নির্বাচনী সংঘর্ষ, গোলাগুলিতে শিশুসহ নিহত ৪

যশোর, জামালপুর এবং কেরানীগঞ্জে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে ভোটগ্রহণ চলাকালে সংঘর্ষ ও গুলিতে শিশুসহ চার জন নিহত হয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৩১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টার দিকে যশোর সদরের চাঁচড়া ইউনিয়নের চাঁচড়া বাজার এলাকার দারোগার মোড়স্থ ভাতুড়িয়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। এতে আব্দুস সাত্তার বিশে ওরফে গোলাপ (৬০) নামে এক বৃদ্ধ গুলিবিদ্ধ হয়ে নিহত হয়েছেন।

নিহত গোলাপ ভোটকেন্দ্রের বাইরে মুড়ি বিক্রি করছিলেন। তিনি শহরতলীর খোলাডাঙ্গা কলোনি এলাকার মৃত আক্কাস আলীর ছেলে।

যশোর কোতোয়ালি থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইলিয়াস আলী জানান, চাঁচড়ার ভোটকেন্দ্রের বাইরে দুই পক্ষের মধ্যে বোমাবাজি ও গোলাগুলি হয়। এসময় ভোটকেন্দ্রের বাইরে মুড়ি বিক্রি করা গোলাপের কপালে একটি গুলি লাগলে তিনি মারা যান। তাকে উদ্ধার করে যশোর ২৫০ শয্যা জেনারেল হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।

সকাল সাড়ে ১০টার দিকে কেরানীগঞ্জের হযরতপুর ইউনিয়নের ৫০ নম্বর মধুরচর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয় কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের গোলাগুলির মধ্যে পড়ে শুভ ঘোষ (১০) নামে এক শিশু এবং রনি (২০) নামে এক তরুণ নিহত হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়, সকালে ওই কেন্দ্রে দুই চেয়ারম্যান প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও গোলাগুলির ঘটনা ঘটে। শিশু সুমন ওই গোলাগুলির মাঝখানে পড়ে গেলে গুলিবিদ্ধ হয়ে ঘটনাস্থলেই মারা যায়। এসময় সুমনের বাবা ও মা তাদের স্ব-স্ব বুথে ভোট দেয়ার জন্য লাইনে দাঁড়িয়ে ছিলেন।

রনিকে গুরুতর অবস্থায় দুপুরে মিটফোর্ড হাসপাতালে ভর্তি করালে চিকিৎসকরা ‍মৃত ঘোষণা করেন।

এছাড়া আজ সকালে জামালপুর জেলার শ্যামপুর ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে দুই মেম্বার প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে সংঘর্ষে একজন নিহত হয়েছেন। তাৎক্ষণিকভাবে তার পরিচয় জানা যায়নি।

প্রসঙ্গত, সারাদেশে মোট ৪৭টি উপজেলায় দ্বিতীয় ধাপে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হচ্ছে। তবে এ নির্বাচন উপলক্ষে বেশ কয়েকটি এলাকায় দফায় দফায় সংঘর্ষ, কেন্দ্র দখল, ভোট বর্জনসহ নানা সহিংসতার ঘটনা ঘটেছে।



মন্তব্য চালু নেই