পবিত্র কাবা শরীফের অবমাননা মহান আল্লাহ পাক সহ্য করবেন না
কালো কাপড়ে ঢাকা পবিত্র ক্বাবা ঘরে আসা প্রথম দর্শনার্থীদের অতি সহজেই চেনা যায় যে, তারা এই মাত্র এসে দাঁড়ালেন। প্রত্যেকেই বিস্ফোরিত নয়নে হতবাক হয়ে তাকিয়ে থাকেন কালো কাপড়ে ঢাকা ঐ পবিত্র রহমত ও নেয়ামত পূর্ণ ঘরের দিকে। কারো চোখের পলক পড়ে না। মনে হয় তারা এই দুনিয়ায় আর কেউ নেই! এরপর হুড়মুড় করে সেজদায় পড়ে যান সবাই।
ইট পাথরের তৈরি একটি ঘর। কেউ জানে না কি এর রহস্য, মোজেজা বা হিকমত, একমাত্র মহান মালিক আল্লাহপাক ছাড়া। শতশত হাজার বছর এই ঘর পৌত্তলিকদের দখলে ছিল। বহুবার এই ঘর ভাঙ্গা হয়েছে, লুট হয়েছে। এখনো টিকে আছে তার মহান ও পবিত্র মর্যাদা নিয়ে, থাকবে কেয়ামত পর্যন্ত। একমাত্র রক্ষাকারী ঘরের মালিক মহান ও পবিত্র আল্লাহ্।
ইসলামের প্রচার প্রসার কখনো থেমে থাকে নি, থেমে থাকবেও না। আল্লাহ্র মনোনীত ধর্ম, তিনিই এগিয়ে নিয়ে যাবেন সেই ধর্মকে। ইসলাম কলুষিত নয়, কলুষিত আমরা। পবিত্র সেই ধর্মের গায়ে কালিমা লেপন করছি আমরা।
মাঝে মাঝে মনে হয় এই ধর্ম নিয়ে আর পোস্ট দেব না। যার যা ইচ্ছা সে তাই করুক। মুসলিম হয়েও আল্লাহ্ রসূলের নাম শুনলে গায়ে আগুন ধরে যায় অনেকের। এ আগুন অতীতে ছিল, আছে এবং কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে। আধুনিক যুগ, মুক্ত মন, মুক্ত চিন্তা। যে যার মত ককটেল বানিয়ে খাচ্ছি ধর্মকে। তাতে চিন্তার কিছুই নেই। থেমেও থাকবে না, ধ্বংসও হবে না ইসলাম। যারযার হিসেব তাকেই দিতে হবে।
আজ স্ট্যাটাসে ক্বাবা ঘরের যতগুলো ছবি দেখলাম, কই কালো কাপড় দিয়েই তো ঢাকা দেখলাম। রঙ্গিন ক্বাবা তো দেখিনি। আমার সেজদার সামনে তো সেই কালো ঘরেই আছে, মাঝখানে মাকামে ইব্রাহিম। আমার আবার মাকামে ইব্রাহিমকে মাঝে রেখে সেজদা দিতেই বেশি পছন্দ। আল্লাহ্ মালুম কারণ কি!! হয়ত পাপী বান্দা বলেই এক মহা পবিত্র নিদর্শনের আড়ালেই থাকতে চাই বেশি।
হযরত লুত(আ) কে রাতে ফেরেশতারা এসে বলেছিলেন, আজ রাতেই আপনি আপনার বিশ্বাসী অনুসারীদের নিয়ে আপনার কওম ছেড়ে চলে যাবেন। যাবে না আপনার স্ত্রী। আমরা আল্লাহ্র নির্দেশে তাদের উপর শাস্তি নামাতে এসেছি। শেষ প্রহরে আপনারা চলে যাবার সময় কোনভাবেই পিছনে ফিরে তাকাবেন না কেউ। যাতে তাঁরা সেই কঠিন শাস্তি প্রত্যক্ষ করতে না পারেন। এরপর শুরু হয়েছিল উপর ও নিচ থেকে পাথর বৃষ্টি। আল্লাহপাক সেই ভূমিকে মানুষ সহ নিশ্চিহ্ন করে দিলেন। তারা ছিল সমকামী।
এ আল্লাহ্র এক নিদর্শন। এক সতর্ক বার্তা। কেয়ামত পর্যন্ত থাকবে যার কার্যকারিতা। এখন ভূমি হয়ত নিশ্চিহ্ন হবে না, কিন্তু অবশ্যই জ্বলতে হবে জাহান্নামের আগুনে। লজিক, যুক্তি, মুক্ত মন, মুক্ত চিন্তা, আধুনিকতা কিছুই টিকবে না পরের স্তরে। যদি আপনি বিশ্বাসী হন, চোখ বন্ধ করে বিশ্বাস করতে হবে আল্লাহ্ ও তাঁর রসূলের উপর, তাঁর বাণীর উপর।
আর যদি অবিশ্বাসী হন, আপনি হাততালি পেতে পারেন, পেতে পারেন বাহবা কিংবা সুখের রাজনৈতিক আশ্রয়। আমার ধর্মের কিছুই যায় আসবে না। যায় আসবে আপনার, কিছুদিন পরেই। সাড়ে তিনহাত জায়গায় আশ্রয় নেবার পর।
ধর্ম অধর্ম, বিশ্বাসী অবিশ্বাসী, সত্য মিথ্যা, ন্যায় অন্যায়, ভাল মন্দের পার্থক্য এবং বিচারের জন্য একটা জায়গা অবশ্যই থাকতেই হবে। আপনাদের সেই লজিক বা যুক্তি অনুযায়ীও তা থাকা উচিৎ। সেটাই হচ্ছে সেই শেষ বিচার, আর বিচারক হিসেবে আল্লাহ্ নামের এক সত্ত্বার অস্তিত্ব থাকতেই হবে।
……এবং তিনি মহান ও পবিত্র। ইহকাল এবং পরকালের সকল প্রশংসা একমাত্র আল্লাহরই।
সেই মালিকের উপর সেই পাপিষ্ঠের বিচারের ভার তুলে দিলাম।
[লেখাটি ফেসবুকে লিখেছেন গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকারের একজন সৎ, নির্ভীক, দেশপ্রেমী যুগ্মসচিব জনাব মাহবুব কবির মিলন]
মন্তব্য চালু নেই