নিশুত রাতে ফাঁকা হাইওয়েতে সাবাধান, লিফট চাইতে পারে ‘হাইওয়ে শিলা’!

ফাঁকা সড়ক। রাতের আদরে হেডলাইটের আলোয় পিছলে যাচ্ছে মসৃণ অ্যাসফল্ট। গাড়ির ভিতরে আপনি আপনার সঙ্গেই। লো ভল্যুমে কার স্টিরিও-য় বাজছে আপনার প্রিয় গান। গন্তব্য এখনও দূরে। শন শন হাওয়া আর নৈঃশব্দের মাঝখানে আপনি কারোর সঙ্গ প্রর্থনা করবেন কি না, তা আপনার একান্ত ব্যাপার। এমন সময়ে যদি কোনও সুন্দরী যুবতী তাঁর হাত নেড়ে আপনার গাড়িটিকে থামান এবং লিফট চান, তখন আপনি কী করবেন? সেই নিঃসঙ্গ হাইওয়েতে একলা মেয়েটিকে আপনি ফেলে রেখে যেতে পারবেন কি? মনে তো হয় না! আপনি লিফট দেবেন।

যুবতীটিও আপনার পিছনের সিটে নীরবে বসে থাকবেন। হয়তো দু-একটা কথাও বলবেন। তার পরে এক সময়ে থেমে যাবে কথা। ব্যাকসিটের নীরবতা আপনার গলায় ফাঁস হয়ে বসছে বলে মনে হবে। আপনি পিছনে তাকাবেন। দেখবেন— শূন্য সিটে খেলে বেরাচ্ছে রাতের হাওয়া আর সেই যুবতীর অনুপস্থিতির হিলিবিলি। আপনি জ্ঞান হারাতে পারেন, গাড়ির নিয়ন্ত্রণ হারাতে পারেন অথবা তার চাইতেও ঘোরতর কিছুও ঘটতে পারে।
দক্ষিণ আফ্রিকার চ্যাটসওয়ার্থের হিগিনসন হাইওয়েতে দীর্ঘকাল ধরেই ঘুরে বেড়াচ্ছে ‘হাইওয়ে শিলা’-র মিথ।

স্থানীয় লোকজনের অনেকেই নাকি দেখেছেন তাকে। নিশুতি রাতে নির্জন হাইওয়েতে দাঁড়িয়ে স্বাভাবিকভাবেই সে লিফট চায়। তার পরে যা ঘটে তা আগের অনুচ্ছেদেই বলা হয়েছে। ‘হাইওয়ে শিলা’ নামে এই প্রেতিনীর উপদ্রবে বিস্তর দুর্ঘটনাও নাকি ঘটেছে সংশ্লিষ্ট এলাকায়। জনশ্রুতি অনুযায়ী, অনেক কাল আগে শিলা নামে ওই যুবতী নিহত হয় কোনও গাড়ি-দুর্ঘটনায়। তার পর থেকে মাঝরাতে দেখা দিতে থাকে তার আত্মা। তার উদ্দেশ্য নাকি তার হত্যাকারী গড়িটিকে খুঁজে বের করে খুনে চালককে শাস্তি দেওয়া। কিন্তু ঠগ বাছতে গাঁ উজার কেরও ‘হাইওয়ে শিলা’-র আত্মা আজও সন্ধান পায়নি সেই ব্যক্তির।

আবার অনেকে এ খাতও বলেন, শিলা মোটেও প্রতিশোধপ্রবণ নয়। সে আগ বাড়িয়ে কারোর ক্ষতি করে না। অনেক গাড়ি-চালকই তাকে লিফট দিয়েছেন এবং সে-ও তাদের কোনও রকম ভয় না-দেখিয়ে নিঃশব্দে অন্তর্হিত হয়েছে। সাউথ আফ্রিকার এই অঞ্চলে বাসরত হিন্দু ধর্মাবলম্বীরা নাকি শিলার আত্মার মুক্তির জন্য স্বস্ত্যয়নও করেছন। তাতে কতটা ফল ফলেছে, তার সাক্ষ্য অবশ্য কেউ দেননি।



মন্তব্য চালু নেই