নেই আশ্রয়কেন্দ্র, আতঙ্কে চরের ২০ হাজার মানুষ

উপকূলের দিকে ধেঁয়ে আসা ঘূর্ণিঝড় রোয়ানুর সতর্ক বার্তা মাইকে প্রচারের পর থেকে চরম আতঙ্কে রয়েছেন লক্ষ্মীপুরের রামগতি উপজেলার চারদিকে মেঘনা নদী বেষ্টিত তিনটি ‘দ্বীপ’ চরের ২০ হাজার মানুষ। উপজেলার চরআব্দুল্লা ইউনিয়নের তেলিরচর, চরগাসিয়া ও চরমুজাম্মেল নামে ওই তিনটি ‘দ্বীপ’ চরে কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র এবং বেড়িবাঁধ না থাকায় তাদের মধ্যে এ আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে উপজেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে ওই চরগুলোতে বসবাসকারীদের জান-মালের নিরাপত্তার জন্য দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটি সকল প্রস্তুতি গ্রহণ করেছে।

স্থানীয়রা জানান, উপজেলার চরআব্দুল্লা ইউনিয়নের অন্তর্গত চারদিকে মেঘনা নদী বেষ্টিত তেলিরচর, চরগাসিয়া ও চরমুজাম্মেলে ২০ হাজার মানুষ বসবাস করে। প্রায় ১০০ বর্গকিলোমিটার আয়তনের ওই ‘দ্বীপ’ চরগুলোতে কোনো ঘূর্ণিঝড় আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধ নেই। এতে করে ঝড়-জলোচ্ছ্বাসের সময় বসবাসকারীরা সেখানে নিরাপদ আশ্রয়ে থাকার কোনো সুযোগ পান না। উপজেলার মূল ভূখণ্ড থেকে প্রায় ২০ কিলোমিটার প্রশস্ত মেঘনা নদী দিয়ে বিচ্ছিন্ন হওয়ায় দুর্যোগের সময় ওই তিনটি চরের লোকজনকে নিরাপদ আশ্রয়ে স্থানান্তর করা কঠিন হয়ে পড়ে।

তেলিরচরের বাসিন্দা মো. তছলিম হোসেন জানান, শুক্রবার (২০ মে) বিকেল থেকে ঘূর্ণিঝড় রোয়ানু’র সতর্ক বার্তা মাইকে প্রচার হওয়ার পর থেকে তারা আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। ওই চরে নিরাপদে থাকার কোনো ব্যবস্থা না থাকাই এর মূল কারণ বলে দাবি করে তিনি বলেন, ‘এখানকার লোকজন নিরাপদ আশ্রয়ে যাওয়ার জন্য দিশেহারা হয়ে পড়েছেন।’

স্থানীয় চরআব্দুল্লা ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. বেল্লাল হোসেন জানান, আশ্রয়কেন্দ্র ও বেড়িবাঁধ না থাকায় সিডর ও আইলাসহ বিভিন্ন প্রাকৃতিক দুর্যোগে ওইসব চরে ব্যাপক প্রাণহানি হয়েছিলো। যে কারণে সেখানে বসবাসকারীরা ঘূর্ণিঝড়ের কথা শুনে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন। তবে ওইসব মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে বলে তিনি জানান।

উপজেলা দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা কমিটির সভাপতি ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা এসএম শফি কামাল বলেন, ‘ওই চরগুলো থেকে মানুষদের নিরাপদে সরিয়ে আনতে বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার প্রস্তুত রাখা হয়েছে। ওইসব ট্রলারে করে শনিবার (২১ মে) সকাল থেকে তাদেরকে নিরাপদ আশ্রয়ে সরিয়ে আনা হবে।’



মন্তব্য চালু নেই