নোয়াখালীর কিছু খবর :

নোয়াখালীতে শীতার্তদের মাঝে কম্বল বিতরণ

নোয়াখালী এনজিও সমন্বয় পরিষদ ও জেলা প্রশাসনের যৌথ উদ্যোগে সদর উপজেলার চরমটুয়া ও আন্ডারচর ইউনিয়নের কয়েকটি গ্রামের অসহায়, দরিদ্র, সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত মানুষের মাঝে ২৫০ পিস কম্বল বিতরণ করা হয়েছে।

শনিবার ২৪ জানুয়ারি দুপুরে প্রত্যন্ত চরাঞ্চলে গিয়ে শীতার্তদের মাঝে এ কম্বল বিতরণ করেন এনজিও সমন্বয় পরিষদের কর্মকতারা। বিতরণ কর্মসূচিতে প্রধান অতিথি ছিলেন, সদর উপজলো সহকারী ভূমি কর্মকর্তা মো. শামছুজ্জামান।

বিশেষ অতিথি ছিলেন, নোয়াখালী এনজিও সমন্বয় পরিষদের সাধারণ সম্পাদক ও এসো গড়ি উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী প্রধান মো. আবদুল আউয়াল।

আরো উপস্থিত ছিলেন, এফপিএবি’র প্রোগ্রাম অফিসার ডা. মো. নুরুল আলম লিটন, ব্র্যাকের জেলা প্রতিনিধি মো. চৌধুরী শরীফুর রহমান পন্নী, এলএমআরএফ’র সহকারী প্রোগ্রাম ম্যানেজার শেখ নাজমুস শাহাদাত, নবধারা সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী প্রধান রাশেদা পারভীন কুসুম, বাপসা’র প্রোগ্রাম অফিসার আবদুর রশিদ, এলএমআরএফ’র এরিয়া কো-অর্ডিনেটর মামুনুর রশিদ, আশা’র রিজিওনাল ম্যানেজার মনির হোসেন, এসডিআই’র রিজিওনাল ম্যানেজার মো. মিলন মিয়া, এনআরডিএস’র কর্মসূচি কর্মকর্তা টেরেন্স ডায়েছ, মেরীস্টোপস ক্লিনিং ম্যানেজার মাসুদুর রহমান, উদ্দীপনের ব্রাঞ্চ ম্যানেজার মাহফুজুর রহমান, প্রাপ্তি নারী ও শিশু উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী প্রধান আরমান আক্তার মুন্নী, দুস্থ সমাজ উন্নয়ন সংস্থার নির্বাহী পরিচালক সালমা বেগম, ব্যুরো বাংলাদেশের এরিয়া ম্যানেজার মো. জহির হোসেন প্রমুখ।

এসময় প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের উদ্যোগে এ কর্মসূচি সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত শীতার্ত মানুষের শীত নিবারণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে। সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের পাশাপাশি সমাজের বিত্তবান, সম্পদশীল ব্যাক্তিদের সমাজের অসহায়, দরিদ্র ও সুবিধা বঞ্চিত মানুষের পাশে থাকার অনুরোধ করেন।

 

সোনাইমুড়িতে জমি সংক্রান্ত বিরোধে নারী খুন

নোয়াখালীর সোনাইমুড়ি উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পালপাড়া গ্রামের জমি সংক্রান্ত বিরোধের জেরে হামলার ঘটনায় নূপুর বেগম (২৫) নামের এক নারী খুন হয়েছেন। রোববার ভোর রাতে ঢাকার নেওয়ার পথে ওই নারী মারা যান। নিহত নূপুর বেগম উপজেলার দেওটি ইউনিয়নের পালপাড়া মফিজ ড্রাইভার বাড়ীর আবদুল বারেকের মেয়ে। স্থানীয়রা জানায়, নিহত নূপুরের বাবা আবদুল বারেকের সাথে একই বাড়ীর তার চাচা সোবহান মিয়ার সাথে জায়গা-জমি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে বিরোধ চলে আসছিল। এ বিরোধের একটি মামলায় বাদী ছিলেন নূপুর। এর জের ধরে শনিবার দুপুরে সোবহান মিয়া ও তার ছেলে তারেক পুনরায় আবদুল বারেকের জমিতে ধানের চারা লাগাতে আসে। এ নিয়ে বাকবিতন্ডার একপর্যায়ে সোবহান মিয়া ও তারেক লাঠি দিয়ে নূপুরের মাথায় আঘাত করে। এতে তিনি গুরুতর আঘাতপ্রাপ্ত হন। পরে পরিবারের লোকজন তাকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে তার শারীরিক অবস্থার অবনতি দেখা দিলে ডাক্তারের পরামর্শে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার নেওয়ার পথে রোববার ভোর রাতে তার মৃত্যু হয়। সোনাইমুড়ি থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আশরাফ উল ইসলাম বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, খবর পেয়ে রোববার সকালে পুলিশ নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এ ঘটনায় পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলেও তিনি জানান।

 

বাংলাদেশ ভার্মি কম্পোষ্ট উৎপাদক এসোশিয়েশনের যাত্রা শুরু
“মাটির স্বাস্থ্য রক্ষা করুন, কেঁচো সার ব্যবহার করুন” এ শ্লোগানে নোয়াখালীর সেনবাগ উপজেলার প্রত্যন্ত গ্রামে বাংলাদেশ ভার্মি কম্পোষ্ট (জৈব) উৎপাদক এসোশিয়েশন (বিভিআরএ) আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করেছে।

গতকাল বিকেলে উপজেলার মধ্যনজরপুর গ্রামের কৃষক মো. সাহাব উল্যাহর বাড়ীর আঙ্গিনায় বাংলাদেশ ভার্মি কম্পোষ্ট (জৈব) উৎপাদক এসোশিয়েশনের উদ্বোধন ঘোষনা করেন, প্রধান অতিথি নোয়াখালী জেলার প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা (বিএআরআই) কৃষিবিদ ড. মুহাম্মদ Noakhali Pic-2 (25.01.15)মহী উদ্দিন চৌধুরী।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্মি কম্পোষ্টের অন্যতম উৎপাদক ও জেলার সফল কৃষি উদ্যোক্তা মো. সাহাব উল্যাহর সভাপতিত্বে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন, নরসিংদী জেলার গ্রামীণ কৃষক আত্মকল্যাণ সংস্থার প্রধান নির্বাহী সেলিনা জাহান, এডভোকেট আবদুল আজীম চৌধুরী মানিক প্রমুখ। বক্তারা বলেন, একদিকে পরিবেশ বান্ধব কম্পোষ্ট (জৈব) ব্যবহারে ফসল উৎপাদনে খরচ হ্রাস পাবে।

অন্যদিকে, মানবদেহ রাসায়নিক ক্ষতির হাত থেকে মুক্তি পাবে। ফসল উৎপাদনের জন্য ভার্মি কম্পোষ্টের (জৈব) বিকল্প নেই। দেশে কৃষকেরা এর আত্ততায় আসলে সর্বক্ষেত্রে তারা সহ সাধারণ জনগণও উপকৃত হবে। অনুষ্ঠান শেষে স্থানীয় শতাধিক কৃষকের মাঝে বিনামূলে ভার্মি কম্পোষ্ট (জৈব) বিতরণ করা হয়।

 

নোয়াখালীতে বিএনপি-জামায়াতের ২৮ নেতাকর্মী আটক
২০ দলীয় জোটোর ডাকা অনির্দিষ্টকালের অবরোধ ও ৩৬ ঘন্টার হরতালকে কেন্দ্র করে নাশকতার অভিযোগে ও সকল ধরনের নাশকতা এড়াতে নোয়াখালীতে অভিযান চালিয়ে বিএনপি ও জামায়াতের ২৮ নেতাকর্মীকে আটক করেছে পুলিশ।

শনিবার রাত থেকে রোববার (২৫ জানুয়ারি) দুপুর ১২টা পর্যন্ত জেলার বিভিন্ন উপজেলায় পুলিশ প্রশাসনের পক্ষ থেকে এ অভিযান পরিচালনা করা হয়। আটককৃতদের মধ্যে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের ২৭ জন নেতাকর্মী, জামায়াতের একজন নেতা রয়েছেন। তবে তাদের বিস্তারিত নামপরিচয় জানা যায়নি।

পুলিশ সুপার (এসপি) ইলিয়াছ শরীফ আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আটককৃতদের দুপুরে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হবে।



মন্তব্য চালু নেই