নোয়াখালীতে দ্বিতীয়শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার গনিত প্রশ্নপত্রে ভুল
এম.এ আয়াত উল্যা, স্টাফ রিপোর্টার, নোয়াখালী : নোয়াখালীর সদর উপজেলার সরকারী-বেসরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়গুলোর দ্বিতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার গনিত প্রশ্নপত্রে ভুল ধরা পড়েছে। এতে কোমলমতি অনেক পরীক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে ভুল উত্তর দিয়ে এখন আতংকে ভুগেছে বলে অভিভাবকরা অভিযোগ করেছেন।
দেখা যায়, সদর উপজেলা শিক্ষা অফিস কর্তৃক প্রণীত দ্বিতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার ১০০ নম্বরের গণিত পরীক্ষার প্রশ্নপত্রের ৫নং প্রশ্নে (মান-১০) তিনটি বিকল্প অংক দিয়ে যেকোনো দুইটি অংককে গুণ করতে বলা হয়েছে। কিন্তু এখানে ক ও খ এর অংকে গুণ চিনহ থাকলেও গ এর অংকটি ভাগ চিনহ দেওয়া ছিলো। এতে অনেক পরীক্ষার্থীই উত্তর দিয়ে গিয়ে ভুল করে এসেছে। শনিবার (১৭ ডিসেম্বর) দুপুরে নোয়াখালীর মাইজদী বাজারের অরুণচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ে দ্বিতীয় শ্রেণীর বার্ষিক পরীক্ষার গণিত পরীক্ষার শেষে এ ভুল ধরা পড়ে। পরে বিষয়টি নিয়ে অভিভাবকরা অভিযোগ করেন। কয়েকজন অভিভাবক অভিযোগ করে বলেন, আমাদের কোমলমতি অনেক শিশু পরীক্ষার্থী ভুল প্রশ্নে ভুল উত্তর দিয়ে এখন আতংকে ভুগেছে।
আবার প্রশ্নপত্রের ভুলে অনেক শিক্ষার্থী পরীক্ষা শেষে সব প্রশ্নের সঠিক উত্তর দিতে না পেরে কান্না করতে থাকে। শিক্ষা অফিসের উদাসীনতা ও কর্মকর্তারা দূর্ণীতি করতে গিয়ে বাহিরের অযোগ্য ব্যাক্তির মাধ্যমে প্রশ্নপত্র ছাপান। আগে এরকম অসংখ্য ভুল ধরা পড়েছে বলেও তারা ক্ষোভ প্রকাশ করেন। আগামীতে সঠিক উপায়ে প্রশ্নপত্র প্রণয়নের দাবি জানান। অরুণচন্দ্র সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রশিদা বেগম জানান, অনেক অভিভাবক বিষয়টি তাকে জানিয়েছেন।
তবে বিষয়টি শিক্ষা অফিসের এখতিয়ার। এখানে তাদের কোনো মন্তব্য নেই। এসব প্রশ্নপত্র ছাপানোর দায়িত্বপ্রাপ্ত রনি ভ্যারাইটিজের সত্ত্বাধিকারী ইমাম হোসেন জানান, সদর উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসের কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর হোসেন তাকে প্রশ্নপত্র ছাপানোর কাজ দিয়েছেন। তার কাজ ছাপানো। প্রশ্নপত্র ভুল না সঠিক সেটি অফিসের দায়িত্ব আমার না। সদর উপজেলার সহকারী প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা ও প্রশ্নপত্র প্রণয়ন কমিটির সচিব জাহাঙ্গীর হোসেন এ বিষয়ে জানান, আমি জরুরি কাজে ফেনী আছি। তবে পরে বিষয়টি তিনি দেখবেন বলে জানান।
মন্তব্য চালু নেই