নির্বাচন কমিশন অপদার্থ : এমাজউদ্দীন

নির্বাচন কমিশনকে অপদার্থ বলে আখ্যায়িত করেছেন ঢাকা আদর্শ আন্দোলনের আহ্বায়ক প্রফেসর ড. এমাজউদ্দীন আহমদ। বলেছেন, আমি গালি দিই না। তবে এটা না বললেই নয়, এরা অপদার্থ অযোগ্য। কেন যোগ্যতা প্রমাণ করলেন না। সুষ্ঠু নির্বাচন করলেন না। এর জবাব দেয়া সম্ভব হবে না। কিন্তু বিবেকের কাছে এর জবাব দিতে হবে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে অলকমিউনিটি ফোরাম আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি একথা বলেন।

এমাজউদ্দীন আহমদ বলেন, তিন সিটি করপোরেশন নির্বাচনে কোন ধরনের নিয়ম-কানুন ছিল না। এখানে রিগিং বলতে যা হওয়ার তাই হয়েছে। এসবের রেকর্ড আমাদের কাছে আছে। প্রস্তুত রেখেছি। প্রয়োজনে এসব তথ্য জাতীয় ও আন্তর্জাতিক পর্যায়ে পৌঁছে দেব। তিনি বলেন, আগামী জাতীয় নির্বাচনে এসব অনিয়ম-কারচুপির বিষয়গুলোকে সামনে রেখে নির্বাচনের প্রস্তুতি নেব, যদি সুযোগ থাকে। স্থানীয় সরকার নির্বাচনে সরকারের পতন হয় না। সুতরাং সরকারের উচিত ছিল এই নির্বাচনকে স্বচ্ছ করা। কিন্তু তাদের অভ্যাস হয়ে গেছে কারচুপি অনিয়ম করার। পাল্টাবে কি করে। ওই নির্বাচনের দিকে তাকালে আমার কষ্ট হয়।

এই রাষ্ট্রবিজ্ঞানী বলেন, এই নির্বাচনে সরকার ও বিরোধী দলের ইনভলব হওয়ার কথা না। আইনগতভাবে স্থানীয় নির্বাচন হয়েছে। সিটি নির্বাচনে গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা বাস্তবায়ন করলে সরকারের কি ক্ষতি হতো। কিন্তু সরকারি কর্মকর্তাদের মাধ্যমে অনিয়ম করা হয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এই ভিসি বলেন, এই নির্বাচন কমিশন সেনাবাহিনী নিয়েও প্রশ্ন করার সুযোগ করে দিয়েছেন। আগামীতে শান্তি রক্ষায় যারা কাজ করেন তাদের প্রশ্নের সম্মুখীন হওয়া লাগতে পারে। যে নিজের দেশের শান্তি রক্ষা করতে পারেন না তারা অন্য দেশেরটা কিভাবে রক্ষা করবেন।

এমাজউদ্দীন আহমেদ বলেন, জীবনের শেষপ্রান্তে ভাল কিছু দেখে যেতে চাই। ভাল কিছুর সূচনা করে যেতে চাই। আর বেশিদিন বাঁচার সময় নেই। এমন একটি রাষ্ট্র চাই যেখানে জনগণের কল্যাণ নিশ্চিত হবে। নিরাপত্তা থাকবে। সংগঠনের উপদেষ্টা ইঞ্জিনিয়ার আশরাফ উদ্দিন বকুলের সভাপতিত্বে সভায় বিএনপি চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা এড. আহমেদ আজম খান, সহ-তথ্য ও গবেষণা সম্পাদক হাবিবুর রহমান হাবিব প্রমুখ বক্তব্য রাখেন।



মন্তব্য চালু নেই