দিয়ে হরেক রকম মাদক দ্রব্য প্রবেশ করছে। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, টেকনাফের এক শ্রেণীর মাদক চোরাচালানী সিন্ডিকেট আদম পাচারের ঘাটওয়ালাদের সাথে অংশিদারিত্ব ব্যবসায় এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছে।

সন্ধ্যা হলে বিশেষ করে টেকনাফ পৌরসভার নাইট্যংপাড়া, হেচ্ছারখাল, সদর ইউনিয়নের বরইতলী, কেরুনতলী, দমদমিয়া, পৌরসভার জালিয়াপাড়া, মৌলভীপাড়া, নাজির পাড়া, হ্নীলা ইউনিয়নের জাদী মুরা. নয়াপাড়া, আলীখালী, লেদা, চৌধুরী পাড়া, নাটমুরাপাড়া, ওয়াব্রাং ইত্যাদি পয়েন্ট দিয়ে হরেক রকম মাদক দ্রব্য বাংলাদেশে প্রবেশ করছে।

এ মাদক দ্রব্যের মধ্যে রয়েছে ইয়াবা, গোল্ডেন বিয়ার, হুস্কি, ডাইজিন কান্ট্রি ইত্যাদি। এসমস্ত মাদক দ্রব্য মিয়ানমার থেকে বিভিন্ন কলা কৌশলে সন্ধ্যা নামার সাথে সাথে রাত ব্যাপী বাংলাদেশে ছোট ছোট বিহীঙ্গী নৌকা যোগে প্রবেশ করে।

এ সময় মাদক সিন্ডিকেটের সদস্যরা টহল বিজিবিদেরকে নজরে নজরে রাখে। তাদের গতিবিধি লক্ষ্য রেখে তাদের অগোচরে মালামাল গুলো ডাঙ্গায় উঠায়। এ সমস্ত মালামাল রাখার স্থান হচ্ছে বাংলাদেশের নাফনদীর পার্শ্বের ছোট ছোট বাড়ী-ঘর, বিভিন্ন বাসা ইত্যাদি।

রাত গভীর হলে টহল বিজিবির গতিবিধি লক্ষ্য রেখে প্রধান সড়কের কাছা-কাছি নিয়ে আসে। এখানে আনার পর কক্সবাজার, চট্টগ্রাম ও ঢাকাগামী বিভিন্ন যানবাহনের যন্ত্রাংশে ফিট করে বিভিন্ন পণ্যের ভিতর দিয়ে সু-কৌশলে নিয়ে যাচ্ছে দেশের অভ্যান্তরে।

এ ক্ষেত্রে মাদক ব্যবসায়ীরা ব্যবহার করছে যানবাহনের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারদেরকে।

স্থানীয়দের অভিমত হচ্ছে, মিয়ানমার থেকে বাংলাদেশে মাদক প্রবেশের সহযোগিতাকারীরা হচ্ছেন নাফনদীতে মাছধরার নামধারী জেলেরা। কেন না এরা বেশীর ভাগই বাংলাদেশের অবৈধ ভাবে বসবাসকারী রোহিঙ্গা নাগরিক। অপর দিকে টেকনাফে অবস্থানরত বিভিন্ন যানবাহনের চালক, সুপারভাইজার ও হেলপারগণ।

জেলেও গাড়ীর চালক, সুপারভাইজার এবং হেলপারদের একটি ছবি ও বায়োডাটা যুক্ত তালিকা তৈরী, মোবাইল নাম্বার সংরক্ষণ এবং মোবাইলের কল লিষ্ট পরীক্ষা করা গেলেই অনেক জেলে এবং গাড়ীর চালাক, সুপারভাইজার এবং হেলপার আটক হবে। হ্রাস পাবে মাদকের চালান।

এদের অগোচরে কোন দিন মাদকের চালান এক স্থান হতে অন্য স্থানে দেশের অভ্যান্তরে যেতে পারেনা বলে অভিমত টেকনাফ উপজেলার সচেতন মহলের।

এ ব্যাপারে আইন প্রয়োগকারী, গোয়েন্দা সংস্থা ও স্থানীয় প্রশাসনকে ইহা গুরুত্ব সহকারে বিবেচনা করা উচিত বলে এদের ধারণা।



মন্তব্য চালু নেই