‘নির্ভয়ে ভোট দিতে পারলে নীরব বিপ্লব ঘটবে’

নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন (নাসিক) নির্বাচনে জনগণ যদি ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে সরকারের দুঃশাসনের বিরুদ্ধে নীরব বিপ্লব ঘটবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব এ্যাডভোকেট রুহুল কবির রিজভী। রাজধানীর নয়াপল্টনে অবস্থিত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে রোববার দুপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এ মন্তব্য করেন।

তিনি বলেন, ভোটারবিহীন অবৈধ সরকারের ভয়াবহ দুঃশাসন, লুটপাট, গুম, খুন, অপহরণ, মামলা-হামলা, নিপীড়ন-নির্যাতন ও বিভিন্ন অপকর্মের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ হিসেবে জনগণ ধানের শীষের পক্ষে রায় দিবে। ভয়ঙ্কর সরকারি অনাচার আর গণতন্ত্র শূন্যতায় বন্দী দেশবাসীকে মুক্ত করার অংশ হিসেবে নারায়ণগঞ্জবাসী ২২ ডিসেম্বরের নির্বাচনে ধানের শীষ প্রতীকে ভোট দিবে। তারা বিএনপি প্রার্থী সাখাওয়াত হোসেন খানকে বিপুল ভোটে বিজয়ী করবেন। যদি মানুষ ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দেওয়ার সুযোগ পায় তাহলে দুঃশাসনের বিরুদ্ধে এক নীরব বিপ্লব ঘটে যাবে।

বিএনপির সিনিয়র এ নেতা বলেন, ‘ভোটারবিহীন সরকারের অধীনে বিগত সকল নির্বাচনে ভোট ডাকাতি, ব্যালট পেপার ছিনতাই, ভোটের পূর্বের রাতে ব্যালট বাক্স ভর্তি, ভোটারদেরকে ভোট প্রদানে বাধা, বিরোধী দলীয় প্রার্থী ও নেতাকর্মীদের ওপর হামলা, ভোটকেন্দ্রগুলোতে রক্তাক্ত খুনের উৎসব চলেছে। এমন পরিস্থিতিতে নাসিক নির্বাচনে সেটিরই প্রতিফলন ঘটবে কী না তা নিয়েও জনমনে প্রশ্ন দানা বাঁধছে। আমি বিএনপির পক্ষ থেকে আবারো নাসিক নির্বাচনে সুষ্ঠু পরিবেশ তৈরির জোর দাবি জানাচ্ছি। পাশাপাশি ভোটারদের নিরাপত্তা ও ভয়ভীতিমুক্ত পরিবেশে ভোট প্রদানের নিশ্চয়তার জন্য আবারো সেনাবাহিনী মোতায়েনের জোর দাবি জানাচ্ছি।

মানুষ নির্ভয়ে ভোটকেন্দ্রে গিয়ে ভোট দিতে পারবে এমন পরিবেশ তৈরি করতে নির্বাচন কমিশন ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে তিনি বলেন, ‘নারায়ণগঞ্জবাসীর একটাই প্রশ্ন- তারা ভোটকেন্দ্রে গিয়ে নিরাপদে ভোট দিতে পারবে কিনা। একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ ও ভয়ভীতিমুক্ত নির্বাচনী পরিবেশ নিশ্চিতের পরিবর্তে প্রশাসনে দলবাজ কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেওয়া হয়েছে। ভোট নেওয়ার জন্য নিয়োগ করা হচ্ছে সরকারদলীয় ক্যাডারদের। ইতোমধ্যে আমাদের কাছে অভিযোগ এসেছে- ছাত্রলীগ-যুবলীগের ক্যাডারদের প্রিজাইডিং অফিসার, পোলিং অফিসার হিসেবে নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। আর নিরাপত্তার দায়িত্বে নিয়োজিত আইন প্রয়োগকারী সংস্থার মধ্যে একসময়ে ছাত্রলীগ করা কর্মকর্তাদের নিয়োগ দেয়া হচ্ছে। এমন পরিস্থিতিতে নাসিক নির্বাচন অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ হবে কিনা এই প্রশ্নটি এখন মানুষের মুখে মুখে।’

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন দলটির যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবীর খোকন, সহদফতর সম্পাদক তাইফুল ইসলাম টিপু, মনির হোসেন, বেলাল আহাম্মেদ প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই