নোয়াখালীতে প্রতারণার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী খোনার ওলামাদল ও হেফাজত ইসলামের আদলে প্রতারণা

এম.এ আয়াত উল্যা, নোয়াখালী থেকে : নোয়াখালীর সদর উপজেলার এওজবালিয়া ইউপি সাহেবের হাট আবদুল্লাহপুর গ্রামের খোনার ইয়াসিন আরাফাত প্রতারণার মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী ওলামাদল ও হেফাজত ইসলামের আদলে প্রতারণা ও জালিয়াতির মাধ্যমে কোটি কোটি টাকা আত্মসাত করে প্রতারণার মামলা থেকে বাঁচতে নানা বিশেষনে বিশেষিত খোনার ইয়াসিন আরাফাতের মধুকুঞ্জে অতিথি পাখিদের আনন্দ জলসা চলছেই। ছদ্মনাম ব্যবহার করেও নোয়াখালীর সদর উপজেলার ফকিরপুরে চুল্লার চা দোকান এলাকায় গোপন আস্তানায় খোনারী ব্যবসা চলছে। এলাকাবাসী জানায়, প্রবাসীনির সাথে ধরা পড়ে ঘেরাও’র পর অশ্লীলছবি ধারণ করে এক গোপন রফাদফার মাধ্যমে প্রথম দফায় হয়রানি থেকে অব্যাহতি পান। পরবর্তীতে হাউজিংয়ে বাসা বাঁধেন খোনার ইয়াসিন আরাফাত। বিক্ষুব্ধরা জানিয়েছেন এখানেও তিনি সমাজের প্রভাবশালীদের মেজবানির মাধ্যমে রঙ মহলে বিভিন্ন শ্রেণী ও পেশার ক্ষমতাবানদের গোপন সুবিধা দিয়ে নানা অপরাধ কর্মকান্ড অব্যাহত রেখেছেন। ২০ দলীয় শরিক দলের পোষ্টধারী নেতা হয়েও একটি বিশেষ রাজনৈতিক দলের জনৈক মুখচেনা নেতা ও প্রশাসনের কয়েকজন অসাধু কর্মকর্তার সাথে গোপন যোগাযোগের মাধ্যমে সরকার বিরোধী আন্দোলনের অর্থযোগানদাতা মামলায় অন্তর্ভূক্ত না হয়ে পাহাড় সমান এন্থার অভিযোগ পরিচালনা করছেন। সূত্র জানায়, নোয়াখালী তাহফিজুল কোরআান প্রশিক্ষণ কেন্দ্রে নিজে অতিথি শিক্ষক সেজে উপাধ্যক্ষের ভিজিটিং কার্ড ছেপে ইউনিফে-২ ইউ নামে ছাত্র ও অভিভাবকদের প্রতারণার ফাঁদে ফেলে কোটি কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় খোনার ইয়াসিন আরাফাত। পরবর্তীতে কর্তৃপক্ষ তাকে এখান থেকে বিতাড়িত করলে তন্ত্রমন্ত্র ও কুফুরি কালামের মাধ্যমে তাবিজ, কবজ, অবাধ্যকে বাধ্য, অসাধ্যকে সাধন, ইচ্ছার বিরুদ্ধে মানুষকে কুফরি কালামের মাধ্যমে বেবোলা করিয়া অসামাজিক কার্যকলাপ সাধন, খোনারী ব্যবসাসহ নানা অভিযোগে প্রশ্নবিদ্ধ ভূমিকায় রয়েছেন। হাবিব ভেজিটেবলের আলামিন মাদ্রাসায় কিছুদিন লেখা পড়া করে হাটহাজারী মাদ্রাসায় লেখা পড়ার নামে নানা শিক্ষায় প্রশিক্ষিত হয়ে ন্যাক্কার জনক কর্মকান্ড চালিয়ে যাচ্ছেন। তিনি এওজবালিয়া সাহেবের হাট আবদুল্লাহপুর গ্রামে বিশাল প্রসাদ সামরাজ্য গড়ে তুলেছেন। তার বিরুদ্ধে কেউ মুখ খুললে বিশেষ সুবিধা ভোগীরা তাদের হত্যা, গুম ও মামলার হুমকি দিয়ে পিছু হটিয়ে দেয়। প্রতারণার মাধ্যমে কোটি টাকা হাতিয়ে নিয়ে বহাল তবিয়তে আছে প্রতারক খোনার ইয়াসিন আরাফাত। আবার তার প্রতারণার শিকার হয়ে নিঃস্ব হয়ে গেছেন এমন অনেকে আজ বাকরুদ্ধ। ভূক্তভোগীদের জীবনের অর্জিত সমস্ত অর্থ তুলে দেন প্রতারক ইয়াসিন আরাফাতের হাতে শুধু একটু ভালো থাকার প্রত্যাশায়। জানা যায়, প্রতারক ইয়াসিন আরাফাত ইউনিফে-২ নামে একটি সংগঠনের নাম ভাঙিয়ে অসহায় কিছু মানুষের কাছ থেকে প্রায় ৫/৭ কোটি টাকা বিনিয়োগ হিসেবে নেয় ভূমি ব্যবসায় খাঁটাবে বলে। কথা ছিল বিনিয়োগকৃত অর্থের লভ্যাংশ হিস্যা হারে প্রদান করা হবে। কিন্তু লাভ তো দূরে থাক বিনিয়োগ কারীদের আসল টাকাই ফেরত দিতে চাচ্ছে না প্রতারক ইয়াসিন আরাফাত। নামে বিশ্বনন্দিত নেতার মিল থাকলেও ইয়াছিন আরাফাত তার নামের মাঝে কলঙ্কের কালিমা লেপন করে নিয়েছেন দুর্ণীতি ও প্রতারণাসহ নানা রকম নেতিবাচক কর্মকাণ্ডের কারণে। ইয়াসিন আরাফাত হাউজিং এস্টেটে রেজা ম্যানশনের নিচতলায় আলিসান অফিস নিয়ে তার প্রতারণার জাল বিস্তার করে চলছে। তার প্রতারণার জালে যারা আটকা পড়েছেন এদের মধ্যে মনির হোসেন ৭ লাখ টাকা, গিয়াস উদ্দিন ৭ লাখ টাকা, ফারুক হুজুর ১৬ লাখ টাকা, মোঃ হাছান প্রকাশ লুতু হাজি ১৬ লাখ টাকা, শহীদ ভুলু ৩৫ লাখ টাকা, এডভোকেট জাকির ৬ লাখ টাকা, মোঃ ছানা উল্যা ৫ লাখ ৫০ হাজার টাকা, সেলিনা আক্তার ৪ লাখ টাকা। এদের মধ্যে সেলিনা আক্তারের ছেলের ক্যান্সার হওয়ায় তার লগ্নিকৃত অর্থ ফেরত চাইলেও নির্দয় প্রতারক ইয়াসিন আরাফাত টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানায়। এদিকে প্রতারক ইয়াসিন আরাফাতের বিরুদ্ধে ভুক্তভোগীদের মধ্যে ছানা উল্যা থানায় মামলা দায়ের করেছেন। বর্তমানে সে ঐ মামলার ওয়ারেন্টভুক্ত আসামী হয়েও বহাল তবিয়তে ঘোরাফেরা করছেন। খোনার ইয়াসিন আরাফাত এক সময় শিবিরের রাজনীতির সাথে জড়িত ছিলেন। পরবর্তীতে হেফাজতে ইসলামের সাথে যোগ দিয়ে ঢাকার মতিঝিলে সংঘটিত সহিংসতার সাথে জড়িত থাকার অপরাধে ২০১৩ সালে গ্রেফতার হয়। বর্তমানে সে মুখোশ পাল্টে ওলেমা দলে যোগ দিয়েছে। এদিকে ইয়াসিন আরাফাতের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়ার জন্য ভুক্তভোগীরা প্রশাসনের কাছে জোর দাবি জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই