নিহত ‘জঙ্গি’ আদরের শরীরে একাধিক গুলির চিহ্ন
রাজধানীর পূর্ব আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযানে নিহত কিশোর রাশেদ ওরফে আদরের (১৪) ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে।
সোমবার দুপুরে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. সোহেল মাহমুদ এই ময়নাতদন্ত সম্পন্ন করেন।
নিহত আদর জঙ্গি তানভীর কাদেরী ওরফে শিপারের ছেলে।
ডা. সোহেল মাহমুদ সাংবাদিকদের জানান, নিহত কিশোরকে আমরা অজ্ঞাত (১৪) হিসেবে পেয়েছি। তার ময়নাতদন্ত সম্পন্ন হয়েছে। নিহত কিশোরের শরীরের একাধিক জায়গায় গুলির চিহ্ন রয়েছে। তার শরীর থেকে একটি তাজা গুলি পাওয়া গেছে। এ গুলির কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। যেহেতু তাকে আমরা অজ্ঞাত হিসেবে পেয়েছি, সেজন্য তার ডিএনএ পরীক্ষার জন্য চুল, দাঁত, থাই মাসল সংগ্রহ করা হয়েছে।
তিনি আরও বলেন, ওই কিশোর কোনো উত্তেজক ওষুধ বা শক্তিবর্ধক দ্রব্য সেবন করেছে কিনা, তা পরীক্ষার জন্য তার ইউরিন ও ব্লাড সংগ্রহ করা হয়েছে। এছাড়া কেমিক্যাল অ্যানালাইসিসের জন্য ভিসেরা, ব্লাড ও ইউরিন নেয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, শনিবার রাজধানীর পূর্ব আশকোনার জঙ্গি আস্তানায় পুলিশি অভিযানের সময় আত্মঘাতী গ্রেনেড বিস্ফোরণ ও গুলিতে দু’জন নিহত হয়।
অভিযানের দিনই জঙ্গি সুমন ওরফে ইকবালের স্ত্রী শাকিলার (৩০) লাশ উদ্ধার করা হয়। তিনি শরীরে বেঁধে রাখা গ্রেনেডের বিস্ফোরণ ঘটালে মারা যান।
আর আজিমপুরে অভিযানের সময় নিহত জঙ্গি তানভীর কাদেরী ওরফে শিপারের ছেলে রাশেদ ওরফে আদর (১৪) গোলাগুলিতে নিহত হয়।
শুক্রবার রাত ১২টা থেকে শনিবার বিকাল ৫টা পর্যন্ত ১৭ ঘণ্টার এ অভিযানে আত্মসমর্পণ করে দুই শিশু সন্তানসহ দুই নারী। তারা হচ্ছে- সেনাবাহিনী থেকে বরখাস্ত হওয়া মেজর জাহিদ ওরফে মুরাদের স্ত্রী জেবুন্নাহার শিলা ও তার সন্তান (নাম অজ্ঞাত)। আরেকজন হচ্ছে জঙ্গি মুসার স্ত্রী তৃষ্ণা ও তার সন্তান (নাম অজ্ঞাত)।
এছাড়া গ্রেনেড বিস্ফোরণে গুরুতর আহতাবস্থায় আস্তানার ভেতর থেকে উদ্ধার করা হয়েছে সাবিনা নামের ৪ বছরের এক শিশুকে।
ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) কাউন্টার টেরোরিজম ইউনিট (সিটি) এ অভিযান পরিচালনা করে।
দক্ষিণখান থানার আশকোনায় হাজী ক্যাম্পের অদূরে কুয়েত প্রবাসী জামাল হোসেনের বাড়িতে এ অভিযান চালানো হয়। অভিযানটির নাম দেয়া হয়েছে ‘অপারেশন রিপল টোয়েন্টিফোর’।
মন্তব্য চালু নেই