নিরাপত্তা জোরদারের পর ফের শিথিল

মানবতাবিরোধী অপরাধের মামলায় মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতের সহকারী সেক্রেটারি জেনারেলের রায় বাস্তবায়নে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭টা থেকে ব্যাপক প্রস্তুতি নেয় কারা কর্তৃপক্ষ। কিন্তু রাত ৯টার পর আস্তে আস্তে তা শিথিল করে নেওয়া হয়।

কারারক্ষীদের নিরাপত্তার পাশাপাশি র‌্যাব, পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থার সদস্যরা কারাগারের মূল ফটকসহ এর আশপাশের এলাকায় কয়েক স্তরের নিরাপত্তা গ্রহণ করেন। শুক্রবার সন্ধ্যার পর কারাগারের আশপাশের স্থায়ী ও ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। একই সঙ্গে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান ও বাসাবাড়ির ছাদে কাউকে না ওঠার জন্য বলা হয়। কারাগারের পাশের রাস্তাগুলো দিয়ে যান চলাচলও সীমিত করে দেওয়া হয়।

ওই সময় ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের উপ-কমিশনার (ডিসি, লালবাগ) মোহাম্মদ মফিজউদ্দিন আহমেদ বলেন, ‘আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সতর্ক অবস্থানে রয়েছে। কারাগারের আশপাশে কোথাও যাতে যানজট না লাগে সে জন্য যান চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে।’

সন্ধ্যার পর কারাগারের ভেতর এক ভ্যান বাঁশ নিয়ে যাওয়া হয়। কারাগারের মূল ফটের সামনে নির্দিষ্ট একটি বলয় তৈরি করে গণমাধ্যমকর্মীদেরও সেখানে ঢুকতে বাধা দেওয়া হয়। কারা ফটবের প্রথম ও দ্বিতীয় সারিতে কারারক্ষী এবং তৃতীয় সারিতে র‌্যাব সদস্যরা সতর্ক অবস্থান নেন।

ঢাকা জেলার সহকারী সিভিল সার্জন আহসান হাবিব শুক্রবার রাত ৮টা ১০ মিনিটে কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে প্রবেশ করেন। কারাগারের মূল ফটকের সামনে দুটি এ্যাম্বুলেন্সও রাখা হয়।

কিন্তু রাত ৯টার পর আস্তে আস্তে সকল নিরাপত্তা শিথিল করা হয়। কারাগারের মূল ফটকের সামনে থেকে কারারক্ষীদের দুটি স্তরসহ র‌্যাব সদস্যদের দেওয়া ব্যারিকেডও সরিয়ে নেওয়া হয়।

রাত ৯টার দিকে কারাগারের মূল ফটক দিয়ে বের হয়ে আসেন ঢাকা জেলার সহকারী সিভিল সার্জন আহসান হাবিব। রাত ৯টা ২২ মিনিটে বের হয়ে আসেন সিনিয়র জেল সুপার ফরমান আলী।

সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন করার পরও শুক্রবার রাত সাড়ে ৯টায় কামারুজ্জামানের ফাঁসি কার্যকর করা হবে না বলে জানা যায়।



মন্তব্য চালু নেই