পর্নগ্রাফি ও মোবাইল সেক্স! বাংলাদেশের পারিবারিক জীবনের এক বড় হুমকি

আজ একজন লেখকের লেখা পড়ে ভয়ানক আতকেঁ উঠলাম। পর্নগ্রাফি আর মোবাইল সেক্স দাবানলের মত ছড়িয়ে পড়েছে তরুন তরুনীদের মধ্যে। তরুন তরুনীদের রাতে মোবাইল সেক্সের মাধ্যমে যৌন কষ্ট শেয়ার না করলেই যেন নয়। এ নেশা তরুন তরুনীদের পড়াশুনা, সামাজিক, পারিবারিক জীবনে দারুন ক্ষতি করছে। শুরুতেই ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে নতুন প্রজন্ম। যদিও যৌনতা প্রকৃতির স্বাভাবিক বিকাশের মূল ধারা। কিন্তু এর অপব্যবহার জাতিকে মহামূন্যতায় নিপতিত করতে পারে।

এর দীর্ঘমেয়াদী ইফেক্ট কি হতে পারে? নুপুংসুক হয়ে যাওয়া? বিবাহিত জীবনের ফিজিকেল রিলেশান অস্বাভাবিক হয়ে যাওয়া বা বিরক্তিকর হয়ে যাওয়া? সংসারের ভাঙ্গন? বিকৃত রুচির প্র্যাকটিস করতে গিয়ে অন্য কোন অনিরাময় যোগ্য রোগ ছড়িয়ে যাওয়া ? নাকি বাংলাদেশ হয়ে যাবে অঘোষিত ফ্রি সেক্সের কোন দেশ?

কয়দিন আগে পত্রিকায় পড়লাম ২ বন্ধুর মধ্যে বউ বদল করা হয়েছে একবছরের জন্যে।

পর্নগ্রাপী করে ছেলেদের বিকৃত রুচি করে ফেলার মাধ্যমে কি নারীদের জীবন অতিষ্ট করে ফেলার ভয়ানক কোন ষড়যন্ত্র এটা ? নাকি মেয়েদের কে বিকৃত রুচির করে ফেলে তার প্রভাবে স্বামী সন্তানদের নষ্ট করে ফেলার কোন প্রজেক্ট!

ব্যাপক পর্নোগ্রাপীর উদ্দেশ্যই বা কি? শুধু ব্যাবসায়িক উদ্দেশ্য? নাকি অন্য কোন ভয়াল ষড়যন্ত্র!

সচেতনতা, ধর্মীয় অনুশাসন, আইনের সঠিক প্রয়োগ পারে এর বিস্তার কমাতে। অভিভাবকদের আরও বেশী সচেতন হতে হবে। মৌলিক নীতিবোধের পাঠ টুকু পরিবারথেকেই শুরু হয়। সেখানেই এর রক্ষা কবচও । এটার বিরুদ্ধে প্রচারনা খুব কম। সঠিক ভাবে ধর্মীয় শিক্ষা এবং এর চর্চা কেবল এই সমস্যার সমাধান হতে পারে। তার সাথে ব্যাপক প্রচারনা থাকতে হবে। সবাই কে এগিয়ে আসতে হবে।



মন্তব্য চালু নেই