নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিস দালাল মুক্ত
নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে বর্তমানে পাসপোর্ট গ্রাহকগণ দালাল মুক্ত। গ্রাহকগণ কোন প্রকার দালাল ব্যতিত নিজের পাসপোর্টের কাগজপত্র জমা দিয়ে অবশেষে রিসিটের মাধ্যমে নির্দিষ্ট তারিখের মধ্যে তাদের পাসপোর্ট গ্রহণ করিতেছে। গ্রাহক সূত্রে জানা যায় যে, এক মাসে পাসপোর্টের ব্যাংক জমা ৩,৪৫০/- টাকা, ১৫ দিনে পাসপোর্টের জন্য ব্যাংক জমা ৬,৯০০/- টাকা প্রদান করিতেছে। ইহা ছাড়া অফিস কর্তৃপক্ষকে কিংবা দালালকে অতিরিক্ত কোন টাকা প্রদান করিতে হয় না।
এদিকে নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসের সহকারী পরিচালক সাইদুল ইসলাম ও উপসহকারী পরিচালক সফিকুল ইসলাম জানান, তাহারা উক্ত অফিসে ডিউটিরত আইন শৃঙ্খলা বাহিনীকে কঠোর ভাবে নির্দেশ দেওয়া আছে যে, কোন গ্রাহক দালালের হাতে টাকা পয়সা হস্তান্তর করিলে কিংবা কোন গ্রাহক দালালের খপ্পরে পড়িলে তড়িৎ গতিতে তাদেরকে অবহিত করিতে। তাহারা দালালের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিবেন মর্মে জানান।
তবে গত এক বৎসরের মধ্যে পাসপোর্ট অফিসে কোন দালাল, প্রতারকের ঠাই নাই মর্মে জানা যায়। ইহা ছাড়াও উপস্থিত গ্রাহক নোয়াখালী চাটখিল উপজেলার মোখলেছুর রহমানের ছেলে গাজী নেছার উদ্দিন ও সোনাইমুড়ি উপজেলার ধন্যপুর গ্রামের কেফায়েত উল্যার ছেলে মোবারক উল্যা।
তারপর লক্ষ্মীপুর সদর উপজেলার দক্ষিণ চর মার্টিন গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে দিদার হোসেন, নোয়াখালী সুবর্ণচর উপজেলার চরক্লার্ক গ্রামের শাহজাহান মিয়ার ছেলে বেল্লাল উদ্দিন জানান, তাহারা তাদের পাসপোর্ট ফরম পিলাপ করে নিজেরাই জমা প্রদান করে এবং তারিখ অনুযায়ী পাসপোর্ট ড্র করে। ব্যাংক জমা ব্যতিত পাসপোর্ট অফিস কিংবা কোন দালালকে অতিরিক্ত কোন টাকা দিতে হয় নাই।
প্রকাশ্য ও গোপনীয় ভাবে জানা যায়, নোয়াখালী আঞ্চলিক পাসপোর্ট অফিসে পরিচালক সাইদুল ইসলাম আসার পর থেকে দালালমুক্ত ভাবে পাসপোর্ট অফিস চলছে বলে পাসপোর্ট প্রদান করতে আসা লোকজনরা জানায়।
মন্তব্য চালু নেই