পদ্মায় লঞ্চডুবির ঘটনায় উদ্বিগ্ন ও শোকাহত : বোয়াফ
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে ডুবে যাওয়া এমভি মোস্তফা লঞ্চের অর্ধশতেরও বেশী যাত্রী নিহত হওয়ায় উদ্বেগ ও গভীর শোক প্রকাশ করেন বাংলাদেশ অনলাইন অ্যাক্টিভিষ্ট ফোরাম-বোয়াফ।
সংগঠনের সভাপতি ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময় এক বিবৃতিতে বলেন, বার্ন ইউনিটের পোড়া গন্ধ আর পেট্রোল বোমার অগ্নিদগ্ধের ক্ষত শুকানোর আগেই জাতির ভারাক্রান্ত হৃদয়ে আরেক ক্ষতের সৃষ্টি হয়েছে। সর্বনাশা পদ্মার অথই গর্ভে প্রাণ চলে গেল অর্ধশত মানুষের, যেখানে কোমলমতি শিশুর সংখ্যা ছিল উল্লেখযোগ্য।
তিনি আরও বলেন, ডিজিট্যাল ডিজিট্যাল বলে যতই গলা ফাটিয়ে চিৎকার করা হোক না কেন; সড়ক ও নৌ-পথে আমরা আজও সচেতন হতে পারিনি, পারিনি ডিজিট্যাল প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে জনগণের সেবা বৃদ্ধি করতে, পারিনি জনসচেতনতা সৃষ্টি করতে।
ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময় বলেন, আমি মনেকরি থ্রী-জি, ফোর-জি’র চেয়েও অত্যান্ত গুরুত্ব জনসচেতনতা সৃষ্টি, দক্ষ যানবাহন পরিচালক ইউনিট গড়ে তোলা এবং সর্বস্তরে জবাবদিহিতা নিশ্চিত করা। সেই জন্যে দীর্ঘ মেয়াদি বিভিন্ন পরিকল্পনা গ্রহণ করার মাধ্যমে একটি সুস্থ, সুন্দর ও নিরাপদ যাত্রী সেবা প্রদান করার উদ্যোগ নেওয়া প্রয়োজন।
কবীর চৌধুরী তন্ময় আরও বলেন, দূর্ঘটনার পর সবসময় যাত্রী সংখ্যা নিয়ে একটা ধু¤্রজালের সৃষ্টি হয়। অজানা উৎকন্ঠা নিয়ে দেশের মানুষ তাকিয়ে থাকে। বিভ্রান্ত তথ্য আকাশ-বাতাসে ছড়তে থাকে। আমি মনেকরি, যে কোনো দূর্ঘটনায় যাত্রী সংখা নিশ্চিত ও তাদের পরিবারকে অবহিত করণের লক্ষে-
* ক্ষানিকটা সময় বা একাধিক টিকেট কাউন্টারের মাধ্যমে টিকেট ক্রয়ের সময় প্রত্যেক যাত্রীর নাম-ঠিকানা ও ‘সেকেন্ড কন্টাক্ট’ বা পরিবারের অন্য কারো সচল মোবাইল নাম্বার সংগ্রহ রাখা।
* টিকেট কাউন্টার বা লঞ্চে উঠার সময় স্থিরচিত্র বা ভিডিও চিত্র সংগ্রহ করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা।
* ধারণ ক্ষমতার বাইরে ব্যক্তি বা বস্তু লঞ্চে প্রবেশ করার সাথে সাথে আধুনিক প্রযুক্তির মাধ্যমে ‘বিপদ সংকেত’ যেমন ‘লাল লাইট’ ও ‘বিপদ সাউন্ড’ প্রদান যেন সকল যাত্রী দৃশ্যায়ণ ও শ্রবণ করতে পারে সে ব্যবস্থা করা।
* এক ষ্টেশন থেকে অন্য ষ্টেশনে যাত্রীর উঠা-নামার তালিকা আদান-প্রদান ও গচ্ছিত রাখার ব্যবস্থা করা।
* বর্তমান ব্যবস্থার পাশাপাশি রাতের অন্ধকারে নিরাপদ দুরত্বের মাঝে থেকে যান চলাচলের অবস্থান প্রযুক্তিকায়ণের মাধ্যমে নির্ণয় করা।
* যাত্রী সেজে মাঝে মাঝে ভ্রাম্যমান আদালত দ্বারা পরিদর্শণ ও পর্যবেক্ষণ করা।
* জনসচেতনতা সৃষ্টির লক্ষে ফেস্টুন, লিফলেট, স্টিকার ব্যবহার করা।
এবং নিরাপত্তা সহায়ক পর্যাপ্ত পরিমানে রাখা সহ সময় উপযোগী বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করা যেতে পারে।
পাটুরিয়া-দৌলতদিয়া নৌপথে কার্গোর ধাক্কায় ডুবে যাওয়া লঞ্চ এমভি মোস্তফার নিহতদের প্রতি গভীর শোক ও তাদের পরিবারের প্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করার পাশাপাশি মরদেহ দাফন এবং তাদের পরিবারের প্রতি সরকারের উল্লেখযোগ্য আর্থিক সহায়তা কামনা করেন ব্লগার কবীর চৌধুরী তন্ময়।
মন্তব্য চালু নেই