নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার মোহাম্মদপুর ইউনিয়নে দস্যু বেলাল বাহিনীর প্রধান বেলালসহ দু’জনকে আটক করে গণপিটুনি দিয়েছে স্থানীয় জনতা। পরে একটি বন্দুক ও ৫ রাউন্ড গুলিসহ তাদের পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

শুক্রবার ১১টার দিকে হাজী ইদ্রিস বাজার থেকে তাদের আটক করা হয়। আটককৃতরা হচ্ছে- দস্যু বেলাল বাহিনীর প্রধান ও মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের খোরশেদ আলমের ছেলে বেলাল হোসেন (৩৫) ও তার ভাই কামাল উদ্দিন (৩৭)।

স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, গত কয়েক মাস যাবত দস্যু বেলাল বাহিনী সূবর্ণচর, হাতিয়া ও সন্দীপ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যপক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে। সে মোহাম্মদপুর ইউনিয়নের কয়েকজন লোককে বিভিন্ন ভাবে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছিল।

শুক্রবার বেলাল ও তার ভাই কামাল অস্ত্র নিয়ে হাজী ইদ্রিস বাজারে আসে। এসময় স্থানীয় লোকজন তাদের ধাওয়া করে আটক করে গণপিটুনি দেয়। পরে খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করতে কয়েক রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি ছুঁড়ে দু’দস্যুকে আটক করে থানায় নিয়ে আসে।

স্থানীয়রা আরো জানান, বেলাল একসময় জলদস্যু ‘নবী চোরা’ বাহিনীতে কাজ করত। কিন্তু বর্তমানে সে তার নিজস্ব বাহিনী তৈরী করে সূবর্ণচর, হাতিয়া ও সন্দীপ উপকূলীয় অঞ্চলে ব্যপক তান্ডব চালিয়ে যাচ্ছে।

চরজব্বর থানার ওসি এনামুল কবির জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছলে উত্তেজিত জনতা পুলিশকে ঘিরে ফেলে। এসময় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে ৯রাউন্ড শর্টগানের ফাঁকা গুলি করা হয়। ঘটনাস্থল থেকে একটি ভাঙা একনলা বন্দুক ও ৫রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়েছে।

ওসি আরো জানান, আহত দস্যু বেলাল ও কামাল বর্তমানে নোয়াখালী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পুলিশি পাহারায় চিকিৎসাধীন রয়েছে। আটককৃত বেলালের বিরুদ্ধে থানায় ডাকাতি, বিষ্ফোরক ও অস্ত্র আইনে ১০টির অধিক মামলা রয়েছে। ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে আরো একটি মামলার প্রস্তুতি চলছে।

এই দিকে, চাটখিলে ৩ সন্ত্রাসী গ্রেফতার চাটখিল থানা পুলিশ শুক্রবার উপজেলার ইটপুকুরিয়া নামক স্থান থেকে ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করেছে। গ্রেফতারকৃতরা হচ্ছে লক্ষ্মীপুর জেলার চন্দ্রগঞ্জের রাজারাম ঘোষ এলাকার রুহুল আমিনের ছেলে কুখ্যাত সন্ত্রাসী জিহাদ (২০), রামকৃষ্ণপুর গ্রামের বেলায়েত হোসেনের ছেলে মহিন উদ্দীন মিয়াজী (২০), জয়পুর গ্রামের আবুল হোসেনের ছেলে মনির হোসেন (২৭)।

চাটখিল থানার এএসআই নাজিম উদ্দিন জানান, শুক্রবার ইটিপুকুরিয়া নামক স্থানে চাটখিল থানা পুলিশ সিএনজিতে তল্লাশী চালিয়ে ৩ সন্ত্রাসীকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত সন্ত্রাসীদেরকে চন্দ্রগজ্ঞ থানা পুলিশের কাছে হস্তাস্তর করা হয়েছে তাদের বিরুদ্ধে চন্দ্রগঞ্জ ও লক্ষ্মীপুরে ১২/১৩ টি সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের মামলা রয়েছে।