নির্বাচন কমিশনার গঠনে আলোচনায় যে তিন নারী

এবার নতুন ইসি নিয়োগের প্রজ্ঞাপনে সার্চ কমিটির কার্যপরিধি ও কর্মপদ্ধতিতে ন্যূনতম একজন নারীসহ প্রধান নির্বাচন কমিশনার ও অন্যান্য নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের সুপারিশ করা হয়েছে। রাষ্ট্রপতির সঙ্গে সংলাপে রাজনৈতিক দলগুলোও একজন নারী কমিশনার নিয়োগের দাবি জানিয়েছে।

দেশের নির্বাচন কমিশনে এ পর্যন্ত ১১জন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) ও ২৩ জন কমিশনার নিয়োগ পেয়েছেন। এর মধ্যে কোনো নারী কমিশনার ছিলেন না। কিন্তু এবারই নির্বাচন কমিশনে নারী কমিশনার নিয়োগের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়ছে।

ইসি গঠনে প্রথমবারের মতো নারী নির্বাচন কমিশনার হিসেবে আলোচনায় তিন নারীর নাম উঠে এসেছে। তারা হলেন- নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থা ব্রতীর প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শারমীন মুরশিদ। তার বাবা ছিলেন আভিজাত্য ও গণতান্ত্রিক মূল্যবোধের প্রতীক অধ্যাপক খান সারওয়ার মুরশিদ এবং মা নুরজাহান মুরশিদ ছিলেন স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বাস্থ্য ও সমাজকল্যাণ প্রতিমন্ত্রী।

এ ছাড়া আলোচনায় আছেন সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম ও নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ের সাবেক অতিরিক্তি সচিব জেসমিন টুলি। জেসমিন টুলি গত ২৫ অক্টোবর অবসরে গেছেন। তিনি শুধু দেশেই নয়, দেশের বাইরে আফগানিস্তানে জাতিসংঘের তত্ত্বাবধানে নির্বাচনী দায়িত্ব পালন করেছেন। একজন নারীর নির্বাচনী দক্ষতা বিষয়ে তাকে নিয়ে ইউএনডিপি একটি তথ্যচিত্রও তৈরি করেছে।

সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা বলেছেন, নারীরা এখন প্রশাসন ও বিচার বিভাগে অনেক অবদান রাখছেন। আগামী পাঁচ সদস্যের ইসি গঠনে কমপক্ষে একজন নারী নিয়োগ দিতেই হবে। এ ছাড়া ২০০৮ সালে রাজনৈতিক দলের নিবন্ধন চালুর পর দলগুলোর গঠনতন্ত্রে সংশোধনী এনে নারী সদস্যদের এক-তৃতীয়াংশ পদে রাখার শর্ত ২০২০ সালের মধ্যে পূরণের জন্য বলেছে ইসি। ফলে এবারের নতুন ইসি গঠনে একজন নারী কমিশনার নিয়োগ দেয়া অত্যন্ত জরুরি।

উল্লেখ্য, ২০১২ সালের সার্চ কমিটি নির্বাচন কমিশনার নিয়োগের জন্য যেসব নাম সুপারিশ করে তার মধ্যে শারমীন মুরশিদও ছিলেন। এ ছাড়া নির্বাচন কমিশন সচিবালয়ে আলোচনায় ছিলেন সাবেক তথ্য কমিশনার অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম। কিন্তু শেষ পর্যন্ত তাদের নিয়োগ দেয়া হয়নি।



মন্তব্য চালু নেই