নিয়ম ভেঙে বিদেশ সফরে আইনমন্ত্রী ও সচিব

মন্ত্রী ও সচিবের একসঙ্গে বিদেশ সফরে না যেতে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের নির্দেশনা রয়েছে। এরপরও তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ সফরে ইন্দোনেশিয়া সফরে গেলেন আইনমন্ত্রী আনিসুল হক এবং আইন সচিব আবু আলম শেখ মো. জহিরুল হক।

আইন মন্ত্রণালয় সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।

মন্ত্রী ও সচিবের সঙ্গে রয়েছেন আইন মন্ত্রণালয়ের তিন কর্মকর্তা। তারা হলেন, নিবন্ধন মহাপরিদর্শক খান মোহাম্মদ আবদুল মান্নান, উপসচিব মিজানুর রহমান ও আইনমন্ত্রীর ব্যক্তিগত সচিব এম মাসুম। এ ছাড়া হবিগঞ্জ-২ আসনের সংসদ সদস্য আবদুল মজিদ খানও এ সফরে গেছেন বলে জানা গেছে।

যুক্তরাষ্ট্র সরকারের বিচার বিভাগের আমন্ত্রণে তারা ওই সফরে গেছেন বলে আইন মন্ত্রণালয়েল একটি দায়িত্বশীল সূ্ত্রে জানা গেছে। আইনমন্ত্রী ২০ মার্চ এবং সচিবসহ অন্যরা ২১ মার্চ ইন্দোনেশিয়ার উদ্দেশে বাংলাদেশ ত্যাগ করেছেন। তাদের দেশে ফেরার কথা বয়েছে ২৬ মার্চ সন্ধ্যায়।

২০১১ সালে প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে মন্ত্রী-সচিবরা যাতে একসঙ্গে বিদেশ সফরে না যান সে জন্য একটি নির্দেশনা জারি করা হয়। নির্দেশনায় বলা হয়, ‘মন্ত্রণালয়ের দায়িত্বপ্রাপ্ত মন্ত্রী ও সচিব বা ভারপ্রাপ্ত সচিবদের একত্রে বিদেশ ভ্রমণ সাধারণভাবে পরিহার করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে, বিশেষ করে বিশ্বব্যাংক, আইএমএফ ইত্যাদি বার্ষিক সভা, দাতাগোষ্ঠীর সভা হলে অত্যন্ত সীমিত ক্ষেত্রে এর ব্যত্যয় হতে পারে।’

খোদ আইন মন্ত্রণালয় যদি প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে জারি করা নির্দেশনা অনুসরণ না করে তাহলে অন্য মন্ত্রণালয়গুলোতে এ নির্দেশনা না মানার প্রবণতা বাড়তে পারে। মঙ্গলবার আইন মন্ত্রণালয়ের একাধিক কর্মকর্তা এমনটাই আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক কর্মকর্তা জানান, মন্ত্রী ও সচিব হচ্ছেন মন্ত্রণালয়ের অভিভাবক। তারা যদি কোনো সিদ্ধান্ত নেন তাহলে আমাদের তো কিছু বলার থাকে না।

এ বিষয়ে মন্তব্য জানার জন্য ইন্দোনেশিয়া সফরে যাওয়া মন্ত্রী-সচিবসহ অন্যদের ব্যক্তিগত মোবাইল নাম্বার বন্ধ পাওয়া গেছে। তবে, আইনমন্ত্রীর সহকারী ব্যক্তিগত কর্মকর্তা জীবন আহেমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলে তিনি  বলেন, ‘মন্ত্রী মহোদয় ইন্দোনেশিয়া গেছেন। তার সঙ্গে আরও কয়েকজন রয়েছেন। সচিব মহোদয় গেছেন, অন্য কারা গেছেন তা জানা নাই।’



মন্তব্য চালু নেই