নীলফামারিতে ৫.৫ ডিগ্রি সেলসিয়াসে নেমেছে তাপমাত্রা
দেশের উত্তরাঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে শৈত্য প্রবাহ। এর সামান্য প্রভাবে আজ শুক্রবার (১৩ জানুয়ারি) কেঁপেছে রাজধানী ঢাকাও। ঢাকায় যখন সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস, নীলফামারীর রাজারহাটে তখন ৫ দশমিক ৫। ঘন কুয়াশা আর তীব্র শীতে আগুন জ্বালিয়েও নিস্তার পাচ্ছেন না উত্তরাঞ্চলের মানুষগুলো। সারাদিনে মিলছে না সূর্যের দেখা। বৃষ্টির মতো ঝরছে শিশির।
আগামীকাল শনিবার থেকে শুরু হবে মাঘ মাস। কথায় বলে, ‘পৌষের শীত মহিষের গায়ে, মাঘের শীত বাঘের গায়ে’। কোনটাই কম যায় না। তবে এবার পৌষ মাসটা শুরুর দিকে সেভাবে কাঁপন ধরাতে না পারলে শেষ দিকে এসে যেন মরণকামড় দিয়েছে। বিশেষ করে উত্তরের জনপদ শীতে যবুথবু। শীত সবচেয়ে বেশি জেকে বসেছে দেশের উত্তরাঞ্চলের জেলা কুড়িগ্রাম ও নীলফামারীতে। নীলফামারীর রাজারহাটে আজ শুক্রবার সকালে তাপমাত্রা ছিল ৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আবহাওয়া অধিদপ্তরের তথ্য অনুযায়ী, এবারের শীত মৌসুমে এটি সর্বনিম্ন তাপমাত্রার রেকর্ড।
রংপুর বিভাগের বেশির ভাগ এলাকায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নিচে চলে এসেছে। রাজশাহীর অবস্থাও একই। আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম জেলায় তীব্র শৈত্যপ্রবাহ বয়ে যাওয়ায় ঠান্ডা পড়ছে। এই পরিস্থিতি আরও দুই-এক দিন থাকতে পারে।
এদিকে প্রতিদিনই তামপাত্রা কমছে রাজধানীতে। দিনে তাপমাত্রা বাড়লেও রাত নামলেই জেকে বসছে কনকনে হাওয়া। গতকাল বৃহস্পতিবার রাজধানীর সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ছিল ১৫ দশমিক ৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আজ শুক্রবার সকালে সেটা দাঁড়ায় ১২ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।
বিভাগীয় শহর খুলনায় ১১ দশমিক ২, চট্টগ্রামে ১৪, ময়মনসিংহে ১১ দশমিক ৬, রাজশাহীতে ৯ দশমিক ২, রংপুরে ৬ দশমিক ৮, সিলেটে ১৩ ও বরিশালে ১০ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে।
আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, নীলফামারী ও কুড়িগ্রাম অঞ্চলের ওপর দিয়ে তীব্র শৈত্যপ্রবাহ, রাজশাহী ও রংপুর বিভাগের অবশিষ্টাংশ এবং মাদারীপুর, টাঙ্গাইল, সীতাকুণ্ড, রাঙামাটি, শ্রীমঙ্গল ও কুষ্টিয়া অঞ্চলের ওপর দিয়ে বয়ে চলা শৈত্যপ্রবাহ আরও বিস্তার লাভ করতে পারে। সারা দেশে রাতের তাপমাত্রা সামান্য কমতে পারে। দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে।
মন্তব্য চালু নেই