নির্বাচন নিয়ে যা বললেন আইভী-শামীম

দলীয় সিদ্ধান্তের বাইরে নির্বাচন করবেন না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছেন নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সেলিনা হায়াত আইভী। দল যে সিদ্ধান্ত নেবে ,সেই সিদ্ধান্তের সঙ্গে থাকবেন বলেও জানিয়েছেন তিনি।

বুধবার গণমাধ্যমকে এমনটাই জানিয়েছেন দেশের প্রথম নারী মেয়র আইভী।

এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে এক সভায় স্থানীয় আওয়ামী লীগ এমপি শামীম ওসমান দাবি করেছেন, বর্তমান মেয়র আইভীর নাম তৃণমূলের কাছে প্রস্তাব করতে চেয়েছিলেন তিনি।

তৃণমূল থেকে কেন্দ্রে নাম না পাঠানোর কারণ হিসেবে আইভী বলেছেন, ‘একজন প্রভাবশালী নেতার নির্দেশে দলের একটি অংশ তড়িঘড়ি করে সভা ডেকে এই কাজটি করেছে।’

তার বিশ্বাস, দল তাকে অবশ্যই মনোনয়ন দিবে। কারণ তিনি এমন কিছু করেননি যে দল তাকে সরিয়ে দিবে।

তবে আইভীর এমন কথাকে মিথ্যাচার বলে দাবি করেছেন মহানগর ও জেলা আওয়ামী লীগের শীর্ষ পর্যায়ের নেতারা।

তাদের দাবি, নারায়ণগঞ্জ আওয়ামী লীগে এখন আর ‘এক অংশ’ বলতে কিছু নেই। কেন্দ্রের নির্দেশনা অনুযায়ী মহানগর আওয়ামী লীগসহ সিটি কর্পোরেশন এলাকার তিনটি সাংগঠনিক থানা কমিটির শীর্ষ পদধারী নেতাদের সর্বসম্মতিতে আনোয়ার হোসেন এর নাম প্রেরণ করা হয়েছে। সেখানে আইভীর নাম প্রস্তাবই করেননি কেউ।

এদিকে জেলা আইনজীবী সমিতি ভবনে এক সভায় শামীম ওসমান বলেছেন, ‘আমি আল্লাহকে সাক্ষী রেখে বলতে চাই- আমি দলীয় মেয়র প্রার্থীর তিনজনের তালিকায় আইভীর নাম প্রস্তাব করতে চেয়েছিলাম। কিন্তু পারিনি।’

কারণ হিসেবে তিনি বলেন, ‘দলের সভানেত্রীকে নিয়ে বিভিন্ন সময়ে সমালোচনা ও কটূক্তি করায় ভুল স্বীকার করে আইভীকে দলের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছিলাম। কিন্তু তার অহংকার, দাম্ভিকতায় সে ক্ষমা চায়নি। এ কারণেই দলীয় মেয়র প্রার্থী হিসেবে তৃণমূল তার নাম প্রস্তাব করেনি।’

এদিকে গত নাসিক নির্বাচনে বিএনপির প্রার্থী ও নারায়ণগঞ্জ জেলা বিএনপির সভাপতি অ্যাডভোকেট তৈমুর খন্দকার এবারের নির্বাচনে অংশ নেয়ার কোনো আগ্রহই নেই বলে জানিয়েছেন।

তিনি বলেছেন, গত সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে বিএনপি মধ্যরাতে কী কারণে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়িয়েছিল তা এখনও বোধগম্য নয়। জনগণ ও নেতাকর্মীদের এখনও জবাব দিতে পারছেন না।

এছাড়া বর্তমান সরকারকে অনির্বাচিত সরকার আখ্যা দিয়ে তৈমুর আলম বলেন, বর্তমান নির্বাচন কমিশনের অধীনে এখন আর কেন্দ্র দখল হয় না, ভোটের আগের রাতেই সিল মারা হয়।

তবে দলের চেয়ারপারসন যদি নির্বাচনে অংশ নেয়ার সিদ্ধান্ত নেন এবং যাকে মনোনয়ন দেবেন তার পক্ষেই কাজ করবেন বলে জানান তিনি।

এবার নারায়ণগঞ্জ সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন দলীয় প্রতীক নিয়ে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। এই সিটিতে মোট ভোটার ৪ লাখ ৭৯ হাজার ৩৯২ জন। এদের মধ্যে প্রায় ৭৫ হাজার নতুন ভোটার এবারের নির্বাচনে ভোট প্রদান করবেন।



মন্তব্য চালু নেই