নৌ ধর্মঘট : চট্টগ্রাম বন্দরে দ্বিতীয় দিনেও পণ্য ওঠানামা বন্ধ

দেশব্যাপী নৌযান শ্রমিক ধর্মঘটের কারণে শুক্রবার দ্বিতীয় দিনের মত চট্টগ্রাম বন্দরের বহির্নোঙরে জাহাজে পণ্য বোঝাই-খালাস বন্ধ রয়েছে। ফলে বন্দর সংলগ্ন ১৬টি ঘাটে অলস সময় পার করছে শ্রমিকরা।

বেতন-ভাতা বৃদ্ধি ও নৌপথে চুরি-ডাকাতি বন্ধসহ ১৫ দফা দাবিতে বাংলাদেশ নৌযান শ্রমিক ফেডারেশন ও বাংলাদেশ জাহাজী শ্রমিক ফেডারেশনের ডাকে বুধবার রাত ১২টা থেকে এ ধর্মঘট চলছে।

বাংলাদেশ লাইটারেজ জাহাজ শ্রমিক ইউনিয়ন চট্টগ্রাম শাখার সাধারণ সম্পাদক নবী আলম বলেন, দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট অব্যাহত থাকবে। প্রয়োজনে আমরা না খেয়ে থাকবো, তবুও দাবি না মানা পর্যন্ত ধর্মঘট চলবে।

তিনি বলেন, ধর্মঘটের কারণে সব জাহাজ থেকে পণ্য খালাস বন্ধ রেখেছে শ্রমিকরা। শুক্রবারও সদরঘাট থেকে কোনো রুটেই নৌযান চলাচল করছে না।

এদিকে ধর্মঘটের কারণে চট্টগ্রাম বন্দরের বর্হিনোঙ্গরে অবস্থানরত সব ধরনের দেশি-বিদেশি বাণিজ্যিক জাহাজের (মাদার ভ্যাসেল) পণ্যবোঝাই-খালাস, পণ্য পরিবহন ও গভীর সাগরে মাছ শিকার পুরোপুরি বন্ধ হয়ে গেছে।

লাইটারেজ, কার্গো, বার্জ, অয়েল ট্যাংকার, কোস্টার থেকে শুরু করে সব ধরনের জাহাজী ও যাত্রীবাহী নৌযানের শ্রমিকরা একযোগে এ কর্মবিরতি পালন করছে। ফলে বন্দরে জাহাজ থেকে পণ্য ওঠানামা এবং দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে নদী পথে চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ রয়েছে।

চট্টগ্রাম বন্দর সূত্র জানায়, কর্মবিরতির ফলে মাদার ভ্যাসেল থেকে পণ্য বন্দরের জেটিতে আনা নেয়া এবং বন্দর থেকে নদী পথে দেশের বিভিন্ন গন্তব্যে পরিবহন বন্ধ রয়েছে।

শ্রমিক নেতারা জানান, নৌযান শ্রমিকদের সর্বনিম্ন মূল মজুরি ১০ হাজার টাকা নির্ধারণ, মৎস্য শিকারি জাহাজ শ্রমিকদের সরকার ঘোষিত নিম্নতম মজুরি ও শ্রম আইন বাস্তবায়ন, নৌপথে সন্ত্রাস, চাঁদাবাজি, ডাকাতি বন্ধ, নদীর নাব্যতা বৃদ্ধির কার্যকর ব্যবস্থা গ্রহণ, মেরিন আইনের সঠিক বাস্তবায়ন, পাইপ লাইনে জ্বালানি তেল সরবরাহের সিদ্ধান্ত বাতিলসহ ১৫ দফা দাবি নৌযান শ্রমিকরা লাগাতার এ ধর্মঘটের ডাক দেয়।



মন্তব্য চালু নেই