তীর্থস্থানে পরিণত বক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুর জন্মভিটা আশ্রম
নয়া কমিটিতে অধ্যাপক কার্তিক মিত্র সভাপতি, সন্দিপ রায় সম্পাদক
সীমান্তের কোলঘেষা পাখির কলরব আর শ্যামল ছায়ায় নিভৃত জনপদে মাথা উচু করে দাড়িয়ে আছে একটি তীর্থস্থান। বাংলাদেশ-ভারত বিভক্তকারী সোনাই নদীও যেন একাকার হয়ে যায় তীর্থস্থানে ভক্তদের মিলন মেলায়। ঐতিহাসিক এ তীর্থস্থানের নাম শ্রীশ্রী ব্রক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা। সনাতন ধর্মাবলম্বীদের অন্যতম তীর্থস্থান এটি। শুধু কালের স্বাক্ষী হিসেবে জন্মভিটা-ই নয়, কয়েকজনের ঐকান্তিক প্রচেষ্টা, মেধা আর শ্রমে সেখানে স্থাপিত হয়েছে মন্দির, বাদ যায়নি আশ্রমও। সাতক্ষীরার কলারোয়া উপজেলার সীমান্তবর্তী কেঁড়াগাছিতে এটির অবস্থান।
ওই মন্দিরে প্রতিনিয়ত পূজা আর্চনার পাশাপাশি আশ্রম প্রাঙ্গনে প্রতিবছর অনুষ্ঠিত বৃহৎ পরিসরের ধর্মীয় অনুষ্ঠান। রাষ্ট্রীয় অতিথিরা ছাড়াও ওই সকল অনুষ্ঠানে যোগ দিয়েছেন বিদেশি অতিথিরাও। অনুষ্ঠান চলাকালে বিশেষ বিবেচনা, অনুমতি ও বিশেষ ব্যবস্থাপনায় দুই দেশের ভক্তবৃন্দ উপস্থিত হন সেখানে, যেখানে নেই কোন ভৌগলিক সীমারেখার বাধা। এলাকার ভিন্ন ধর্মাবলম্বীরাও সহযোগিতা করেন মানসিকতা আর নৈতিক দৃষ্টিকোণ থেকে। এভাবে-ই মিলেমিশে একাকার হয়ে ঊজ্জ্বল দৃষ্টান্ত স্থাপন করে আজ সনাতন ধর্মাবলম্বী দু’দেশের মানুষের তীর্থস্থানে পরিণত হয়েছে কলারোয়ার কেঁড়াগাছির শ্রীশ্রী ব্রক্ষ্ম হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা আশ্রম।
সার্বিক উন্নতির লক্ষ্যে অতিসম্প্রতি এ আশ্রমের পরিচালনা পরিষদের নয়া কমিটি গঠিত হয়েছে। এ উপলক্ষ্যে উপজেলার কেঁড়াগাছিতে হরিদাস ঠাকুরের জন্মভিটা আশ্রমের মন্দির প্রাঙ্গনে আয়োজিত এক আলোচনা সভা শুক্রবার অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন আশ্রমের সভাপতি অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্র। সভায় বক্তব্য রাখেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ অধ্যাপক অসিম কুমার ঘোষ, অধ্যাপক রামাকান্ত সরকার, কলারোয়া উপজেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক সিদ্ধেশ্বর চক্রবর্তী, যুগ্ম সম্পাদক সন্তোষ কুমার পাল, সাংগঠনিক সম্পাদক নিরঞ্জন কুমার ঘোষ, কেঁড়াগাছি ইউনিয়ন সভাপতি নিরঞ্জন কুমার পাল, প্রয়াত ইউপি চেয়ারম্যান তপন সাহার সহধর্মীনি বিশাখা সাহা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে প্রভাষক অসিম কুমার বসু, সুভাষ কুমারসহ এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন। সভায় সর্বসম্মতিক্রমে আগামী ৩বছরের জন্য আশ্রম পরিচালনা কমিটিতে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় অধ্যাপক কার্তিক চন্দ্র মিত্র সভাপতি ও সন্দিপ রায় সাধারণ সম্পাদক পুন:নির্বাচিত হন। ৫১সদস্য বিশিষ্ট ত্রি-বার্ষিক এ কমিটির অপর কর্মকর্তাদের নাম অচিরেই ঘোষিত হবে বলে আশ্রম সূত্র জানায়।
মন্তব্য চালু নেই