নোয়াখালী অসহায় বৃদ্ধার প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী কাছে আকুল আবেদন
এম.এ.আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী: ভূমিদস্যুদের অত্যাচারে ও ভূমি জবরদখলে দিশেহারা হয়ে দিন কাটছে নোয়াখালী সদরের এক অসহায় বিধাব নারীর। নোয়াখালী সদর উপজেলার পশ্চিম বদরীপুর গ্রামের স্বামীহারা খোদেজা বেগম (৬০) সম্পত্তি রক্ষা ও জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে সংবাদ মাধ্যমের প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। শনিবার বিকেলে জেলা শহর মাইজদীতে স্থানীয় একটি দৈনিক পত্রিকা অফিসে উপস্থিত হয়ে তিনি এ দাবি জানান।
তিনি জানান, তার স্বামীর ক্রয়কৃত ৮৬নং পশ্চিম বদরীপুর মৌজার ২৮৮নং খতিয়ানের বিভিন্ন দাগের অন্দরে ৫৯ শতক ভূমি গত ৫০ বছর ধরে চাষাবাদ করে আসছিলেন। প্রতিবেশী সোনাপুর গ্রামের আবদুল মালেকের ছেলে ওমর ফারুক রিংকু জোরপূর্বক ২০ জানুয়ারি ওই জমিতে মাটি ভরাট করে ও টিন দিয়ে ঘেরাও করে দখলে নিয়ে নেয়।
২৯ জানুয়ারি থেকে দখলকৃত জমিতে ঘর নির্মাণ করে মাদকের আখড়া হিসেবে ব্যবহার করে আসছে। এসব অপকর্মের প্রতিবাদ করায় ওই ভূমি জবরদখলকারীর সন্ত্রাসীরা বিভিন্ন সময়ে তাদেরকে উচ্ছেদ ও প্রাণনাশের হুমিক দিচ্ছে। একপর্যায়ে বাধা প্রদান করলে সন্ত্রাসীরা তাকে মারধর ও শারিরীকভাবে লাঞ্ছিত করে। অন্যদিকে, খোদেজা বেগমের ছেলে জহিরুল হককে ভূমি দখলকারী রিংকু ও তার সহযোগিরা মোবাইল ফোনে হত্যার হুমকি দিলে বর্তমানে সে প্রাণভয়ে বাড়ীঘর ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন।
এ বিষয়ে ভুক্তভোগী বিধবা খোদেজা বেগম নোয়াখালী আদালতে ১৪৪/১৪৫ ধারায় একটি মামলা দায়ের করেন। আদালত উভয়পক্ষকে শান্তি-শৃঙ্খলা রক্ষার্থে বিষয়টি তদন্তপূর্বক ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুধারাম থানাকে নির্দেশ দেয়। সুধারাম থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দখলকারীদের কোন প্রকার অপ্রীতিকর ঘটনা ছাড়া উভয় পক্ষকে স্ব স্ব দলিলপত্র নিয়ে থানায় হাজির হওয়ার নির্দেশ দেয়। তবে প্রতিপক্ষ আদালতের নির্দেশ অমান্য করে এবং থানায় না গিয়ে উল্টো অভিযোগ তুলে নেওয়া এবং ভুক্তভোগীকে বাড়ী থেকে উচ্ছেদের হুমকি প্রদর্শন করে দখল অব্যাহত রেখেছে। তাই তিনি এ বিষয়ে সাংবাদিকদের মাধ্যমে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, ভূমিমন্ত্রী, স্থানীয় সংসদ সদস্য, নোয়াখালী পুলিশ সুপার ও আইন-শৃংখলা রক্ষাকারী বাহিনীর উর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই