নোয়াখালীর কিছু খবর :

নেতৃত্বের প্রয়োজনে দলের ভিতর কোন্দল সৃষ্টি করবেন না : একরামুল করিম চৌধুরী এমপি

নোয়াখালী জেলা আওয়ামীলীগের সাধারন সম্পাদক ও নোয়াখালী-৪ (সদর-সূবর্ণচর) আসনের সংসদ সদস্য একরামুল করিম চৌধুরী বলেছেন, নেতৃত্বের প্রয়োজনে দলের ভিতর কোন্দল সৃষ্টি করবেন না। অনেক ত্যাগ ও কষ্টের বিনিময়ে নোয়াখালীতে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গ সংগঠনকে গুছিয়ে এনেছি। পকেট ভারির রাজনীতি এখন নোয়াখালী আওয়ামী লীগে নেই। তাই সকলের আন্তরিক প্রচেষ্টায় আজকের সু-সংগঠিত আওয়ামীলীগকে ধরে রাখতে হবে। গণতন্ত্রের বিজয় দিবস ও ৪ঠা জানুয়ারী বাংলাদেশ ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠা বার্ষিকী উপলে ৫ই জানুয়ারী বিকালে নোয়াখালী জেলা শহরে আয়োজিত সমাবেশে ঐক্যবদ্ধ ভাবে অংশগ্রহন করতে নেতাকর্মীদের প্রতি আহবান জানান তিনি । গতকাল নোয়াখালী সদর উপজেলা আওয়ামীলীগের বর্ধিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্য কালে তিনি এ সব কথা বলেন। সদর উপজেলা পরিষদ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত বর্ধিত সভায় উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি এডভোকেট শিহাব উদ্দিন শাহিনের সভাপতিত্বে ও উপজেলা আওয়ামীলীগ সাধারন সম্পাদক এডভোকেট আতাউর রহমান নাছেরের সঞ্চালনায় অন্যানোর মধ্যে উপস্থিত ছিলেন, জেলা আওয়ামীলীগ নেতা আবদুল মমিন বিএসসি, মাওলা জিয়াউল হক লিটন, সামছুদ্দিন জেহান, ফখরুল ইসলাম মন্টু, আবদুস জাহের, নিজাম উদ্দিন, উপজেলা আওয়ামীলীগের সহ-সভাপতি মাওলনা আবু বক্কর সিদ্দীক, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেন শাহেদ, সহ-প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক নুরুল আমিন, সাংগঠনিক সম্পাদক নুর আলম প্রমুখ। সভা শেষে ইউনিয়ন নেতৃবৃন্দের সাথে বিভিন্ন বিষয় সমন্বয় করেন উপজেলা আওয়ামীলীগ।

 

জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সধারন সম্পাদক আবদুল হামিদ রাজু

দেশ ও জনগণের জন্য যারা নিঃস্বার্থভাবে নিবেদিত হতে পারবে তাদেরই  রাজনীতিতে আসা উচিত
এম.এ আয়াত উল্যা, নোয়াখালী থেকে :  নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের নোয়াখালী বিশ্ব বিদ্যালয়ের যুগ্ম আহবায়ক ও নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সধারন সম্পাদক আবদুল হামিদ রাজু একান্ত সাাতে বলেছেন, রাজনীতিতে যারা দেশ জনগণ এবং সমাজের জন্য নিঃস্বার্থভাবে নিবেদিত হতে পারবে তাদেরই রাজনীতিতে আসা উচিত। বাংলাদেশের রাজনীতির প্রোপট দেখলে মনে হয় রাজনীতিকে এক শ্রেণীর ধনবান মানুষ যেন ব্যবসা হিসেবে ব্যবহার করছেন। ব্যবসায় যেভাবে প্রথমে পুঁজি বিনিয়োগ করে পরে লাভের চিন্তা করা হয় তেমনি আমাদের বর্তমান রাজনীতিতে এক শ্রেণীর পুঁজিবাদী মানুষ রাজনীতিতে আসার সময় দলীয় ভান্ডারে টাকা ঢালেন, পরে পদ পেয়ে শুরু করেন কঠিন ব্যবসা। আজকের রাজনীতিকে ব্যবসা হিসেবে ট্রিট করায় রাজনীতির হিসাব-নিকাশ সম্পূর্ণ পাল্টে গেছে। তিনি গতকাল ৪ ডিসেম্বর সকাল ১০টায় সাংবাদিকদেরকে একটি সাাৎকারে এই কথা বলেন। ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে বাঁচানোর জন্য রাজনৈতিক নেতারাই রাজনীতির মাঠে থাকতে হবে। পুঁজিবাদী ব্যক্তিদের ধন-সম্পদের গরমে রাজনীতিতে আদর্শ নেতা ও আদর্শ রাজনীতিও নেই। ধনবান ব্যক্তিরা টাকা দিয়ে রাজনীতিকে কিনে নেওয়ার ফলে দেশ আজ বেসামাল হয়ে পড়েছে। ফলে রাজনীতির সম্মান, গ্রহণযোগ্যতা, ঐতিহ্য এবং আদর্শ আজ বিলুপ্তির পথে। তাই এই বেসামাল পরিস্থিতি থেকে রা পেতে হলে যুবকদের রাজনীতিকে শক্তিশালী করতে হবে। যুবকদের রাজনীতিতে যদি আদর্শ ও শৃংখলা শিা দেওয়া হয় তাহলে ভবিষ্যতে রাজনীতি শক্তিশালী হবে। ত্যাগী নিঃস্বার্থ মনোভাবের যুবকরা যদি রাজনীতির মাঠে থাকে তাহলে জাতীয় রাজনীতি থেকে দুর্নীতি এবং হীনস্বার্থ চরিতার্থ করার বিষয়টি চিরতরে উৎখাত হয়ে যাবে। তিনি আরও বলেন, আমাদের পুরো পরিবারই রাজনীতির সাথে জড়িত। আমি স্কুল জীবন থেকে ২০০১ সালে ছাত্র রাজনীতির সাথে জড়িত হই। কিছু পাওয়ার জন্য নই। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের আর্দশে অনুপ্রাণিত হয়ে ছাত্র রাজনীতিতে জড়িয়ে পড়ি। পরে জেলা ছাত্রলীগের নোয়াখালী বিশ্ব বিদ্যালয়ের যুগ্ম আহবায়ক ও নোয়াখালী জেলা ছাত্রলীগের যুগ্ম সধারন সম্পাদক নিয়োজিত আছি। তারপরে শেয়ার কোম্পানীর শেয়ার হোল্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছি। পরে নোয়াখালী ৪ আসনের সংসদ সদস্য হাজী একরামুল করিম চৌধুরী আদর্শে সমাজে প্রতিষ্ঠিত। আমি রাজনীতির মাধ্যমে সমাজে পরিবর্তনে বিশ্বাসী। ছাত্র রাজনীতির দীর্ঘ অভিজ্ঞতার আলোকে বলছি, এ পর্যন্ত  নিজের পকেটের টাকা দিয়ে রাজনীতি করেছি। রাজনীতি করতে গিয়ে পেয়েছি মানুষের অগাধ ভালবাসা, আন্তরিকতা আর অনুপ্রেরণা। বড় ছোট সবার প্রতি সম্মান রেখে রাজনীতিতে আরো বড় হতে চাই। রাজনীতি করতে গিয়ে লোভ করিনি বলে দীর্ঘদিন ছাত্র রাজনীতির স্বক্রিয় অবস্থানে আছি। সৃষ্টিকর্তার কৃপায় কোন দুর্নাম বা মামলা মোকদ্দমার মুখোমুখি হইনি। তিনি আরো বলেন, সুশিায় শিতি হয়ে যুবকদের রাজনীতিতে আসা উচিত। যুবকদের কমান্ড মেনে চলা, শৃংখলা মেনে রাজনীতি করলে দেশের ও সমাজের জন্য, পরিবারের জন্য এবং ব্যক্তির জন্য মঙ্গল। দেশের সকল যুবক ছাত্র সংগঠন ও নেতাকর্মীদের প্রতি আমার বিশেষ আহবান, আমরা সবাই যদি ব্যক্তিগত ভাবে ভালো হয়ে চলি এবং দ রাজনীতি করি তাহলে আমাদের ঐতিহ্যবাহী রাজনীতি আবার সম্মানের শীর্ষস্থানে পৌঁছে যাবে বলে আমার দৃঢ় বিশ্বাস।



মন্তব্য চালু নেই