‘নির্বাচন পরিচালনা করবে খালেদা জিয়ার রূপরেখার সরকার’
আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন যে রূপরেখা দেবেন সেই রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার দেশে নির্বাচন পরিচালনা করবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন। রাজধানীর রমনায় অবস্থিত ইঞ্জিনিয়ার্স ইন্সটিটিউশনের আইইবি মিলনায়তনে এক আলোচনা সভায় তিনি এ কথা বলেন।
৭ মার্চ বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমানের ১১তম কারাবন্দি দিবস উপলক্ষে আলোচনা সভাটির আয়োজন করে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী যুবদল।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন বলেন, আ’লীগের নেতারা বলেন যে বিএনপি নির্বাচনে যাবে। তারা এ কথা বলে দেশের জনগণকে ও দলের নেতাকর্মীদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করছে। আমরা স্পষ্টভাবে বলতে চাই, আগামী নির্বাচন শেখ হাসিনার অধীনে হবে না। আগামী নির্বাচনকালীন সরকার সম্পর্কে দেশ নেত্রী বেগম খালেদা জিয়া খুব শিগগিরই রূপরেখা দেবেন। সেই রূপরেখা অনুযায়ী নির্বাচনকালীন সরকার এ দেশে নির্বাচন পরিচালনা করবে।
তিনি সরকারকে উদ্দেশ্য করে বলেন, বেগম খালেদা জিয়া নির্বাচনকালীন সরকারের যে রূপরেখা দেবেন তা উপেক্ষা করে গায়ের জোরে ২০১৪ সালের ৫ জানুয়ারির পুনরাবৃত্তি করতে চান, তাহলে এ দেশের মানুষ আগের মত প্রতারিত হয়ে ঘরে বসে থাকবে না। দেশের মানুষ দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার নেতৃত্বে সরকার পতন ঘটিয়ে নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকার কায়েম করে তার নেতৃত্বে নির্বাচনে যাবে। সেই নির্বাচনে জাতীয়তাবাদী শক্তিকে দুই তৃতীয়াংশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা দিয়ে জনগণ ক্ষমতায় বসাবে।
একই আলোচনা সভায় উপস্থিত বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেন, আ’লীগ ক্ষমতা থাকলে সব পারে, আর ক্ষমতা না থাকলে দেয়াল টপকে পালিয়ে যায়।
তিনি আরও বলেন, আ’লীগের দার্শনিক নেতা হল আইয়ুব খান। তিনি যেমন বলেছিলেন আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র, তেমনি এই আ’লীগ সরকারও বলে আগে উন্নয়ন পরে গণতন্ত্র।
যুবদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সভাপতি সাইফুল আলম নিরবের সভাপতিত্ব আলোচনা সভায় আরও উপস্থিত ছিলেন, বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আল নোমান, যুগ্ম মহাসচিব খায়রুল কবির খোকন, যুবদলের সাধারণ সম্পাদক সুলতান সালাউদ্দিন টুকু প্রমুখ।
মন্তব্য চালু নেই