নোয়াখালীতে হত্যা মামলায় ১৩ জনের ফাঁসি
এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোটার, নোয়াখালী : নোয়াখালীর জেলা শহর মাইজদীতে মোবাইল ফোনের দোকানে ডাকাতিকালে মালিক-কর্মচারীকে হত্যার ঘটনায় ১৩ আসামিকে ফাঁসির আদেশ দিয়েছেন আদালত।
বুধবার বিকেল ৫টায় নোয়াখালীর অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-২ এ বিচারক এএনএম মোরশে খান আদেশ দেন।
ফাসির দন্ডপ্রাপ্তরা হলেন, মোফাজ্জল হোসেন, জাবেদ, এলজি কামাল, কামরুল হাসান সোহাগ, রাশেদ ড্রাইভার, আবদুস সবুর, জাফর হোসেন মুন্না, আলী আকবর সুজন, সাছুদ্দিন ভূট্টো, সাহাব উদ্দিন, নাছির উদ্দিন মঞ্জু, আবু ইউসুফ সুমন, তোফাজ্জল হোসেন জুয়েল।
রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, এপিপি এডভোকেট ফজলুল কবির রুবেল ও এডভোকেট সাইফুল ইসলাম। আসামি পক্ষে মামলা পরিচালনা করেন, রবিউল হাসান পলাশ ও রফিকুল ইসলাম। আদালত ও মামলার সূত্র জানায়, ২০০৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারী মোবাইল ফেয়ারের স্বত্ত্বাধিকারী ফিরোজ কবির মিরন, তার ছোট ভাই সামছুল কবির রুবেল ও তাদের কর্মচারী সুমন পাল দোকান বন্ধ করে বাড়ি যাওয়ার পথে রাত প্রায় সাড়ে ১০টার সময় মাইজদী নাপিতের পুল এলাকায় মাইক্রোবাস দ্বারা তাদের গতিরোধ করে একটি বিশেষ বাহিনীর পরিচয় দিয়ে অপহরণ করে তুলে নিয়ে যায়।
পথিমধ্যে অপহৃতরা গাড়ির ভিতরে জবরধস্তি ও চিৎকার চেঁচামেচি শুরু করলে অপহরণকারীরা চুরিকাঘাত করে দোকানের মালামাল ও বিক্রিত নগদ টাকা নিয়ে তাদেরকে সড়কের পাশে ফেলে দেয়। এতে ফিরোজ কবির মিরণ ও সুমন পাল নিহত হয়। এতে সামছুল কবির রুবেল গুরুতর আহত হয়।
এ ঘটনায় নিহত মিরনের বাবা এবি ছিদ্দিক বাবুল মিয়া বাদী হয়ে ২৩ জনকে আসামি করে মামলা করেন। আদালত দীর্ঘ শুনানী শেষে ১৩ জনের ফাসির আদেশ ও ১০ জনকে বেকসুর খালাস দেন।
মন্তব্য চালু নেই