পদ্মশ্রী খেতাব পেলেন এক বাল্যবিবাহিতা

মানুষের জীবনে এমন অনেক কষ্টকর সময় আসে যখন আর বেঁচে থাকতে ইচ্ছা করে না। জীবনের বিন্দু বিন্দু কষ্টগুলো যখন সাগরে রূপান্তরিত হয় তখন জীবন অনেক দুর্বিষহ হয়ে উঠে। কিন্তু সবকিছু ঝেড়ে ফেলে জীবন সংগ্রামে এগিয়ে যেতে পারলে জয় নির্ধারিত।

সেরকম এক অনুপ্রেরণার গল্প ভারতের কল্পনা সারজের। গরীব ঘরের এই মেয়ে বাল্যবিবাহের শিকার। মাত্র ১২ বছর বয়সে তাকে বিয়ের পিরিতে বসিয়ে দেয়া হয়। তারপর শ্বশুরবাড়ির মানুষের সীমাহীন অত্যাচারে স্বামীকে ছাড়তে বাধ্য হন তিনি। এসময় তার বাবা তাকে সাহায্য করেন।

বিভিন্ন ধরণের দুশ্চিন্তায় ১৬ বছর বয়সে তিনি আত্মহত্যা করার সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু সৌভাগ্যবশত বেঁচে যান। তারপর তিনি মুম্বাই শহরে তার চাচার বাসায় চলে আসেন।

তারপর কল্পনা একটি গার্মেন্টস ফ্যাক্টরিতে কাজ করা শুরু করেন। তারপর তিনি ঋণ নিয়ে নিজের একটি পোশাক তৈরির দোকান ও কাঠের আসবাবপত্রের দোকান চালু করেন।

তারপর সিনেমা প্রযোজনার দিকে এগিয়ে আসেন তিনি। কে এস প্রোডাকশন এর ব্যানারে তিনি হিন্দি, ইংরেজি ও তামিল ভাষায় চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেন।

সকল ব্যবসায় নিজের যোগ্যতা প্রমাণের মাধ্যমে তিনি অনেক পরিচিতি লাভ করেন। ২০০১ সালে ডুবতে বসা এক কোম্পানিকে সাহায্য করেন তিনি। তার সহায়তায় সেই কোম্পানি আবার লাভের মুখ দেখে।

সকল ক্ষেত্রে তার এই অবদান ভারতীয় সরকার খুব ভালভাবে উপলব্ধি করেছেন। তাই তাকে ২০১৩ সালে পদ্মশ্রী পদবীতে ভূষিত করেছেন।–সুত্র: ইন্ডিয়া টাইম্‌স।



মন্তব্য চালু নেই