নোয়াখালীর চাটখিলে ৪টি বন্দুক ও গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ

নোয়াখালীর চাটখিল উপজেলার বদলকোর্ট ইউনিয়নে বস্তার স্তুপের নিছ থেকে ৪টি বন্দুক, ৩টি বন্দুকের বার (অংশ) ও ৯ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করেছে পুলিশ। তবে এসময় পুলিশ কাউকে আটক করতে পারেনি। মঙ্গলবার সকাল ১০টার দিকে ইউপির রেজ্জাকপুর গ্রাম থেকে অস্ত্র ও গুলিগুলো উদ্ধার করা হয়।

চাটখিল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নাসিম উদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বদলকোর্ট ইউনিয়নের রেজ্জাকপুর গ্রামের ছাত্তার ডাক্তার বাড়ীতে অভিযান চালানো হয়।

এসময় ওই বাড়ীর পাশের একটি ধান ও বুশির বস্তার স্তুপের নিছ থেকে অস্ত্র এবং গুলি গুলো উদ্ধার করা হয়েছে। ওসি আরো জানান, ধারণা করা হচ্ছে কেউ সন্ত্রাসী মূলক কর্মকান্ডের জন্য অস্ত্র ও গুলিগুলো ওই স্থানে লুকিয়ে রাখে। ঘটনায় জড়িতদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।

এদিকে একই জেলার নোয়াখালীর সূবর্ণচর উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নে স্থানীয় জনতার গণপিটুনিতে আবদুল কাদের প্রকাশ মাষ্টার (৩৫) নামের এক ডাকাত নিহত হয়েছে।

মঙ্গলবার দুপুর পৌনে ১২টার দিকে ইউনিয়নের চর হাসান গ্রামের ছেউয়াখালী এলাকার সোনাপুর-চরজব্বার সড়কের উপর এ গণপিটুনির ঘটনা ঘটে। নিহত মাষ্টার উপজেলার চরজব্বার ইউনিয়নের চরহাসান গ্রামের মৃত গোলাপ মাওলার ছেলে। তার বিরুদ্ধে স্থানীয় এলাকায় বিভিন্ন সময় ডাকাত কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। স্থানীয়রা জানায়, চরজব্বার ইউনিয়নের বাসিন্দা আবদুল কাদের প্রকাশ মাষ্টারের আন্তঃজেলা ডাকাতদলের সদস্যদের সাথে যোগসাজশ করে বিভিন্ন সময়ে একই এলাকায় ডাকাত কর্মকান্ড সংঘটিত করে আসছিল।

এ বিষয়ে কয়েকবার থানা পুলিশের কাছে তার বিরুদ্ধে অভিযোগও দিয়েছে স্থানীয় এলাকাবাসী। এর জের ধরে স্থানীয় জনতা একত্রিত হয়ে মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে তাকে আটক করে গণপিটুনি দেয়। এতে গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হয়ে ঘটনাস্থলেই সে মারা যায়। চরজব্বার থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এনামুল কবির বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাস্থল থেকে নিহতের মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। পরবর্তীতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।



মন্তব্য চালু নেই