নোয়াখালীতে পৃথক অগ্নিকান্ডে ১৩টি ঘর পুড়ে ছাই

নোয়াখালীর সেনবাগ ও সূবর্ণচর উপজেলায় পৃথক অগ্নিকান্ডের ঘটনায় ১১ টি ঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। এতে উভয় ঘটনায় প্রায় ৩০ লক্ষ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে ক্ষতিগ্রস্থরা দাবি করেছেন।

সোমবার (১৬ মার্চ) দুপুর দেড়টার দিকে সেনবাগ উপজেলার কেশারপাড় ইউনিয়নের কেশারপাড় গ্রামের গোরফান মেম্বার বাড়ীতে আগুনে বসতঘরসহ ৮টি ঘর পুড়ে যায়। এতে প্রায় ২৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে বলে দাবি করেছেন ক্ষতিগ্রস্থরা। আগুনে ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, দলিলুর রহমান, খোরশেদ আলম, বাবুল মিয়া, স্বপন ও মৃত গোরফান মেম্বারের পরিবার।

স্থানীয়রা জানায়, দুপুরে উপজেলার কেশরপাড় ইউনিয়নের ৮নং ওয়ার্ড কেশরপাড় গ্রামের মৃত গোরফান মেম্বারের বাড়ীর বাবুল মিয়ার ঘর থেকে বৈদুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত ঘটে। মূহুর্তের মধ্যে আগুন আশেপাশের ঘরগুলেতে ছড়িয়ে পড়ে।

খবর পেয়ে পাশ্ববর্তী উপজেলার সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিসের সদস্যরা ঘটনাস্থলে পৌঁছে স্থানীয়দের সহযোগিতায় একটি ইউনিট প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনে। এর আগেই আগুনে বাবুলের একটি বসতঘর, একটি রান্নারঘর, দলিলুর রহমানের একটি বসতঘর, একটির রান্নারঘর, খোরশেদ আলমের একটি বসতঘর, একটি রান্নাঘর, একটি গরুর ঘর, স্বপনের একটি বসতঘর, একটি রান্না ঘর, গোরফানের একটি বসতঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়।

আগুনে ঘর গুলোতে থাকা নগদ ৪০ হাজার টাকা, টিভি, ফ্রিজ ও মূল্যবান আসবাবপত্র ২৫ লাখ টাকার ক্ষতি হয়। ৮নং ওয়ার্ড কেশারপাড় গ্রামের ইউপি সদস্য জাকির হোসেন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, আগুনের খবর পেয়ে স্থানীয় মসজিদের মাইকে ঘোষণার পর লোকজন আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করে। আগুনে ওই ঘরগুলোর মালামাল সম্পূর্ণ পুড়ে গেছে। সোনাইমুড়ী ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার সাকায়েত উল্লা জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছে প্রায় দুই ঘন্টা চেষ্টার পর আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে সক্ষম হই। ধারণা করা হচ্ছে বৈদুতিক শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়।

অপরদিকে, দুপুর ১টার দিকে সূবর্ণচর উপজেলার ২নং চরবাটা ইউনিয়নের চরবাটা গ্রামের দুলাল মিয়ার হাট সংলগ্ন দুলাল মিয়ার বাড়ীতে অ‎িগ্নকান্ডের ঘটনায় তিনটি বসতঘর পুড়ে ছাই হয়ে গেছে। ক্ষতিগ্রস্থরা হলেন, আবদুর রশিদ, মাহফুজ মিয়া ও আলম মিয়া।

ক্ষতিগ্রস্থরা জানান, আলম মিয়ার রান্না ঘর থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়। মূহুর্তের মধ্যে আগুন চারদিকে ছড়িয়ে পড়ে ৩টি ঘর সম্পূর্ণ পুড়ে যায়। এতে নগদ ৩০ হাজার টাকা সহ প্রায় ৫ লাখ টাকার ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। চরবাটা ইউনিয়ন পরিষদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান মোস্তফা পারভেজ অগ্নিকান্ডে ৩টি বসতঘর পুড়ে য়াওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।



মন্তব্য চালু নেই