নোয়াখালীতে সন্ত্রাসী হামলায় গৃহবধূ ও বৃদ্ধাসহ আহত ১০

এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সদর উপজেলার আন্ডারচর ইউনিয়নে পারিবারিক বিরোধে জের ধরে দফায় দফায় চৌধুরী বাঘা বাহিনীর সন্ত্রাসী হামলায় গৃহবধূ ও বৃদ্ধাসহ অন্তত ১০ জন আহত হয়েছে। এঘটনায় সন্ত্রাসীরা ওই গৃহবধূর বসতঘরে হামলা চালিয়ে কুপিয়ে ভাংচর করে নগদ টাকা, আসবাবপত্র, স্বর্ণালংকার ও গবাদি পশু লুট করে নিয়ে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেল থেকে শুক্রবার বিকেল পর্যন্ত আন্ডারচর ইউনিয়নের জেন্ডার খাল পাড় এলাকায় দফায় দফায় স্থানীয় চৌধুরী বাঘা ও তার বাহিনীর সদস্যরা এ সন্ত্রাসী হামলার ঘটনা ঘটায়। একপর্যায়ে হামলাকারীরা ভিকটিমদের বিরুদ্ধে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে পুলিশের উপস্থিতিতে এক বৃদ্ধাকে বেদম পিটিয়ে গুরুতর আহত করে। দফায় দফায় হামলায় আহতরা হলেন, গৃহবধূ বকুল আক্তার (৩০), গৃহবধূর স্বামী বেলাল হোসেন (৩৪), প্রতিবেশী বৃদ্ধা নুরুন নবী (৬৫), হারুন (৩৮) ও তার স্ত্রী সহ অন্তত ১০ জন। আহতদের উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতাল সহ বিভিন্ন বেসরকারী হাসপাতালে চিকিৎসা দেওয়া হয়। আহত গৃহবধূর স্বামী বেলাল হোসেন জানায়, হামলাকারীরা আমার আত্মীয়-স্বজন। তারা পারিবারিক একটি তুচ্ছ ঘটনার জের ধরে তারা বৃহস্পতিবার বিকেলে দেশীয় অস্ত্রসসস্ত্র নিয়ে আমার বসতঘরে কুপিয়ে ভাংচর করে নগদ ৪০ হাজার টাকা, এক ভরি স্বর্ণালংকার, মূলবান আসবাবপত্র, হাঁস-মুরগি ও জোড়া গরু লুট করে নিয়ে যায়। এসময় আমি ও আমার স্ত্রী বকুল আক্তার বাধা দিতে গেলে আমার বাবা চৌধুরী বাঘা, ভাই জামাল বাঘা, হেলাল বাঘা, মহিন বাঘা, মেহরাজ বাঘা ও ভগ্নিপতি মফিজ আমাদের অর্তকিতে হামলা চালিয়ে বেদম পিটাতে থাকে। পরে প্রতিবেশী নুরুন নবী, হারুন সহ আশপাশের লোকজন এগিয়ে এসে আমাদের সন্ত্রাসীদের হাত থেকে উদ্ধার করে। আহত বৃদ্ধার ছেলে হারুন জানায়, আত্মীয়-স্বজনের মধ্যে বিরোধ দেখে আমরা এগিয়ে গিয়ে বাধা দিতে গেলে চৌধুরী বাঘা ও তার বাহিনীর লোকজন আমাদের উপরও হামলা চালিয়ে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা ঘটনাটিকে ভিন্নখাতে প্রভাবিত করে থানায় মিথ্যা অভিযোগ করে পরদিন শুক্রবার পুলিশ নিয়ে এসে। পুলিশের উপস্থিতিতে তারা আমার বাবাকে এলাপাতাড়ি মারধর করে। পরে এলাকাবাসী এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। স্থানীয় সমাজপতি হানিফ মোল্লা জানায়, শুক্রবার দুপুরে চৌধুরী বাঘা ও তার দুই ছেলে পুলিশের গাড়িতে চড়ে জেন্ডার খাল মাথায় এসে গাড়ি থেকে নেমে বৃদ্ধা নুরুন নবীর উপর হামলা চালিয়ে বেদম মারধর করে। এসময় সুধারাম থানার এসআই বিপুল সঙ্গী ফোর্স নিয়ে ৫০ গজ দূরে অবস্থান করছিলেন। পরে আমরা এগিয়ে এসে ওই বৃদ্ধাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে ভর্তি করি। এঘটনায় বৃদ্ধা নুরুন নবী বাদী হয়ে আদালতে একটি মামলা দায়েরের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। সুধারাম থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) বিপুল পুলিশের উপস্থিতিতে আসামীকে মারধরের বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, আমরা আসামী ধরতে গেলে প্রায় ৫শ গজ দূর থেকে দেখতে পাই দুই পক্ষের মধ্যে হাতিহাতি হচ্ছে। পরে এলাকাবাসী তা মীমাংসা করে।



মন্তব্য চালু নেই