পরিনীতির অনুষ্ঠানে রক্তাক্ত সাংবাদিক

‘প্যাশন ফর ফ্যাশন’ শিরোনামের একটি ফ্যাশন শোতে সাংবাদিকদের লাঠি পেটা করেছে আয়োজক প্রতিষ্ঠান গ্রীণ অ্যাপল কমিউনিকেশনসের ভারাটে নিরাপত্তারক্ষীরা। ১৬ জুন অনুষ্ঠিত এ ফ্যাশন শোতে শো স্টপার হয়ে এসেছিলেন বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী পরিনীতি চোপড়া।

এ অনুষ্ঠান শেষে সংবাদ সম্মেলন চলাকালে সাংবাদিকদের লাঠি পেটা করা হয়। এতে রক্তাক্ত হয়েছেন অনলাইন নিউজ পোর্টাল বিডি নিউজের সংবাদকর্মী জয়ন্ত সাহা, জনি ও ডেইলি লাইফের কর্মী রেজাউল করিম। এ হামলার হাত থেকে রেহায় পায়নি দেশের শীর্ষস্থানীয় প্রিন্ট ও অনলাইন মিডিয়ার সাংবাদিকরাও। হামলার শিকার হয়েছেন প্রথম আলো, বাংলামেইল, বাংলা ট্রিবিউনসহ বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমের সংবাদকর্মীরা।

১৬ জুন মঙ্গলবার দুপুরে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমান বন্দরে পা রাখেন পরিনীতি চোপড়া। পূর্ব ঘোষণা অনুযায়ী এদিন বেলা ৩টায় একটি হোটেলে সংবাদ সম্মেলনের কথা বলা হলেও পরিণীতি চোপড়া ফ্লাইট মিস করেছেন এমন অজুহাতে সংবাদ সম্মেলন বাতিল করা হয়। কিন্তু যে হোটেলে সংবাদ সম্মেলন হওয়ার কথা ছিল পরিণীতি সেই হোটেলেই তখন অবস্থান করছিলেন বলে একটি সূত্রে জানা যায়।

পরবর্তীতে ফ্যাশন শো শেষে সংবাদ সম্মেলনের প্রতিশ্রুতি দেয় আয়োজক প্রতিষ্ঠান। সংবাদ সম্মেলন শুরুর দিকে কিছু টিভি মিডিয়ার সাংবাদিক প্রবেশ করলেও আটকে দেওয়া হয় প্রিন্ট, অনলাইন ও কয়েকটি টিভি চ্যানেলের সংবাদকর্মীদের।

এ প্রসঙ্গে আহত এক সাংবাদিক বলেন, ‘আমরা ভিতরে ঢুকতে চাইলে গ্রীণ অ্যাপল কমিউনিকেশনসের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘কাউকে ভিতরে ঢুকতে দেওয়া হবে না।’ কারণ জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘প্রেসের জন্য বড় জায়গার ব্যবস্থা করা সম্ভব হয়নি, টিভি ক্যামেরা ও কয়েকজন ফটোগ্রাফার ভেতরে নিয়েছি। আর নেওয়া সম্ভব নয়।’

এ সাংবাদিক আরো বলেন, ‘এ কর্মকর্তাকে তখন প্রশ্ন করি, তাহলে বিকালে দুইবার কেন সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের ডেকে এনে তা বাতিল করলেন? এ প্রশ্নের উত্তরে এ কর্মকর্তা বলেন, ‘বেশি কথা বললে লাঠিচার্জ করা হবে।’ উপস্থিত সাংবাদিকরা এই কথার প্রতিবাদ করলে এলিট ফোর্সের এক উর্ধ্বতন নিরাপত্তাকর্মী সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘বেশি কথা বললে এখানেই গেঁড়ে ফেলব।’

তারপরই বিডি নিউজের বিনোদন প্রতিবেদক জয়ন্ত সাহা আক্রান্ত হন। এ সময় নিরাপত্তাকর্মীরা তার ঘাড়ে ও পায়ে আঘাত করে। জয়ন্তকে রক্ষা করতে এগিয়ে আসেন অন্য সংবাদকর্মীরা। এ দৃশ্যের যাতে ছবি তুলতে না পারে এ জন্য প্রথমে ক্যামেরায় আঘাত করা হয়। পরে ক্যামেরা কেড়ে নেওয়ার চেষ্টা করা হয় বলেও জানিয়েছেন এ সাংবাদিক।



মন্তব্য চালু নেই