নেইমারের জোড়া গোলে সেমিতে বার্সা

চ্যাম্পিয়ন্স লিগের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে প্যারিস সেন্ট জার্মেই’কে (পিএসজি) তাদেরই মাঠে ৩-১ গোলে হারিয়ে আসে বার্সেলোনা। ফিরতে লেগে নিজেদের মাঠে নেইমারের জোড়া গোলে সফরকারীদের ২-০ গোলে হারিয়ে ৫-১ গোলের অগ্রগামিতায় দাপটের সঙ্গে সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হলো লুইস এনরিকের দল।

মঙ্গলবার ন্যু-ক্যাম্পে প্রথমার্ধেই বার্সেলোনার হয়ে গোল দুটি করেন নেইমার। দ্বিতীয় লেগে জাতান ইব্রাহিমোভিচ ও মার্কো ভেরাত্তি ফিরলেও মাঠের খেলায় অনুজ্জ্বল ছিলেন এই দুজন।

মঙ্গলবার খেলার ১৪ মিনিটের সময় বার্সেলোর স্প্যানিশ মিডফিল্ডার মাঝমাঠ থেকে পরপর তিনজনকে কাটিয়ে বল নিয়ে ডি-বক্সেরে কাছাকাছি চলে যান। ফাঁকায় দাঁড়ানো নেইমারকে পাস দেন ইনিয়েস্তা। গোল রক্ষা করতে সালভাতর সিরিগু পোস্ট ছেড়ে এগিয়ে আসলে ফাঁকা পোস্টে গোল করতে কোনো অসুবিধা হয়নি নেইমারের।

এরপর দানি আলভেজের একটি জোরালো শট ও নেইমরারের অসাধারণ একটি হেড দুর্দান্ত দক্ষতায় পিএসজি গোলরক্ষক রুখে দিলে ব্যবধান বাড়াতে ব্যর্থ হয়নি চারবারের চ্যাম্পিয়নরা।

তবে ৩৪ মিনিটের মাথায় নেইমারকে জোড়া গোল করা থেকে আর রুখতে পারেননি পিএসজি গোলরক্ষক সিরিগু। রাইট উইং থেকে দানি আলভেজের দারূণ এক ক্রস থেকে দুর্দান্ত হেডে গোল করে দলকে ২-০ ব্যবধানে এগিয়ে নেন নেইমার।

প্রথমার্ধের শেষের দিকে আন্দ্রেস ইনিয়েস্তাকে তুলে নিয়ে জাভিকে মাঠে নামান লুইস এনরিক। আর এতে করেই দ্বিতীয়ার্ধে আক্রমণের ধার কমে যায় বার্সার। তবে প্রথম লেগে নিজেদের মাঠে বার্সার কাছে বিধ্বস্ত হওয়া পিএসজি কখনও কাতালানদের সামন হুমকি হয়ে দাঁড়া পারেনি।

দ্বিতীয়ার্ধে কিছুটা আক্রমণাত্মক খেলা উপহার দেয় পিএসজি। খেলার ৫৯ মিনিটে ইব্রাহিমোভিচের পাস থেকে গোল করার দারূণ সুযোগ পেয়েছিলেন মার্কো ভেরাত্তি। তবে তার নেয়া শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়।

৭৩ মিনিটে গোলরক্ষকের দৃঢ়তায় বার্সেলোনা গোল হজম থেকে বেঁচে যায়। ডি বক্সের কাছ থেকে ইব্র্রাহিমোভিচের নেয়া জোরালো শট দুর্দান্ত দক্ষতায় রুখে দেন কাতালান গোলরক্ষক মার্ক স্টেগান। এক মিনিট পর মাঝ মাঠ থেকে দারূণ নৈপুণ্যে মেসি বল পেয়ে ডি বক্সের কাছাকছি চলে আসলে তাকে পিএসজি ডিফেন্ডার ডেভিড সিলভা রুখে দেন।

এরপর শেষ ১০ মিনিটে পরপর দুটি আক্রমণ চালালেও গোলের দেখা পায়নি লরেন্ট ব্লাঁ’র দল। প্রথমে এডিনসন কাভানির শট পোস্টের ওপর দিয়ে চলে যায়। দুই মিনিট পর এজিকুয়েল লাভেজ্জির দুর্বল শট রুখে দেন মার্ক স্টেগান।

এই নিয়ে গত সাত মৌসুমে ষষ্ঠবারের মতো চ্যাম্পিয়ন্স লিগের সেমিফাইনালে উত্তীর্ণ হলো বার্সেলোনা। অন্যদিকে টানা তৃতীয় মৌসুমে কোয়ার্টার ফাইনাল থেকে ছিটকে পড়ল পিএসজি।

গত মৌসুমে চেলসির কাছে হেরে সেমিতে উঠতে ব্যর্থ হয় ফরাসি চ্যাম্পিয়নরা। আর ২০১২-১৩ মৌসুমে দুই লেগেই বার্সেলোনার সঙ্গে ড্র করা সত্ত্বেও অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে থাকায় সেমিতে উঠা হয়নি পিএসজির।



মন্তব্য চালু নেই