সর্বকালের রেকর্ড ভেঙ্গেছে এবার চা উৎপাদন, ৮০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে

সৌরভ আদিত্য, শ্রীমঙ্গল প্রতিনিধি : চলতি মৌসুমে (২০১৬) দেশে চা উৎপাদনে সর্বকালের রেকর্ড ছাড়িয়ে যাবে। এবারের উৎপাদন লক্ষ্যমাত্রা ছাড়িয়ে অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙ্গে দেশে চা উৎপাদনে নতুন রেকর্ড গড়তে যাচ্ছে। সংশ্লিস্টরা বলছেন, এবার চা উৎপাদন ৮০ মিলিয়ন কেজি ছাড়িয়ে যাবে।

চা বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এবারের অনুকুল পরিস্হিতির কারনে দেশের চা শিল্পের ১৬২ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ ৮০ মিলিয়ন কেজিরও বেশি চা উৎপাদন হবে। যা হবে দেশের চা শিল্পের জন্য নতুন রেকর্ড।

চা বোর্ড সুত্র বলছে, অনুকুল আবহাওয়া ও পরিবেশ, প্রয়োজনীয় বৃস্টিপাত, সঠিক তাপমাত্রা, রেড স্পাইডারসহ পোকা- মাকড়ের আক্রমন তেমন না থাকা ও খরার কবলে না পরার কারনে এবার দেশে বাম্পার চা উৎপাদন হয়েছে।

বাংলাদেশ চা বোর্ডের নিয়ন্ত্রনাধীন মৌলভীবাজারের নিউ সমনবাগ চা বাগানের জেনারেল ম্যানেজার মো.শাহজাহান আকন্দ নিশ্চিত করে বলেছেন, আগামী ৩১ ডিসেম্বর চলতি চা উৎপাদন মৌসুম শেষ হবে। বাকি সময়টুকু চা শিল্পে আবহাওয়াজনিত বিপর্যয়ের আর কোন আশংকা নেই। তাই নিশ্চিত করে বলা যায়, এবার দেশে সর্বকালের সর্বোচ্চ ৮০ মিলিয়ন কেজিরও বেশি চা উৎপাদন হবে। যা দেশের চা শিল্পের ইতিহাসে এবং ১৬২ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ। তিনি আরো বলেন, গত চা উৎপাদন মৌসুমে (২০১৫) দেশে ৬৭.৩২ মিলিয়ন কেজি চা উৎপাদন করে রেকর্ড সৃস্টি করেছিল চা শিল্প।

জেনারেল ম্যানেজার শাহজাহান আকন্দ আরো বলেন, গত ৩০ নভেম্বর পর্যন্ত দেশে গত বছরের তুলনায় ১ কোটি ৩০ লাখ কেজি চা উৎপাদন বেশি হয়েছে। অর্থাৎ চা উৎপাদন হয়েছে ৭৭ মিলিয়ন কেজি। তাই আগামী ৩১ ডিসেম্বর সমাপ্ত চলতি চা উৎপাদন মৌসুমে ৮০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা উৎপাদনের ক্ষেত্রে আর কোন সন্দেহ নেই বরং সর্বোচ্চ ৮০ মিলিয়ন কেজির বেশি চা উৎপাদনের বিপুল সম্ভাবনার দ্বার উন্মুক্ত হয়েছে।
শ্রীমঙ্গলে অবস্হিত আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রের সিনিয়র অবজারভার মো.হারুনুর রশিদ জানান, গত ১ জানুয়ারি থেকে এ পর্যন্ত ২৪৮৭ মিলিমিটার বৃস্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে। যা চা শিল্পের জন্য খুবই ইতিবাচক হিসিবে দেখছেন চা বিশেষজ্ঞরা। এ বৃস্টিপাতকে তারা চা শিল্পের জন্য আশির্বাদ হিসেবেও আখ্যা দিয়েছেন। এদিকে ২০১৫ সালে শ্রীমংগলে রেকর্ড হয়েছিল ২৫০১ মিলিমিটার বৃস্টিপাত।

এবার সর্বোচ্চ চা উৎপাদনের কারন ব্যাখ্যা করতে গিয়ে ওই কর্মকর্তা আরো বলেন, অনুকুল আবহাওয়া ছাড়াও চা জমির সম্প্রসারণ, আনুসাঙ্গিক সরঞ্জামাদির পর্যাপ্ততা, সময়মত সার ও কীটনাশক প্রাপ্তি, চা বোর্ডের নজরদারি ও ক্লোন চা গাছের ব্যবহার বৃদ্বি প্রভৃতি কারনে এবার সর্বোচ্চ চা উৎপাদন হতে যাচ্ছে।



মন্তব্য চালু নেই