পর্তুগালের সর্বকালের সেরা ফুটবলার রোনালদো

ইউসেবিও নন, ফিগো নন; পর্তুগালের সর্বকালের সেরা ফুটবলারের মর্যাদায় ভুষিত হয়েছেন রিয়াল সুপারস্টার ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। পর্তুগিজ ফুটবল ফেডারেশনের শতবর্ষ পূতি অনুষ্ঠানে এই সম্মাননা জানানো হয় সিআরসেভেনকে।

সম্প্রতি তৃতীয়বারের মতো ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলারের অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন রোনালদো। যা পর্তুগালের ইতিহাসে বিরল। ক্লাব পর্যায়ে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড ও রিয়াল মাদ্রিদের মতো বড় টিমে অনেক শিরোপা জেতার পাশাপাশি ব্যক্তিগত অনেক সাফল্যের মালিক রোনালদো।

তবে জাতীয় দল পর্তুগালের হয়ে বড় কোন শিরোপাই জিততে পারেননি। তবে ব্যক্গিত অর্জনে অনেকেরই চেয়ে এগিয়ে তিনি। পর্তুগালের হয়ে সর্বোচ্চ গোলই তার, ৫২ (১১৮ ম্যাচ)। সেখানে ৪৭ গোল নিয়ে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন সাবেক ফুটবলার পাওলেতা। কিংবদন্তী ইউসেবিওর গোল ৬৪ ম্যাচে ৪১। সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার দিক থেকে অবশ্য রোনালদো দ্বিতীয়, ১১৮। সবার উপরে রয়েছেন লুইস ফিগো, ১২৭ ম্যাচ। রোনালদোর মূল অজর্ন আসলে ক্লাব পর্যায়ে। যেখানে গোলের পর গোল করে গত কয়েক বছরে যেমন জিতেছেন অ্যাওয়ার্ড, তেমনি পেয়েছেন শিরোপার দেখা।

তবে ইউসেবিওকে পাশ কাটিয়ে পর্তুগালের সর্বকালের সেরা ফুটবলার হিসাবে রোনালদোকে বেছে নেয়ায় সমালোচনাও কম হচ্ছে না। কারণটা অন্যখানে। বিশ্বকাপ ফুটবলে পর্তুগালের সর্বোচ্চ অর্জন ১৯৬৬ বিশ্বকাপে তৃতীয় স্থান। যা হয়েছিল মূলত ঐ ইউসেবিওর কারণে। কোয়ার্টার ফাইনালে উত্তর কোরিয়ার সঙ্গে ৩-০ গোলে পিছিয়ে থেকেও পর্তুগাল জিতেছিল ৫-৩ গোলে। অসাধারণ এক ফিরে আসার গল্প রচনা করেছিলেন ইউসেবিও দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিক করে (চার গোল)। না হলে শেষ আটেই বিদায় ঘটত তাদের। ফাইনালে উঠতে না পারলেও তৃতীয় স্থানে নির্ধারনী ম্যাচেও ইউসেবিওর গোলে সোভিয়েত ইউনিয়নকে পরাজিত করেছিল পর্তুগাল (২-১)।

শুধু তাই নয় পর্তুগিজ ক্লাব বেনফিকার হয়ে ১১টি প্রিমিয়ার লিগ শিরোপাসহ জিতেছেন অনেক কিছুই। গায়ের রং কালো বলে ইউসেবিওর ডাক নাম ছিল ‘ব্লাক প্যানথার’।



মন্তব্য চালু নেই