নিহত ছাত্রদল নেতার বাসায় মাহবুবুর রহমান

‘কথিত বন্ধুকযুদ্ধে’ নিহত খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক নুরুজ্জামান জনির বাসায় গেলেন বিএনপির সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারণী ফোরাম স্থায়ী কমিটির সদস্য লে. জে. (অব.) মাহবুবুর রহমান।
বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে তিনি নিহত নেতার স্বজনদের সান্ত্বনা দিতে ও সমবেদনা জানাতে তার খিলগাঁওয়ের বাসায় যান। মাহবুবুর রহমান জনির পরিবারের সঙ্গে বেশ কিছু সময় কাটান এবং তাদের কথা শোনেন। ছেলে হারানো জনির পরিবারের সদস্যরা এ সময় কান্নায় ভেঙে পড়েন।
খিলগাঁও জোড়াপুকুর এলাকায় সোমবার দিবাগত রাতে গোয়েন্দা পুলিশের সঙ্গে ‘বন্দুকযুদ্ধে’ নিহত হন নুরুজ্জামান জনি (৩০)। তিনি খিলগাঁও থানা ছাত্রদলের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন। তিনি ২০১ তিলপাপাড়া, খিলগাঁও এলাকায় থাকতেন। তার বাবার নাম ইয়াকুব আলী।
মঙ্গলবার সকাল সাড়ে ১০টায় ইয়াকুব আলী ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের মর্গে এসে ছেলের লাশ শনাক্ত করেন।
ইয়াকুব আলী বলেন, ‘সোমবার সকালের দিকে তার ছোট ছেলে মনিরুজ্জামান হীরাকে খিলগাঁও থানা পুলিশ ধরে নিয়ে যায়। আদালতের মাধ্যমে হীরাকে কারাগারে পাঠানো হয়। সোমবার বিকেলের দিকে জনি ছাত্রদল কর্মী মঈনকে নিয়ে ছোট ভাই হীরার সঙ্গে দেখা করতে কারাগারের গেটে যায়। দেখা শেষে সেখান থেকেই জনিকে গোয়েন্দা পুলিশ আটক করে নিয়ে যায়। আজ সকালে পুলিশের মাধ্যমে জানতে পারি জনিকে গুলি করে মারা হয়েছে। এরপর মেডিক্যালের মর্গে ছুটি আসি। জনির লাশ পাওয়া গেলেও মঈনকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছে না।’
এদিকে, মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে বিএনপির যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, সোমবার রাতে ঢাকা মহানগর খিলগাঁও থানা বিএনপি নেতা দিপু সরকারকে এবং বিকেলে যুবদল ওয়ার্ড সেক্রেটারী নুরুজ্জামান জনি ও মাইনুদ্দিনকে জেলগেট থেকে সাদা পোশাকধারীরা ধরে নিয়ে যায়। মঙ্গলবার ঢাকা মেডিক্যালে জনির গুলিবিদ্ধ লাশ আবিষ্কৃত হলেও এখনো দিপু সরকার ও মাইনুদ্দিনের হদিস পাওয়া যাচ্ছে না। এ ধরনের ‘ন্যক্কারজনক ও অমানবিক দুষ্কর্ম’ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানান রিজভী।



মন্তব্য চালু নেই